আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
১।আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।দয়া করে একটু বলবেন মেয়েটা স্বামীর বাসায় চলে যেতে চায়।এখনো বাবার বাড়ি থেকে নামিয়ে নেয় নি তবে নিয়ে যাবে স্ত্রীও যেতে চায়।
শায়খ এই প্রশ্নটা আমি আগেও কয়েকবার করেছি।আপনি প্রত্যেকবার  বলেছিলেন তালাক হবে না।কিন্তু স্ত্রীর বার বার ভয় হচ্চিল ঠিক ভাবে প্রশ্নটা করেছিল কিনা সেটা ভেবে।তার খুব ওয়াসওয়াসা আছে,বেশি টেনশনে পরে যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে।প্রশ্নটা ছিল স্বামীকে সে জিগ্যেস করেছিল কোনদিন ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে কিছু বলেছিল কিনা মানে মেসেজে বলতেছিল।স্বামী বলে না।স্বামী আরো বলে ছেড়ে দিব বা ছেড়ে দিছি এগুলো সেই নিয়তে বলত না।কিন্তু স্ত্রীর যদ্দুর মনে পরে ছেড়ে দিব বললেও দিছি বলে নাই স্বামী।বাকিটা আল্লাহ জানে।স্বামীর মনে থাকে না।এই প্রশ্ন কয়েকবার করেছিলাম হয়ত আরো বিস্তারিত ছিল সবসময় বলেছিলেন তালাক হবে নয়।কিন্তুু মূল ভাবটা এটা ছিল।মেয়েটা স্বামীর বাসায় চলে যাবে।উপরের কথাগুলো মেসেজে হয়েছিল। উপরের কোন কথা দ্বারা কি তালাক হবে? মেয়েটাও চায়,স্বামীর বাসায় চলে যেতে।

২।স্ত্রীকে যদি স্বামী তালাকের পাওয়ার দেয়, ১নং প্রশ্নটা যদি স্ত্রী নিজে করে তাহলে সেই প্রশ্নে স্ত্রীর কোন লিখা বা কথা দ্বারা কি তাদের বৈববাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে কি উত্তর দেবো, কিছুই বুঝতেছি না।আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার/আপনাদের কোনো তালাকই হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...