জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
ফরজ নামাজের ১ম দুই রাকাতে ও অন্যান্য নামাজের সমস্ত রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা বা ছোট তিন আয়াত মিলানো ওয়াজিব।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ، وَيُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، وَهَكَذَا فِي الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْحِ.
আবূ কাতাদাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা ও দু’টি সূরাহ্ পড়তেন এবং শেষ দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পাঠ করতেন এবং তিনি কোন কোন আয়াত আমাদের শোনাতেন, আর তিনি প্রথম রাক‘আতে যত দীর্ঘ করতেন, দ্বিতীয় রাক‘আতে তত দীর্ঘ করতেন না। ‘আসরে এবং ফজরেও এ রকম করতেন। (বুখার ৭৭৬,৭৫৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪০)
শরীয়তের বিধান হলো সেজদায়ে সাহু ভুলে আদায় না করলে নামাজের পরই আদায় করবে।
নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে উক্ত নামাজ দোহরিয়ে (পুনরায়) পড়তে হয় না এমন একটি কওল রয়েছে।
তবে রাজেহ তথা প্রাধান্য পাওয়া বক্তব্য হল, দোহরিয়ে (পুনরায় উক্ত নামাজ) পড়তে হবে। সময় থাকুক বা না থাকুক।
সতর্কতা এর মাঝেই।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৮৯)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
وقد علمت ايضا ترجيح القول بالوجوب فيكون المرجح وجوب الإعادة فى الوقت وبعده (رد المحتار-3/532
নামাজের ওয়াক্ত থাকুক বা না থাকুক,প্রাধান্য পাওয়া বক্তব্য হলো ওয়াক্তের মধ্যে হোক,বা অন্য যেকোনো সময়ে হোক,উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলানো ফরজ নয়। বরং ওয়াজিব।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার যিম্মা থেকে ফজর নামাজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে। (সেই নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করা আপনার উপর ফরজ নয়।)
তবে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়ার দরুন যেহেতু সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব ছিলো,তাই নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব হবে।
এক্ষেত্রে যেহেতু নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গিয়েছে,তাই আপনার উপর সে সমস্ত নামাজ পুনরায় আদায় আবশ্যক কিনা,এই ব্যপারে ইমামদের মত বিরোধ রয়েছে।
কাহারো মতে সেই নামাজ গুলি আদায় করতে হবেনা। আবার কাহারো মতে সেই নামাজ গুলি আদায় করতে হবে।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সময় সুযোগ মোতাবেক আস্তে-ধীরে সেই নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করারই পরামর্শ থাকবে।
সতর্কতা এর মাঝেই রয়েছে।