আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
edited by
করোনার জন্য কী মসজিদে না যেয়ে বাসায় সালাত আদয় করলে গুনাহ হবে।জুমা ত্যাগ করলে কী গুনাহ হবে।বাসায় যদি অস্স্থ রোগী থাকে।এ জন্য পিতা মাতা যদি মসজিদে যাওয়ায় বাধা হয় তাহলে পিতা মাতাকে কী করে বুঝাব।সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে বুঝালেও যদি না বুঝে।যদি বারাবারি করা হয় তাহলে হয়ত পিতা মাতা প্রচুর অপমান করার সম্ভাবনা থাকে।

কেউ প্রসাব করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে বেরিয়ে আসলে লজ্জাস্থান ভিজা থাকে।তখন যদি মনে হয় প্রসাব বের হয়েছে তখন কী করবে।কারণ তখনও ধোয়া পানিও কাপড়ে লাগে।

আমি এর আগেও কয়েকবার অনুরোধ করেছি আমার প্রশ্নগুলো ডিলিট করে দিতে।আবারও অনুরোধ৷ করছি।এর জন্য আমার ইমেইল আইডি কয়েকবার restrictrd করা জয়েছে।অনুরোধ করছি আমার প্রশ্নগুলো ডিলওট করার জন্য

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
৩০ মার্চ ২০২১ইংরেজী তারিখে  https://www.ifatwa.info/13351নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী। পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব। এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। উনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1267

আজ ২৮ মে ২০২১ইংরেজী তারিখে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতে মসজিদের জামাতকে ত্যাগ করা কি জরুরী? এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, এখনকার পরিস্থিতি আর আগের মত নয়, তাই মসজিদের জামাতেই শরীক হতে হবে। ওয়াজিব বিধান আবার চলে এসেছে । তবে কোথাও স্বাস্থ্যববিধি কে ফলো করা না হলে, এবং সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্ধমান থাকলে, সেই জায়গার মসজিদে না যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং আপনি বিশেষ প্রয়োজন বা অসুবিধা না থাকলে মসজিদেই নামায পড়বেন। মসজিদে জামাতে শরীক হওয়া যেহেতু ওয়াজিব, তাই এক্ষেত্রে মাতাপিতার বিধি-নিষেধকে মান্য করা যাবে না।
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।(সহীহ বোখারী-১/২৩০)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1707

কেউ প্রসাব করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে বেরিয়ে আসলে লজ্জাস্থান ভিজা থাকে। এদ্বারা পবিত্রতায় কোনো সমস্যা হবে না। 

প্রশ্ন ডিলেট করা সম্পর্কে আপনার সাথে ফোনে কথা বলতে চাই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...