আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আমার পাইলসের সমস্যা রয়েছে। সে কারনে মলত্যাগের পর বা বিভিন্ন সাধারন সময়ে মলদ্বার এর ভিতরের কিছু অংশ (নাপাকি ছাড়া, মলদ্বারের সাধারণ মাংশ, নাপাকি যথাসাধ্য পরিষ্কারের চেস্টা করা হয়) সামান্য বাইরে বের হয়ে থাকে যা কিছুক্ষন পর বা বসে থাকলে এমনিতেই যথাস্থানে চলে যায়। কিন্তু ইদানিংং লক্ষ্য করছি যে, নামাজে রুকু বা সিজদার সময় যখন পশ্চাতভাগ টান টান হয় বা কখন ও ওঠা বসার সময় মলদ্বারের দিক হতে একটু বায়ু ত্যাগের মত অনুভুতি হচ্ছে। (পেটের ভিতর হতে সাধারণত যে বায়ু ত্যাগ হয় ওই রকম না, সেটা হলে তো ওযু নষ্ট হয়েই যাবে জানা আছে)। এখন এটা কি, পশ্চাতভাগের মাংসের খাজে আটকে থাকা বাতাস বের হচ্ছে নাকি পাইলসের কারনে মলদ্বারের বের হওয়া কিছু অংশ যখন ভেতরে ঢুকে তখন বাতাস বের হচ্ছে এই নিয়ে সন্দিহান। দেখা যাচ্ছে পেট বা পাকস্থলী সম্পূর্ন ক্লিয়ার বা হাল্কা আছে, তাও বায়ুত্যাগের অনুভুতি হচ্ছে।

আর তাছাড়া এর হুকুম ই বা কি হবে? এর জন্য কি অযু ভেংগে যাবে? নাকি এটা শুধুই ওয়াসওয়াসা।

জানাবেন ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (697,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতক্ষণ না নিশ্চিত হচ্ছেন যে, উক্ত বায়ূ পেঠ থেকে নির্গত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অজু নষ্ট হবে না।বরং অজু বহালই থাকবে। যদি সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে দেখতে পারেন যে, এই বায়ূ কোথা থেকে আসছে।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,152 views
...