আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আমি ফজর পড়তে পারতেছি না


ফজর পড়ার জন্য আমার জানা বা খুঁজে পাওয়া যত আমল ছিল সব আমি করেছি তবে কিছুই এখন কাজে লাগছে না,আল্লাহ মাফ করুন।

. ফজর মিস করলে রোজা রেখে দেয়া

.ঘুমানোর আগে নিয়ত করে ঘুমানো যে ফজর মিস হলে দুই/চার রাকাত স্বলাত পড়ার

.সূরা কাহফের লাস্ট দুই আয়াত (অথচ এইটা পড়ে একসময় আমার জাস্ট টাইমলি চোখ খুলে যেতে যেমন- ৪.৪৩ নিয়ত করতাম জাস্ট ৪.৪৩ এই চোখ খুলতাম

.কারিন জ্বীন কে(নিজের নাম) নাম ধরে বলা ডেকে দেয়ার জন্য।

. নিয়ত করে ঘুমানো

.সদকা করা শুধু ফজর পড়ার নিয়তে

.ইয়া হাইয়্যু...'আইন দোয়া পড়া।
.সেজদা তে দোয়া করা(অশ্রুসিক্ত)

.অন্যের জন্য দোয়া করা যাতে অন্যরাও পড়তে পারে।


আমি ফজরে উঠলেও আবার কিভাবে ঘুমাই যাই জানি না। মাঝে মাঝে আযানের উত্তর দেই এবং মোস্ট এক্সপেক্টেড জিনিস চাই তারপর কি হয় জানি না। ঘুম থেকে উঠেই নামাজ পড়ে ফেলি তবে তৃপ্তি পাচ্ছি না।

আমি বাকি সব নামাজ ঠিক মতো পড়তে পারি অসুবিধা হয় না।বেশিরভাগ দিনই স্বলাতুল হাজত পড়ি আলহামদুলিল্লাহ। আর যিকির দিনের বেশিরভাগ সময় জুড়েই করতে পারি আলহামদুলিল্লাহ।
আমার খুব ভয় হয় কেনো জানেন.....?
আমি অনেক সুখি আলহামদুলিল্লাহ।আমি যা চাই আমার আল্লাহ তাই দিয়ে দেন কয়েকদিন বা কয়েকঘন্টা সময়ের বদলে।আমি শুকরিয়া আদায় করি আর ভয় পাই।

আর যেদিন ফজর পড়তে পারি সেদিন আমি বুঝতেই পারি যে ফজর পড়ার বিনিময়ে অসাধ্য একটা জিনিস পেয়ে গেছি।

বছরখানেক হলো আমি দু:খের খুব বন্ধুর পথ পার হয়ে এখন সুখী তবে বছরখানেক থেকেই এমন হচ্ছে আমার। এই অসহায় অবস্থা থেকে আমাকে বের হতে সাহায্য করুন।আমার খুব অসহায় লাগে,খুব অসহায়.....

1 Answer

0 votes
by (675,800 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

দুপুরের খাবারের পর স্বল্প সময়ের জন্য একটু বিশ্রাম নেওয়া। এটাকে কাইরুলা বলা হয়।
এটার জন্য ঘুমানো জরুরি নয়, এটা রাত্রি বেলা ইবাদত বান্দেগীতে  সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/২৭৪)  

আরো জানুনঃ- 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عن ابن عباس رضي اللّٰہ عنہما عن النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: استعینوا بطعام السحر علی صیام النہار والقیلولۃ علی قیام اللیل۔ (سنن ابن ماجۃ، کتاب الصیام / باب ما جاء في السحور ۱۲۱ رقم: ۱۶۹۳ دار الفکر بیروت)

وفي روایۃ: وبقیلولۃ النہار علی قیام اللیل۔ (صحیح ابن خزیمۃ رقم: ۱۹۳۹، فیض القدیر ۱؍۴۹۴، فتح الباري ۱۴؍۸۲ دار الکتب العلمیۃ بیروت، الترغیب والترہیب مکمل رقم: ۱۶۴۱)

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা সাহরী খাওয়ার মাধ্যমে দিনে রোযা রাখার জন্য এবং দিনে বিশ্রামের মাধ্যমে রাতে নামায পড়ার জন্য সাহায্য গ্রহণ করো।

আরো জানুনঃ- 

ঈশার নামাজের পর দুনিয়াবি (অনার্থক) কাজ বা (অনার্থক) কথাবার্তা বলা মাকরুহ। 
তবে জরুরী কাজ বা কথা হলে কোনো সমস্যা নেই।    
ফাতাওয়ায়ে শামী (১/৩৪১) 

 حَدَّثَنَا جَرِيرٌ ، عَنْ مَنْصُورٍ ، عَنْ خَيْثَمَةَ ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا سَمَرَ بَعْدَ الصَّلَاةِ
অর্থাৎ ঈশার নামাজের পর কথা বলা যাবেনা (মুসনাদ আহমদ হাদীস নং ৩৬০৩)

,হজরত আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে কখনো এশার আগে ঘুমাতে এবং এশার পর গল্পগুজব করতে দেখিনি। এশার পর হয়তো জিকিরে মশগুল থাকতেন, এতে তো কেবল লাভই, নচেৎ ঘুমিয়ে পড়তেন, এর দ্বারা সব অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে মুক্ত থাকা যায়। আয়েশা (রা.) বলেন, তিন ধরনের মানুষের জন্য রাত জাগার অনুমতি রয়েছে : বিয়ের রাতে নবদম্পতি, মুসাফির ও নফল নামাজ আদায়কারী। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, হা. : ৪৮৭৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঈশার পর দ্রুত ঘুমিয়ে যেতে হবে।
ফজরে জাগার জন্য মোবাইলে এলার্ম দিতে হবে,মোবাইল কাছে না রেখে দূরে রাখতে হবে,যাতে এলার্ম বন্ধ করার জন্য স্বশরীরে উঠে যেতে হয়। কাউকে ডেকে দেয়ার দায়িত্ব দিতে হবে। 
দুপুরের খাবারের পর কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নিতে পারেন। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 262 views
0 votes
1 answer 506 views
...