আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
4,094 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
edited by

1)  সাধারণত অজু অবস্থায় হালকা একটু অথবা অল্প একটু বসে ঘুমালে কি ওযু যাবে ?

2) খারাপ খবর বাতাসের আগে ছড়ায় এধরনের কথা বলা কি ঠিক ?

3) আদমইবলিশ এবং ফেরেশতা  তারা কি আল্লাহকে সরাসরি দেখতে পেয়েছিল ?

4) কোন নবী  বা রাসুল  নবুয়াত পাওয়ার পূর্বে অথবা নবুয়াত পাওয়ার পরে কোন কুফরি বা কোন গুনাহ এর কাজ করেছিলেন ?

1 Answer

+1 vote
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
অযু ভঙ্গের অন্যতম একটি কারন হলো ঘুম।
চিৎ হয়ে; কাত হয়ে; হেলান দিয়ে কিংবা কোনো কিছুর সঙ্গে ঠেস দিয়ে ঘুমালে যা সরিয়ে ফেললে ঘুমন্ত ব্যক্তি পড়ে যাবে। 

ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

لَيْسَ عَلَى مَنْ نَامَ سَاجِدًا وُضُوءٌ، حَتَّى يَضْطَجِعَ، فَإِنَّهُ إِذَا اضْطَجَعَ، اسْتَرْخَتْ مَفَاصِلُهُ

সেজদা অবস্থায় ঘুমালে অযু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙ্গে যাবে, কেননা, চিৎ বা কাত হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়। [ফলে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে]।  (মুসনাদে আহমাদ ২৩১৫ আবু দাউদ ২০২)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বসে সামান্য ঘুম,এতে যদি কোনো কিছুর সাথে হেলান দেওয়া না হয়,তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।    
,
(০২)
খারাপ খবর বাতাসের আগে ছড়ায় বলার দ্বারা সকলেরই উদ্দেশ্য থাকে যে খারাপ খবর দ্রুত ছড়ায়।
সুতরাং এমন কথা বলাতে কোনো সমস্যা নেই।    

(০৩)
রাসুল সাঃ আল্লাহকে দেখেছেন কিনা এই বিষয়েই ছাহাবায়ে কেরামদের মাঝেই মতবিরোধ রয়েছে। 

হযরত শফী রহঃ মায়ারিফুল কুরআনে সুরা নজমের তাফসিরে,এবং হযরত আশরাফ আলী থানবী রহঃ বয়ানুল কুরআনের সুরা ইসরার তাফসীরে বলেছেন যে এই ক্ষেত্রে আমাদের উত্তম চুপ থাকাই উত্তম। 
(ফাতাওয়ায়ে রিয়াজুল উলুম ১/২৮৯)

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""আদম আঃ জীবদ্দশায়, ফেরেশতা ইবলিশ আল্লাহকে সরাসরি  দেখেননি। 

,
(০৪)

সমস্ত নবী রাসুল নিষ্পাপ। এটি কোরআন, হাদিস, উম্মতের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত ও অকাট্য যুক্তির আলোকে প্রমাণিত। 

আরো জানুনঃ 
,

★সুতরাং কোনো নবি বা রাসুল নবুয়ত লাভের পূর্বে বা পরে কোনো রকমের গুনাহের কাজ করেননি।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...