আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।একটা মেয়ে মারাত্বক ওয়াসওয়াসায়,আক্রান্ত।সবসময়,ওয়াসওয়াসা আসে ওর মনে।মেয়েটাকে তার স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।মেয়েটাকে যখন মেসেজে স্বামী ডাকে তখন মেয়েটা হুম বলে উত্তর  দেয়।তখন ওর মনে ওয়াাওয়াসায় আসে তালাকের।কিন্তুু সে মনে মনে না না করে। এরপরপর আবার ওয়াসওয়াসা আসতে মনে থাকে  সেই নিয়তে বলেছে,অনিচ্ছা সত্তেও।এরপর আবার না না বলে মনে মনে।কারন সে স্বামীকে খুব ভালবাসে।মেয়েটা চায় স্বামীর সাথে থাকতে।সে তালাকের নিয়তে হুম বলে নি।শুধু ডাকার কারনে হুুম বলে উত্তর  দিয়েছে।এর দ্বারা কি ওদের বিচ্ছেদ হবে?একটু বলবেন দয়া,করে।ওদের সংংসারটা বৈধ আছে তহ?ও মারাত্বক চিন্তায় আছে।অনিচ্ছা সত্বেও এমন ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।

২।আমি নিজের দিকে ইন্গিত না করে প্রশ্নটা করেছি।উত্তর জানার জন্য অন্যের দিকে ইন্গিত করে করেছি।এতে কি কোন সমস্যা হবে?কারন শুনেছি নিজের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্ন করলেও নাকি তালাক হয়।

৩।কেউ যদি স্বামীকে বলে যদি ভাল না লাগে বলে দাও চলে যাব তুমার জীবন থেকে, অভিমান করে বা রাগ করে বললে স্ত্রী।স্বামী যদি  তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে চলে যাও বা যাইলে যাওগা তাহলে কি তালাক হয়?এই প্রশ্নটা মনে হয় আমি আগেও করেছিলাম।ভুলে গেছি।নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হবে না বলেছিল মনে হয় উত্তর।ঠিক মনে নেই তাই আবার জিগ্যেস করেছি।

৪।স্ত্রীর  মনে কয়েকটা কেনায়া শব্দ নিয়ে সন্দেহ হয়,মানে স্বামী কোন নিয়তে বলেছে সেটা ভেবে।স্ত্রী একটা একটা জিগ্যেস না করে এক্কেবারে জিগ্যেস করেছিল কোনদিন তালাকের নিয়তে কিছু বলেছিল কিনা।স্বামী বলে না বলে নি।স্বামীকে এই ব্যপারে প্রশ্ন করলে রেগে যায়,তাই এক্কেবারে একবারে জিগ্যেস করেছে।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (710,120 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) এভাবে তালাক হবে না। আপনার প্রতি পরামর্শ হল, আপনি তালাকের অধিকার আপনার স্বামীকে ফিরিয়ে দিয়ে দেন।

(২) এভাবে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (41 points)
edited by
১।৩ আর ৪ নং এর উত্তর ও কি তালাক হবে না তাই না?
২।স্বামী মুখে পাওয়ার দিলে  মানে তুমি দাও বা দিও বললে সেই পাওয়ারটা কি ফরিয়ে দেওয়া যাবে? কারন মেয়েটা মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।

by (710,120 points)
(১) জ্বী, তালাক হবে না।
by (710,120 points)
জ্বী, পাওয়ার স্বামীকে ফিরিয়ে দেয়া যাবে।স্বামীকে বলবেন, আমি পাওয়ার ফিরিয়ে দিচ্ছি

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...