আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
283 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
আমাদের গ্রামের এক ছেলে নতুন বিয়ে করেছে। ৩/৪ মাস হলো।  কিন্তু গ্রাম সম্পর্কে ভাতিজার সাথে ওই মেয়েটির আন্তরিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছে। এক পর্যায়ে তারা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এখন মেয়েটি গর্ভবতী হয়েছে। এ নিয়ে মেয়ের স্বামীর পরিবারের সাথে ওই ছেলের পরিবারের বিচার ও হয়েছে। এখন ওই ছেলেটা বলতেছে বাচ্চাটা তার হবে। আর স্বামীর বয়স ১৭ বছর। সে একটু বোকা টাইপের।  পড়াশুনাও করেনাই। সে এসবে তেমন কিছু বুঝতে চাচ্ছেনা। আমার প্রশ্ন হইলো যে অবৈধ সম্পর্কের কারণে মেয়েটি গর্ভবতী হলো।  তার বিবাহিত স্বামীর সন্তান নয়। তাহলে যে সন্তান দুনিয়াতে আসবে তার পিতা কে হবে এবং সে কার পরিচয়ে বড় হবে?

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিয়ের ছয় মাসের কম সময়ে কোনো সন্তান জন্ম নিলে সেই সন্তান উক্ত দম্পত্তির নয় বলে প্রমাণিত হবে। বরং ঐ সন্তান জারজ সন্তান হিসেবে প্রমাণিত হবে। এবং তার নসব তার মা থেকে প্রমাণিত হবে। সুতরাং স্বামী চাইলে সে লেআন করতে পারবে । তখন কাযী সাব বা শরয়ী কিংবা পঞ্চায়েত তাদের মধ্যকার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিবে। 
আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। 
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صلّى الله عليه وسلم قَضَى أَنَّ كُلَّ مُسْتَلْحَقٍ اسْتُلْحِقَ بَعْدَ أَبِيهِ الَّذِي يُدْعَى لَهُ ادَّعَاهُ وَرَثَتُهُ، فَقَضَى أَنَّ كُلَّ مَنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ يَمْلِكُهَا يَوْمَ أَصَابَهَا، فَقَدْ لَحِقَ بِمَنْ اسْتَلْحَقَهُ، وَلَيْسَ لَهُ مِمَّا قُسِمَ قَبْلَهُ مِنَ الْمِيرَاثِ شَيْءٌ، وَمَا أَدْرَكَ مِنْ مِيرَاثٍ لَمْ يُقْسَمْ فَلَهُ نَصِيبُهُ، وَلَا يَلْحَقُ إِذَا كَانَ أَبُوهُ الَّذِي يُدْعَى لَهُ أَنْكَرَهُ، وَإِنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ لَمْ يَمْلِكْهَا، أَوْ مِنْ حُرَّةٍ عَاهَرَ بِهَا، فَإِنَّهُ لَا يَلْحَقُ بِهِ وَلَا يَرِثُ، وَإِنْ كَانَ الَّذِي يُدْعَى لَهُ هُوَ ادَّعَاهُ فَهُوَ وَلَدُ زِنْيَةٍ مِنْ حُرَّةٍ، كَانَ أَوْ أَمَةٍ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের প্রথম যুগে এরূপ ফায়সালা করতেন যে, প্রত্যেক উত্তরাধিকারী তার পিতার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিস হবে যাকে সে ওয়ারিস হিসাবে স্বীকার করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ ফায়সালাও দিতেনঃ প্রত্যেক দাসীর সন্তানকে সেই পাবে, যে ঐ দাসীর মালিক হয়ে তার সাথে সহবাস করেছে এবং সে সন্তানও ঐ ব্যক্তির সাথে সংযুক্ত হবে। ইতিপূর্বে যেসব সম্পদ বন্টন হয়ে গেছে, এ সন্তান তা থেকে কোনো অংশ পাবে না। আর যেগুলো ইতিপূর্বে বন্টন হয়নি এ সন্তান তা থেকে অংশ প্রাপ্ত হবে।

তবে পিতা তার জীবদ্দশায় সন্তানটিকে অস্বীকার করলে সন্তানটি তার সাথে সংযুক্ত হবে না। আর যদি সন্তান এমন দাসী থেকে জন্ম নেয়, যে ব্যক্তি তার মালিক নয় কিংবা এমন স্বাধীন মহিলা থেকে জন্ম নেয়, যার সাথে সে যিনা করেছে, এমতাবস্থায় এ সন্তান ঐ ব্যক্তির সাথে সংযুক্ত হবে না এবং এ সন্তান তার উত্তরাধিকারীও হবে না, যদিও সে ব্যক্তি দাবী করে। আর যাকে তার সাথে সংযুক্ত করা হয়, আর সেও সম্পর্কিত হয়, সে জারজ সন্তান, চাই সে দাসী কিংবা স্বাধীন নারীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করুক না কেন। ( সুনানে আবি-দাউদ-২২৬৫)    আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3712

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জারজ বা যিনার সন্তানের নসব জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে পিতা থেকে প্রমাণিত হয় না। বরং ঐ সন্তানের নসব তার মা থেকে প্রমাণিত হয়ে থাকে। যেহেতু যিনার সন্তানের নসব যিনাকারী থেকে প্রমাণিত হয় না, তাই ঐ যিনার সন্তান যিনা কারীর সম্পদ থেকে কিছুই পাবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/11709যিনার সন্তান তার মায়ের পরিচয়ে বড় হবে। তার ব্যায়ভার তার মা-ই বহন করবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (708,320 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 128 views
...