আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (48 points)
ইলইয়াস বা ইলিয়াস আঃ তিনি কি শুধু নবী ছিলেন নাকি রাসুল ও ছিলেন ?  ...................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/4179/?show=4179#q4179 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নবী ও রাসুলের মধ্যে  পার্থক্যের ব্যাপারে উলামায়ে  কেরামদের  মাঝে অনেক  মতবিরোধ  রয়েছে ।  কেহ কেহ বলেনঃ প্রত্যেক রাসূলই নবী ছিলেন। তবে প্রত্যেক নবী কিন্তু রাসূল ছিলেন না। নবী এবং রাসূলগনের মধ্যে পার্থক্য হলো, রাসূলগনের উপর নতুন শরীয়াহ আইন এবং আসমানি কিতাব নাযিল করা হতো । আর নবীগন পূর্বেকার রাসূলের শরীয়াহ অনুসরণ করতো এবং আসমানী কিতাবও।

এই আলোচনার উপর উলামায়ে কেরামগন প্রশ্ন তুলেছেন,তারা বলেন যে পবিত্র কুরআন কারীমে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ   

واذكر في الكتاب اسماعيل انه كان صادق الوعد وكان رسولا نبيا.

وكان يأمر اهله بالصلوة والزكاة وكان عند ربه مرضيا

(সুরা মারইয়াম আয়াত ৫৪,৫৫) 

এখানে হযরত ইসমাইল আঃ কে রাসুল বলা হয়েছে,অথছ উনাকে নতুন শরীয়ত দেওয়া হয়নি,কিতাবও দেওয়া হয়নি । বরং তিনি তার পিতার শরীয়তেরই দাওয়াত দিয়েছিলেন।

অনেকে আবার পার্থক্য এই ভাবে করেন যে যেই নবী কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন,তিনিই শুধু রাসুল,আর যিনি কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করেননি,তিনি নবী।  এই মতের উপরেও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।

এই বিষয়ে  দারুল উলুম দেওবন্দ দারুল ইফতা থেকে যেই ফতোয়া এসেছে  এবং  জামিয়া বিননুরী করাচি পাকিস্থান এর ফতোয়া বিভাগ থেকে যেই ফতোয়া এসেছে,সেটা তুলে ধরছি। (ফতোয়া নাম্বারঃ 143702200018)

নবী ও রাসুলের মধ্যে  পার্থক্যের ব্যাপারে উলামায়ে  কেরামদের  মাঝে অনেক  মতবিরোধ  রয়েছে ।

সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মত হলোঃ রাসুল তাহাকে বলা হয়, যিনি নতুন শরীয়ত  নিয়ে এসেছেন।

এর দুই ছুরতঃ

১. ঐ শরীয়ত  একেবারেই নতুন,ইতিপূর্বে এই শরীয়ত কেহই পেশ করেননি।

২. ইতিপূর্বে  ঐ শরীয়ত  নিয়ে কেহ এসেছিলো,কিন্তু যেই কওমের কাছে তিনি এসেছেন,তাদের কাছে এটা নতুন।

যেমন হযরত ঈসমাইল আঃ তার বাবা হযরত ইব্রাহিম  আঃ এর শরীয়ত  নিয়েই এসেছিলেন,কিন্তু জুরহাম গোত্রের নিকট ঐ শরীয়ত  নতুন ছিলো,যেনো এই শরীয়ত ঐ কওমের জন্য নতুন ছিলো।

এবং নবী তাহাকে বলা হয় যাহার উপর ওহি আসে,চাই তিনি নতুন শরীয়ত নিয়ে আসুক,বা পুরাতন শরীয়তেরই তিনি মুবাল্লিগ হোক।

যেমন বনী ঈসরায়েলের অধিকাংশ নবীই হযরত মুসা আঃ এর শরীয়তের দাওয়াত দেওয়ার জন্য এসেছিলেন।

শাইখুল ইসলাম  আল্লামা শিব্বির আহমেদ উসমানী রহঃ নবি ও রাসুলের মধ্যে  পার্থক্য বর্ণনা করেন যে নবী বলা হয় যাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি আসে।

আম্বিয়ায়ে কেরামদের মধ্যে কিছু নবীর বিশেষত মর্যাদা দেওয়া হয়েছিলো,যেমন তাদেরকে কাফেরদের মোকাবেলায় পৃথক উম্মতের কাছে পাঠানো হয়েছিলো,অথবা নতুন কিতাব এবং স্বয়ংসম্পুর্ন শরীয়ত  দেওয়া হয়েছিলো। (তাফসীরে উসমানী ২/৪৯১ মাআরিফুল কুরআন ৬/৪২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

পবিত্র কুরআনে মাত্র দু’জায়গায় হযরত ইলিয়াস (আঃ)-এর আলোচনা দেখা যায়। সূরা আন‘আম ৮৫ আয়াতে ও সূরা ছাফফাত ১২৩-১৩২ আয়াতে। ঐতিহাসিক বর্ণনায় এ বিষয়ে প্রায় সবাই একমত যে, তিনি হযরত হিয্ক্বীল (আঃ)-এর পর এবং হযরত আল-ইয়াসা‘ (আঃ)-এর পূর্বে দামেষ্কের পশ্চিমে বা‘লা বাক্কা (بعلبك) অঞ্চলের বনু ইস্রাঈলগণের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। হযরত ইলিয়াস (আঃ) ফিলিস্তীনের পার্শ্ববর্তী জর্ডানের আল‘আদ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। আল্লাহ পাক তাঁকে নবী হিসাবে মনোনীত করেন এবং ফিলিস্তীন অঞ্চলে তাওহীদের প্রচার ও প্রসারের নির্দেশ দান করেন। সুতরাং কুরআন ও সুন্নাহ থেকে আমরা যতটুকু জানি তা থেকে বলা যায় যে, তিনি একজন নবী ছিলেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (48 points)

কিন্তু সুরা সূরা ছাফফাত ১২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যে "ইলিয়াসও ছিল অবশ্যই রসূলদের একজন।" এখনানে যে তাকে রাসুল বলা হয়েছে সেই ক্ষেত্রে তিনি কি রাসুল হচ্ছেন না 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...