ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/37233/?show=38122#a38122 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহন হারাম, তাই সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খুললে যেহেতু
সুদ ভক্ষন করতে হয়, সুদ গ্রহন না করলেও যেহেতু সুদী কার্যক্রমে
সহযোগিতা করা হয়, তাই সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা নাজায়েজ ।
,
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-
يَا
أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا
إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨]
হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে
সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮]
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا
الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
[٣:١٣٠]
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে
সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।
[সুরা আলে ইমরান-১৩০]
হাদিস শরিফে এসেছে-
لَعَنَ
رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.
আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে
অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)
ব্যাংকে সুদবিহিন
একাউন্টে টাকা রাখা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন -
https://ifatwa.info/62030/
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই /বোন!
সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যেহেতু নাজায়েজ, তাই জেনে শুনে নমিনী হওয়াও নাজায়েজ। আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু তাকে না জানিয়েই
তার স্বামী সুদি ব্যাংকের নমিনী বানিয়ে দিয়েছে। তাই আশা করা যায় যে, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে তার কোনো গোনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। বরং তার স্বামী ও শ্বশুরের গোনাহ হবে। তবে এরপরও বোনকে ইস্তিগফার ও আল্লাহ তায়ালার
কাছে ক্ষমা চাইতে বলবেন।