বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/14076 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একই রা'কাতে কোনো এক সূরা বা কোনো এক আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা জায়েয হলেও অনুত্তম(মাকরুহে তানযিহি)। উত্তম হলো,কোনো এক সূরা তেলাওয়াত
করার পর ভিন্ন কোনো সূরা তেলাওয়াত করা, এবং এক আয়াত তেলাওয়াত করার পর পরবর্তী আয়াত তেলাওয়াত করা। সুতরাং জরুরতের ভিত্তিতে এক সূরাকে বারংবার বা একই রা'কাতে কয়েক সূরার অংশকে তেলাওয়াত করা যাবে।এক্ষেত্রে নামায ফাসিদ হবে না।আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2123
এ হল হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত। তাছাড়া হানাফি মাযহাব ব্যতীত অন্যান্য ফিকহের সিদ্ধান্ত হল, একই রাকাতে এক সূরা বা একই আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা যাবে। এতে কোনো অসুবিধে নাই। আপনি ইউটিউবে যে তেলাওয়াত দেখছেন, তা ভিন্ন মাযহাবের অনুসারীদের তেলাওয়াত।
একই আয়াতকে তিনের অধিক পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে বলে আমাদের জানা নেই।
(২)
https://www.ifatwa.info/855 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর দুরুদ শরীফ কতটুকু পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে?
এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম থেকে প্রথমত দুইটি মতামত পাওয়া যায়।
(ক)যতটুকু ক্বেরাত পড়লে নামায সহীহ হয় সেই পরিমাণ দুরুদ শরীফ পড়লে সেজদায়ে সাহু চলে আসবে।(১৮/৩০ অক্ষর)
(খ) এক রুকুন পরিমাণ সময় দেড়ী করে দুরুদ শরীফ পড়লে সেজদায় সাহু চলে আসবে।
এ দুই মতামতের মধ্যে দ্বিতীয় মতটাই গ্রহণযোগ্য।তথা এক রুকুন পরিমাণ দেড়ী হয়ে গেলে সেজদায় সাহু ওয়াজিব হয়ে যাবে।
এক রুকুন এর পরিমাণ নির্ধারণে মতপার্থক্য রয়েছে,এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।
যথাঃ-
(১)
তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম।(৪২ অক্ষর)
(২)
আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদ।(১৮ অক্ষর)
(৩)
আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদি ওয়া আ'লা আলি মুহাম্মাদ।
সাহাবাইন রাহ থেকে চতুর্থ আরেকটি মতামত পাওয়া যায়,সেটি হল সম্পূর্ণ দুরুদ শরীফ।
গ্রহণযোগ্য মতটা কোনটা?সে সম্পর্কে বলা যায় যে,
وَاخْتَلَفُوا فِي قَدْرِ الزِّيَادَةِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: يَجِبُ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ بِقَوْلِهِ: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا يَجِبُ عَلَيْهِ حَتَّى يَقُولَ: وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ
প্রথম বৈঠকে তাশাহুদের পর দুরুদ শরীফ কতটুকু পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে?সে সম্পর্কে মতপার্থক্য রয়েছে-কেউ কেউ বলেন,আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদ পর্যন্ত পড়ে নিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।আবার কেউ কেউ বলেন,ওয়া আ'লা আ'লি মুহাম্মাদ পর্যন্ত পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।তবে প্রথম কথাই বিশুদ্ধ।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৭
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদ পর্যন্ত পড়ে নিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়ে যাবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-২/৪৩৮)
(৩)
নামাজের কোনো সুন্নাত যেমন সানা পড়া বা দরুদ শরীফ পড়া দুইবার করলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(৪)
সানা,দরুদ শরীফ,রুকু/সিজদার তাসবিহ এরকম সুন্নত এর সময় যদি উচ্চারণে কোনো তাজবীদ ভুল হয় তবে নামাজ ফাসিদ হবে না।
(৫)
কেউ যদি ইচ্ছা করেই নামাজে দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসূরা না পরে শুধু তাশাহুদ পরে সালাম ফিরায়, তাহলে তার নামাজও শুদ্ধু হবে। এবং কেউ যদি ইচ্ছা করে সানা না পরে, তাহলে তার নামাজও শুদ্ধ হবে।হ্যা উত্তমতার খেলাফ হবে।
(৬)
নাকে পানি দেওয়া সুন্নত।তাই নাকে পানি না দিলেও অজু শুদ্ধ হবে।