আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in সালাত(Prayer) by (30 points)
edited by
১৷আমি এবং আমার জাওজ দুজনেই ঢাকায় থাকি আমার বাবার বাড়ি এবং শশ্বরবাড়ি ময়মনসিংহ যা ঢাকা থেকে 77 কিলোর বেশি এই অবস্থায় কি আমার সেখানে 15 দিনের কম কিংবা ১৫ দিনের বেশি অবস্থান করলে আমাদের সেখানে কসর সালাত আদায় করতে হবে ?? শশ্বরবাড়ি এবং আমার বাবার বাড়ি দু জায়গায় এই দুজায়গার কোথাও স্থায়ীভাবে থাকার কোনো নিয়ত নেই । আমার জাওজ কি তার নিজের বাড়িতে 15 দিনের কম সময় অবস্থান করলে তার কসর হবে ??

২৷কেউ ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে কসর সালাত আদায় না করলে কি গুনাহগার হবে ।

৩৷ আমি ১৮ দিন সফরের নিয়তে বের হয়েছি যেখানে  প্রথম ১২ দিন আমার বাবার বাড়ি এবং ৬ দিন শশ্বরবাড়ি অবস্থান করবো ঢাকা থেকে আমার বাবার বাড়ি 77 কিলোর বেশি হলেও আমার বাবার বাড়ি থেকে আমার শশ্বরবাড়ি 77 কিলোর কম হলেও আমার বাবার বাড়ির এলাকা অর্থাৎ ময়মনসিংহের বাইরে যা ফুলপুর ,তারাকন্দায় অবস্থিত এটা বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তভুক্ত এই অবস্থায় কি আমি দুজায়গায় কসর করতে পারবো ?? (উল্ল্যখ্য কোথাও স্থায়ীভাবে বসবাস করার নিয়ত নেই)

1 Answer

0 votes
by (711,080 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8508 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে  পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)বিস্তারিত জানুন-১২৮১

তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429

https://www.ifatwa.info/107 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ويبطل الوطن الأصلي بالوطن الأصلي إذا انتقل عن الأول بأهله وأما إذا لم ينتقل بأهله ولكنه استحدث أهلا ببلدة أخرى فلا يبطل وطنه الأول ويتم فيهما............
......ولو انتقل بأهله ومتاعه إلى بلد وبقي له دور وعقار في الأول قيل: بقي الأول وطنا له وإليه أشار محمد - رحمه الله تعالى - في الكتاب،
ওয়াতানে আসলী, ভিন্ন ওয়াতানে আসলী দ্বারা বাতিল হয়ে যায়।(তথা পরবর্তীতে কোনো স্থানকে ওয়াতানে আসলী বানালে পূর্ববর্তী ওয়াতানে আসলী বাতিল হয়ে যায়)তবে যদি কেউ পূর্ববর্তী বাসস্থান থেকে পরিবারবর্গ কে না সরায়,এবং ভিন্ন শহরে নতুন কোনো পরিবারবর্গকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নির্ধারণ করে(অথবা দ্বিতীয় বাসস্থানে বর্তমান অবস্থানস্থল থাকলেও প্রথমটিকে বিক্রি করে দেয়া হয়নি,বরং মাঝেমধ্যে এখানে আসা হয়)তবে প্রথম বাসস্থান বাতিল হবে না।এ সময় উভয় বাসস্থান-ই ওয়াতানে আসলী হিসেবে গণ্য হবে।এবং উক্ত দুই স্থানেই পূর্ণ নামায পড়া হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/১৪২) আরো রয়েছে- (ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ-৫/১৭৬)

ووطن الإقامة يبطل بوطن الإقامة وبإنشاء السفر وبالوطن الأصلي، هكذا في التبيين.
ওয়াতানে ইক্বামাহ ভিন্ন ওয়াতানে ইক্বামাহ বা ওয়াতানে আসলী বা সফর শুরুর মাধ্যমে বাতিল হয়ে যায়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/১৪২)

আপনি পিতা মাতা তথায় মুক্বিম।সুতরাং বিদেশ আপনার ওয়াতানে আসলী নয়।তাই ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অবস্থানের নিয়ত করলে আপনাকে পূর্ণ নামায পড়তে হবে।অন্যথায় কসর পড়তে হবে।জাযাকাল্লাহ।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনাদের অবস্থানস্থল ঢাকাতে আপনারা যদি কখনো একবার ১৫ দিন অবস্থান করে নেন, বা ১৫ দিন অবস্থানের নিয়তে বসবাস শুরু করেন, তাহলে ঢাকাতে আপনারা মুকিম হিসেবে বিবেচিত হবেন।এবং তথা আপনারা পূর্ণ নামায পড়বেন।

যদি কখনো ১৫ দিন অবস্থান না করেন, বা ১৫ দিন অবস্থানের নিয়তে বসবাস শুরু না করেন, তাহলে আপনারা মুসাফির হিসেবেই থাকবেন।এবং মুসাফির হিসেবে কসর নামায পড়বেন।

(২)
ইচ্ছাকৃত কসর না পড়ে বরং পূর্ণ নামায পড়লে অবশ্যই  গোনাহ হবে। আর অনিচ্ছাকৃত হলে কোনো গোনাহ হবে না।

(৩)
কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের দিকে ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশী অবস্থানের নিয়ত করলেই কেবল মুকিম হিসেবে কেউ গণ্য হবে।যেহেতু আপনি এক জায়গায় ১২ দিন এবং অপর জায়গায় ৬ দিন অবস্থানের নিয়ত করেছেন, তাই আপনি মুসাফিরই থাকবেন।মুকিম হবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
edited by
আমার শশ্বুরবাড়ি তথা আমার জাওজের বাড়িতে কি আমার জাওজ মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে ?? উল্লেখ্য উনার সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করার নিয়ত নেই 
উনি সেখানে জামাতে নামায পড়লে কি পূর্ণ নামায পড়বেন নাকি কসর সালাত ??

২৷আমাদের সেখানে নিজের বাড়ি  বা ঘর নেই শশ্বরের করে যাওয়া বাড়িতে আমরা থাকি
by (711,080 points)
নিয়ত থাকুক বা নাই থাকুক।সেখানে বাড়ী থাকলে, সেটা ওয়াতানে আসলি হিসেবে বিবেচিত হবে।তাই আপনার স্বামী এবং আপনার স্বামীর তাবে হিসেবে আপনি, আপনারা উভয়ই পূর্ণ নামায পড়বেন।আপনার বাড়িতে আপনি মুকিম,তবে আপনার স্বামী মুসাফির।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...