জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মুসাফিরের জন্য যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া (কসর) ওয়াজিব; চার রাকাত (পূর্ণ পড়া) নাজায়েয,এতে সে গুনাহগার হবে । কারণ মুসাফিরের নামাযের বিধান হল কসর।
,
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
অপর হাদিসে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
৭৭ কিলোমিটার থেকে বেশি দুরত্বে ১৫ দিনের চেয়ে কম সফরের নিয়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে কসর করতে হবে।
,
(০৩)
মুসাফিরের জন্য কসর পড়া ওয়াজিব।
কসর বাদ দিয়ে পূর্ণ নামাজ পড়া যাবেনা।
( উল্লেখ্য অন্যান্য কিছু মাযহাব,এবং কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলো মুসাফিরের জন্য কসর পড়া জায়েয, তবে ওয়াজিব নয়।
তাদের মতানুসারীরা সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।)
(০৪)
পূর্ণ বিতর নামাজই আদায় করতে হবে।
সুন্নতে মুআক্কাদা নামাযে কসর নাই।সময় সুযোগ থাকলে সফলের হালতে সুন্নতে মু'আক্কাদার নামায পড়ে নেওয়াই উত্তম।
(০৫)
এক্ষেত্রে ইমাম মুকিম হলে এই মুসাফির মুক্তাদি হলে সে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে।
,
(০৬)
হ্যাঁ করতে পারবে।
তবে মুকিম ব্যাক্তি তার ইক্তেদা করলে সে নিজের নামাজ শেষে মুকিম মুক্তাদিরের পূর্ণ নামাজ (পূর্ণ নামাজ হতে যে কয় রাকাত বাকি আছে,তাহা) আদায় করতে বলবে।
(০৭)
একই ওয়াক্তে হানাফি মাযহাব মতে এটির অনুমতি নেই।
তবে এক ওয়াক্তের শেষ মুহুর্তে এক নামাজ আর অন্য ওয়াক্তের শুরুতে ২য় নামাজ পড়া যাবে।
,
অন্যান্য কিছু মাযহাবে একই ওয়াক্তে মুসাফিরের জন্য এটির পূর্ণ অনুমতি রয়েছে।
(০৮)
ফজরের নামাজ তো এমনিতেই দুই রাকাত,তাই দুই রাকাত ফজর নামাজ পড়ার নিয়ত করে নামাজ শুরু করবে।
,
অন্যান্য নামাজ শুধু মাগরিব নামাজ ব্যাতিত সব গুলো ফরজ নামাজ দুই রাকাত আদায় করবে।
এই ভাবে মনে মনে নিয়ত করবে যে, জোহরের কসর নামাজ আদায়ের নিয়ত করছি।
বিতির নামাজ,আর মাগরিব নামাজ তিন রাকাতই আদায় করবে।