আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
234 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (43 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমাদের ifatwa সাইটে এ ধরনের বেশ কিছু প্রশ্ন এসেছে যে - বাবা/মাকে না জানিয়ে বিবাহ করলে তা সহী হবে কিনা। উত্তরে সাধারণত বলা হয়েছে যে, প্রাপ্তবয়স্ক পাত্র-পাত্রী যদি সাক্ষী রেখে বিয়ে করে নেয়, তবে কুফু মিললে বিবাহ হয়ে যাবে কিন্তু অভিভাবকে না জানিয়ে বিবাহ করা ঠিক হবে না। কারণ, অভিভাবক সন্তানের কল্যাণই চায়।

এ প্রেক্ষিতে একজন বোনের প্রশ্নঃ
প্রথমত, অভিভাবক সন্তানের কল্যাণ চাইলেও বর্তমান সময়ে অনেক অভিভাবকই সন্তানের কল্যাণ কীসে তা বোঝে না এবং সে দিকে  গুরত্ব দেয় না। দ্বিতীয়ত, সব সন্তান এতটুকু ঈমানদার হয় না যে, নিজেকে বিবাহ থেকে যেমন বিরত রাখবে তেমনই বাহ্যিক-মানসিক সব ধরনের গোনাহ থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবে। ফলে, এমন বাস্তব উদাহরণও দেখতে পেয়েছি যে - সন্তান বিয়ে করতে চেয়েছে অথবা বিয়ের সময় হয়ে গেছে; এবং পরিবারের চেষ্টাহীনতায় সে বিয়ে করেনি কিন্তু পাপ থেকেও নিজেকে বাঁচাতে পারেনি।

যারা বছরের পর বছর নিজেকে অত্যন্ত সংযত রাখছে বাবা-মায়ের কথা মান্য করেই; ফলশ্রুতিতে বিয়ের উপযুক্ত সময় পার করে বিয়ে করছে; তাদের কথা তো বলাই বাহুল্য যে তারা ইনশাআল্লাহ আল্লাহর কাছে অসীম প্রতিদান পাবে।

আর যারা তাদের ঈমান এতটুকু অর্জন করতে পেরেছে যে, প্রথমত নিজের পদস্খলনের সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে বিয়ে করার চেষ্টা করেছে। তারপর ব্যর্থ হয়েছে। এবং এক সময়ে তার ঈমানী দূর্বলতার কারণে সে সবর করতেও ব্যর্থ হয়েছে এবং পাপে লিপ্ত হয়ে গেছে । তাদের ব্যাপারটা কী হবে?
প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে কোনটা জরুরী ছিল? বাবা-মার সন্তুষ্টি নাকি গোনাহ থেকে পবিত্রতা? সে যদি গোনাহরত অবস্থায় মারা যায়, তবে সে কোনটার বিনিময় পাবে? বাবা-মার মান্যতার বিনিময় নাকি গোনাহের বিনিময়?

দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, কারো পরিবার যদি ঘোষণাই দিয়ে দেয় যে নির্দিষ্ট এত বছর পর তাকে বিবাহ দিবে, তার আগে নয়। সে ক্ষেত্রে কি সে যদি বোঝে এতো বছর অপেক্ষা করা তার জন্য ক্ষতিকর; তবু সে নিজের বুঝটাকে অগ্রাহ্য করবে কিনা? তারপর সে ক্ষতির সম্মুখীন হলে, তার দায়ভার কে বহন করবে?

তৃতীয়ত, সাহাবাদের যামানাতে যদি এমন কোন উদাহরণ থেকে থাকে যে কেউ ফেতনার আশংকা করে বিবাহ করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু পরিবারের অসম্মতির কারণে সে বিবাহ থেকে বিরত ছিল; তবে তা সম্পর্কে জানতে চাই।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান এবং সমস্ত ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
closed

1 Answer

+1 vote
by (707,240 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনার বর্ণনা,
অভিভাবক সন্তানের কল্যাণ চাইলেও বর্তমান সময়ে অনেক অভিভাবকই সন্তানের কল্যাণ কীসে তা বোঝে না এবং সে দিকে গুরত্ব দেয় না। দ্বিতীয়ত, সব সন্তান এতটুকু ঈমানদার হয় না যে, নিজেকে বিবাহ থেকে যেমন বিরত রাখবে তেমনই বাহ্যিক-মানসিক সব ধরনের গোনাহ থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবে। ফলে, এমন বাস্তব উদাহরণও দেখতে পেয়েছি যে - সন্তান বিয়ে করতে চেয়েছে অথবা বিয়ের সময় হয়ে গেছে; এবং পরিবারের চেষ্টাহীনতায় সে বিয়ে করেনি কিন্তু পাপ থেকেও নিজেকে বাঁচাতে পারেনি।

আর যারা তাদের ঈমান এতটুকু অর্জন করতে পেরেছে যে, প্রথমত নিজের পদস্খলনের সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে বিয়ে করার চেষ্টা করেছে। তারপর ব্যর্থ হয়েছে। এবং এক সময়ে তার ঈমানী দূর্বলতার কারণে সে সবর করতেও ব্যর্থ হয়েছে এবং পাপে লিপ্ত হয়ে গেছে । তাদের ব্যাপারটা কী হবে?
প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে কোনটা জরুরী ছিল? বাবা-মার সন্তুষ্টি নাকি গোনাহ থেকে পবিত্রতা? সে যদি গোনাহরত অবস্থায় মারা যায়, তবে সে কোনটার বিনিময় পাবে? বাবা-মার মান্যতার বিনিময় নাকি গোনাহের বিনিময়?

আমরা আপনার উক্ত বর্ণনার বিত্তিতে বলবো,
যদি বিষয়টা এমনই হয়,যেমনটা আপনি বলছেন,তাহলে এমতাবস্থায় মাতাপিতার সন্তুষ্টিকে তালাশ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।বরং এমতাবস্থায় সে বিয়ে করে নিবে।তার জন্য জন্য বিয়ে করে নেয়া তখন ফরয।এবং বিয়ের জন্য চেষ্টা করাও ফরয।তখন গোনাহর সম্ভাবনাকে সামনে রেখে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা জায়েয হবে না।

(২)
কারো পরিবার যদি ঘোষণাই দিয়ে দেয় যে নির্দিষ্ট এত বছর পর তাকে বিবাহ দিবে, তার আগে নয়। সে ক্ষেত্রে এতো বছর অপেক্ষা করা তার জন্য ক্ষতিকর; জানার পরও অপেক্ষা করা তার জন্য জায়েয হবে না।বরং তখন যেকোনো উপায়ে গোনাহ থেকে বাঁচতে তার জন্য বিয়ে করা ফরয।


(৩)
ছাহাবা যুগে এরকম চাকুরীর কোনো চিন্তাভাবনা কারো ছিল না।বরং তখনকার লোকজন ব্যবসা বাণিজ্য ও পশু পালন,এবং কৃষিকাজ করেই সংসার পরিচালনা করতো।তখন যুদ্ধ বিগ্রহের দরুণ প্রত্যেক গোত্র বা কবিলার লোকসংখ্যার বড়ই প্রয়োজন ছিলো।সেজন্য লোকজন নিজ সন্তানাদিকে তারাতারি বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতো।তাছাড়া তখনকার সময়ে জৈবিক চাহিদা বাদীর দ্বারাও পূরণ করা সম্ভবপর হতো।
সন্তন বিয়ে করতে চায় কিন্তু মাতাপিতা চায়না,এমন কোনো ঘটনা আপাতত খুজে পাইনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 128 views
...