আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুমক

১এক স্থানে সর্বোচ্চ কতদিন পর্যন্ত অবস্থান করলে মুসাফির কসর সালাত আদায় করতে পারে?

২. কোনো ব্যক্তি কসর আদায় করার মতো দূরত্বে অবস্থান করে এবং সে ১৪দিন এর বেশি অবস্থান করছে কিন্তু সালাত আদায় করেনি।এখন সে আরো ৭ দিন এর মতো থাকবে  এ অবস্থায় সে সালাত শুরু করলে কী কসর সালাত আদায় করবে নাকি স্বাভাবিক ভাবে সম্পূর্ণ সালাত আদায় করবে?


৩..মুসাফির ব্যক্তি যদি ঢাকার বাসাবো এলাকায় ১৪ দিন থাকে এবং কসর সালাত আদায় করে   তারপর আরো ১২ দিন মিরপুর এলাকায় থাকে ঔ অবস্থায় মুসাফির ব্যক্তির জন্য ১২দিনের কসর সালাত হবে নাকি স্বাভাবিক সালাত আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
কোনো ব্যাক্তি যদি নিজ এলাকা হতে সফরে দূরত্বে কোথাও যায়,সেক্ষেত্রে এক স্থানে সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত অবস্থান করার নিয়ত করলে মুসাফির কসর সালাত আদায় করতে পারবে।

এর বেশিদিন থাকার নিয়ত করলে ব্যাক্তি কসরের সালাত আদায় করতে পারবেনা। 

(০২)
https://ifatwa.info/41598/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ فُرِضَتْ ثَلَاثًا لِأَنَّهَا وِتْرٌ، قَالَتْ: ” وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ صَلَّى الصَّلَاةَ الْأُولَى إِلَّا الْمَغْرِبَ، فَإِذَا أَقَامَ زَادَ مَعَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ، لِأَنَّهَا وَتْرٌ، وَالصُّبْحَ، لِأَنَّهُ يُطَوِّلُ فِيهَا الْقِرَاءَةَ “

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম নামায দুই রাকাত করে ফরজ হয় মাগরিব ছাড়া। কারণ এটি শুরুতেই ছিল তিন রাকাত। কেননা, এটি দিনের বিতির নামায। তিনি আরো বলেন, রাসূল সাঃ যখন সফর করতেন, তখন তিনি দুই রাকাত করেই পড়তেন, মাগরিব ছাড়া। তথা মাগরিব তিন রাকাতই পড়তেন। তার পরবর্তীতে দুই রাকাতের সাথে দুই রাকাত বৃদ্ধি করা হল মাগরিব ছাড়া। কেননা এটি [দিনের] বিতির। আর ফজরের দুই রাকাতের সাথে বৃদ্ধি করা হয়নি, কেননা এতে লম্বা কিরাত পড়া হয়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬২৮২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৩০৫, সুনানে সগীর লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৫৫}
 
فى تنوير الابصار- (من خرج من عمارة موضع إقامته) قاصدا مسيرة ثلاثة أيام ولياليها بالسير الوسط مع الاستراحات المعتادة صلى الفرض الرباعي ركعتين حتى يدخل موضع مقامه أَوْ يَنْوِيَ إقَامَةَ نِصْفِ شَهْرٍ (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر-2/599-605، قاضى خان-1/164)

সারমর্মঃ কোনো ব্যাক্তি যদি তিন দিন তিন রাত সমপরিমাণ  দুরত্ব সফর করে,নিজ শহরের মৌজা থেকে বের হওয়া মাত্র ব্যাক্তি চার রাকাত ওয়ালা ফরজকে চার রাকাত করে আদায় করবে।
 
আরো জানুনঃ 

কেহ যদি পনেরো দিন বা তার চেয়ে বেশি  থাকার নিয়ত না করেন,বরং আজ কাল বা ১৫ দিনের আগেই যেকোনো মুহুর্তে চলে যেতে হবে,,এমন নিয়তই যদি হয়,তাহলে সে ব্যাক্তি এই অবস্থায় যতদিন সেখানে থাকবে,মুসাফির হিসেবে কসরের নামাজ আদায় করবে।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ

أو دخل بلدة ولم ينوها) أي مدة الإقامة (بل ترقب السفر) غدا أو بعده (ولو بقي) على ذلك (سنين) إلا أن يعلم تأخر القافلة نصف شهر كما مر.
(قوله: أو دخل بلدة) أي لقضاء حاجة أو انتظار رفقة.
(قوله: ولم ينوها) وكذا إذا نواها وهو مترقب للسفر كما في البحر لأن حالته تنافي عزيمته."
(باب صلوة المسافر، ج:2، ص:126، ط:ایچ ایم سعید)

সারমর্মঃ
যদি এমন হয় যে কাল চলে যাবো বা পরশু চলে যাবো,নিয়ত যদি নির্দিষ্ট না থাকে, এইভাবে যদি দুই বছরও,তাহলেই ব্যাক্তি কসর করবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুরুতেই যদি সেই ব্যাক্তি ১৫ দিন তার বেশি থাকার নিয়ত করে,তাহলে সে স্বাভাবিক ভাবে সম্পূর্ণ সালাত আদায় করবে।

আর যদি সে শুরুতেই ১৪ দিন বা তার চেয়ে কম দিন থাকার নিয়ত করে,পরবর্তীতে ১৪ দিনের পর কাজ শেষ না হওয়ায় আরো ৭ দিন থাকার নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে সে কসরের সালাত আদায় করবে।
পূর্ণ নামাজ আদায় করবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 116 views
0 votes
1 answer 168 views
0 votes
1 answer 149 views
...