আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
343 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম।

আলহামদুলিল্লাহ। আসসলাতু ওয়াসসালামু আ'লা রসুলিল্লাহ।

রমজানের শেষের ১০ দিনের যেকোন বিজোড় রাতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯) হতে পারে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর।

মাসজিদুল হারামের ইমাম শাইখ মাহির রমজানের শেষ দশ রাতের জন্য এক চমৎকার আমলের ফর্মুলা দিয়েছেন:

১) "প্রতিরাতে এক দিরহাম (এক টাকা) দান করুন, যদি রাতটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৩ বছর ৪ মাস(১০০০ মাস) পর্যন্ত প্রতিদিন এক টাকা দান করার সাওয়াব পাবেন।
.
২) প্রতিরাতে দু' রাকা'আত নফল সালাত আদায় করুন, যদি রাতটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে তবে আপনি ৮৩  বছর ৪ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন দু' রাকা'আত সালাতের সাওয়াব পাবেন।
.
৩) প্রতিরাতে তিন বার সূরা ইখলাস পাঠ করুন, যদি রাতটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৩  বছর ৪ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন এক খতম ক্বুর'আন পাঠের সাওয়াব পাবেন ।"
.
তিনি আরও বলেন, উপরের কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার কথা শুনে এ আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমান সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
.
কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
"ভালো কাজের পথ প্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।..." [মুসলিম ২৬৭৪]

এখন আমার প্রশ্ন করছি।
আমি ১০ টাকা প্রতি রাতে জমিয়ে রাখলাম সাদাকার উদ্দেশ্যে। কিন্তু রাতের বেলা কাওকে দিতে পারলাম না। এভাবে ১০ দিনে ১০০ টাকা জমিয়ে পরে দিলাম। তাহলে কি লাইতুল কদরের দানের সোয়াব ভাগ্যে জুটবে?
টাকাটা মসজিদে দেয়া যায়। কিন্তু, মসজিদে টাকা দেয়ার অনেক লোক থাকলেও দরিদ্র অসহায়দের দেয়ার লোক কম। রাতের বেলা দরিদ্র লোকের দেখাও মেলে কম।

আমরা তো জানি, প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। নিয়তের জন্য কি লাইলাতুল কদরের উসিলায় ১০০০ মাসের সোয়াব আমি পাব না?

1 Answer

0 votes
by (567,180 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুরা আল কদরের ০৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

لَیۡلَۃُ الۡقَدۡرِ ۬ۙ خَیۡرٌ مِّنۡ اَلۡفِ شَہۡرٍ ؕ﴿ؔ۳﴾
লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ ঈমান ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদর রাত্রিতে সালাত আদায় করতে দাঁড়াবে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” [বুখারী: ১০৯১, মুসলিম: ৭৬০, আবু দাউদ: ১৩৭২, নাসায়ী: ৮/১১২, তিরমিযী: ৮০৮, মুসনাদে আহমাদঃ ২/৫২৯]
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,   
মাসজিদুল হারামের ইমাম শাইখ মাহির রমজানের শেষ দশ রাতের জন্য যে আমলের ফর্মুলা দিয়েছেন,তাহা আসলেই খুবই চমৎকার। 

১) "প্রতিরাতে এক দিরহাম (এক টাকা) দান করুন, যদি রাতটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৩ বছর ৪ মাস(১০০০ মাস) পর্যন্ত প্রতিদিন এক টাকা দান করার সাওয়াব পাবেন।
.
২) প্রতিরাতে দু' রাকা'আত নফল সালাত আদায় করুন, যদি রাতটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে তবে আপনি ৮৩  বছর ৪ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন দু' রাকা'আত সালাতের সাওয়াব পাবেন।
.
৩) প্রতিরাতে তিন বার সূরা ইখলাস পাঠ করুন, যদি রাতটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৩  বছর ৪ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন এক খতম ক্বুর'আন পাঠের সাওয়াব পাবেন ।"
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,   
উক্ত ছওয়াব পেতে হলে অবশ্যই রাতেই দান করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনি মসজিদে টাকা না দিতে চাইলে আপনি আপনার বাসার পার্শ্বের কোনো গরিবকে দিতে
পারেন।
এক্ষেত্রে তার প্রচলিত  ফকির হতেই হবে,বিষয়টি এমন নয়।
,
সে ব্যাক্তি যদি যাকাত গ্রহনের হকদার না হয় তথা ছাহেবে নেসাব না হয়,তাহলে তাকেই দেওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম, 

হাদীসে এসেছে "সূরা ইখলাস কোরআনের তিন ভাগের এক ভাগের সমান।’
এ হাদীস দ্বারা কি আমরা এটা বলে ফেলতে পারি যে, ৩ সূরা ইখলাস পাঠ করা মানে একবার কুরআন খতম দেয়া বা এক কুরআন খতমের সোওয়াব পাওয়া? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 133 views
...