জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
অযু ভঙ্গের অন্যতম একটি কারন হলো ঘুম।
চিৎ হয়ে; কাত হয়ে; হেলান দিয়ে কিংবা কোনো কিছুর সঙ্গে ঠেস দিয়ে ঘুমালে যা সরিয়ে ফেললে ঘুমন্ত ব্যক্তি পড়ে যাবে।
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَيْسَ عَلَى مَنْ نَامَ سَاجِدًا وُضُوءٌ، حَتَّى يَضْطَجِعَ، فَإِنَّهُ إِذَا اضْطَجَعَ، اسْتَرْخَتْ مَفَاصِلُهُ
সেজদা অবস্থায় ঘুমালে অযু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙ্গে যাবে, কেননা, চিৎ বা কাত হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়। [ফলে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে]। (মুসনাদে আহমাদ ২৩১৫ আবু দাউদ ২০২)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বসে সামান্য ঘুম,এতে যদি কোনো কিছুর সাথে হেলান দেওয়া না হয়,তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
,
(০২)
খারাপ খবর বাতাসের আগে ছড়ায় বলার দ্বারা সকলেরই উদ্দেশ্য থাকে যে খারাপ খবর দ্রুত ছড়ায়।
সুতরাং এমন কথা বলাতে কোনো সমস্যা নেই।
(০৩)
রাসুল সাঃ আল্লাহকে দেখেছেন কিনা এই বিষয়েই ছাহাবায়ে কেরামদের মাঝেই মতবিরোধ রয়েছে।
হযরত শফী রহঃ মায়ারিফুল কুরআনে সুরা নজমের তাফসিরে,এবং হযরত আশরাফ আলী থানবী রহঃ বয়ানুল কুরআনের সুরা ইসরার তাফসীরে বলেছেন যে এই ক্ষেত্রে আমাদের উত্তম চুপ থাকাই উত্তম।
(ফাতাওয়ায়ে রিয়াজুল উলুম ১/২৮৯)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""আদম আঃ জীবদ্দশায়, ফেরেশতা ইবলিশ আল্লাহকে সরাসরি দেখেননি।
,
(০৪)
সমস্ত নবী রাসুল নিষ্পাপ। এটি কোরআন, হাদিস, উম্মতের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত ও অকাট্য যুক্তির আলোকে প্রমাণিত।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং কোনো নবি বা রাসুল নবুয়ত লাভের পূর্বে বা পরে কোনো রকমের গুনাহের কাজ করেননি।
বিস্তারিত জানুনঃ
,