ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَقْرَإِ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَقْرَإِ الْجُنُبُ وَلاَ الْحَائِضُ " . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا لاَ تَقْرَأُ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْئًا إِلاَّ طَرَفَ الآيَةِ وَالْحَرْفَ وَنَحْوَ ذَلِكَ وَرَخَّصُوا لِلْجُنُبِ وَالْحَائِضِ فِي التَّسْبِيحِ وَالتَّهْلِيلِ .
ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঋতুবতী নারী ও নাপাক ব্যক্তি (যার উপর গোসল ফরয) কুরআনের কোন অংশ তিলাওয়াত করবে না।
ইবনু মাজাহ (৫৯৫)
এ অনুচ্ছেদে আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি ইসমাঈল ইবনু আইয়াশ একটি মাত্র সনদ সূত্রেই বর্ণনা করেছেন যে, নাপাক ব্যক্তি ও হায়িযগ্রস্তা নারী কুরআন তিলাওয়াত করবে না। এ সূত্র ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে আমরা উপরোক্ত হাদীস জানতে পারিনি। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈ এটাই বলেছেন। তাদের পরবর্তীগণ যেমন, সুফইয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেনঃ নাপাক ও হায়িয অবস্থায় কুরআনের কোন অংশ তিলাওয়াত করবে না; কিন্তু কোন আয়াতের অংশবিশেষ অথবা শব্দ ইত্যাদি পাঠ করতে পারবে। তারা নাপাক ব্যক্তি ও হায়িযগ্রস্তা নারীকে তাসবীহ-তাহলীল (সুবহানাল্লাহ, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ ইত্যাদি) পড়ার অনুমতি দিয়েছেন।
(তিরমিজি ১৩১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুতরাং ইমাম তিরমিজি রহঃ উল্লেখকৃত ইবারত অনুযায়ী জানা যায় ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর মাযহাব অনুসারে হায়িয অবস্থায় কুরআনের কোন অংশ তিলাওয়াত করবে না; কিন্তু কোন আয়াতের অংশবিশেষ অথবা শব্দ ইত্যাদি পাঠ করতে পারবে।
তবে অন্যান্য অনেক কিতাবে হাম্বলি মাযহাবে এ সংক্রান্ত একাধিক মত পাওয়া যায়।
(০২)
হাম্বলি ফিকহে হুরমত মুহসারাতের মাস'আলা সংক্রান্ত বলা হয়েছেঃ-
أما الحنابلة فقالوا: الزنا يثبت الحرمة ولا يثبت المحرمية، لأن الوطء لم يكن مباحاً، وهذا القول أحوط
সারমর্মঃ
যেনা এটি হুরমত সাব্যস্ত করে,তবে মাহরাম সাব্যস্ত এর দ্বারা হয়না।
,
সুতরাং জানা গেলো যে হাম্বলি ফিকহে বিবাহ ব্যাতিত হুরমতে মুহসারাত প্রমানীত হয়না।
(০৩)
উল্লেখিত ছুরতে হানাফি মাযহাব মোতাবেক হুরমতে মুহসারাত প্রমানীত হবে।
,
(০৪)
হাম্বলি ফিকহ অনুযায়ী মহিলাদের জন্য সালাতের সময় চেহারা ব্যাতিত পূর্ণ শরীর ঢাকতে হবে।
তাই সালাতে হাত কবজি অবধি খোলা জায়েজ নেই।
এটি সতরের অন্তর্ভুক্ত।
وعورتها عند الحنابلة جميع بدنها ، ويستثنى فقط الوجه وما عداه منها فهو عورة .
সারমর্মঃ
হাম্বলি মাযহাবের উলামায়ে কেরামদের মতে নামাজে মহিলাদের সতর পুরো শরীর,শুধুমাত্র চেহারা ব্যাতিত।
তাছাড়া বাকি শরীর সতর।
(০৫)
عند الحنابلة جميع بدن المرأة الحرة عورة ما عدا الوجه، وفي الكفين روايتان في مذهب الحنابلة عن الإمام أحمد بن حنبل.
عند بعض الحنابلة بدن المرأة كله عورة لحديث الترمذي: “المرأة عورة” ولكن رخص لها في كشف وجهها وكفيها؛ لما في تغطيته من المشقة.
সারমর্মঃ
হাম্বলি মাযহাব মতে আযাদ মহিলার চেহারা ব্যাতিত সমস্ত শরীর সতর।
তবে কবজি পর্যন্ত হাত খুলতে পারবে কিনা,এই মর্মে দু ধরনের মত রয়েছে।
(এক, সতরের অন্তর্ভুক্ত।
দুই, সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।)
তাদের অনেকেই চেহারা ও কবজি পর্যন্ত হাত খোলার অনুমতি প্রদান করেছেন,কষ্টের কারনে।
,
(০৬)
হ্যাঁ হাম্বলি মাযহাব অনুসারে এমনটি করা যাবে।
জায়েজ আছে।