আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
354 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার কাজিন বোনের বিয়ে হয়েছে ফেব্রুয়ারীতে ১৮ তারিখ। উনার স্বামী অন্য জেলায় থাকে কাজের ক্ষেত্রে তো বিয়ের পর প্রথম ইন্টারকোর্সে তার কনসিভ হয়। যদিও ইমারজেন্সী পিল খেয়েছিল।
পরের মাসে পিরিয়ড ডেট ছিল ৪ মার্চ তা মিস হওয়ার ১৪ দিন পর ১৯ মার্চ টেষ্ট করে দেখে পজিটিভ তো সব মিলিয়ে ১ মাস হয়েছিল।যেহেতু এখন বেবি নিবে না তাই ২১ মার্চ ডাক্তারের কাছে গেলে উনারা আল্ট্রা করে দেখে যে পজিটিভ তারপর একটা ঔষধ দেয় আর বলে ১৫ দিন পর দেখা করতে। ঔষধ খাওয়ার পরই ব্লিডিং শুরু হয় ৮/১০ দিনের মতো থাকে বাকি ৫ দিন মেটে কালারের ডিসচার্জ যাচ্ছিল খুব কম।
তো ১৫ দিন পর ৪ এপ্রিল আবার আল্ট্রা করে দেখে যে মেইন যে জিনিস ছোট মাংসের দোলার মত তা বের হয়ে গেলেও হালকা ব্লাড লেগে লেগে আছে। তারপর আরও একটা ঔষধ দেয় ৩ দিনের ৩ বেলা করে দুটা দুটা করে খাওয়ার জন্য এবং খাওয়ার পর আরও ৭ দিন দেখতে বলে।
খাওয়ার ২য় ও ৩য় দিন হালকা ব্লাড গেলেও ৭ দিন পার হয়ে গিয়েছে। এতো দিন খয়েরী কালার খুবই কম ডিসচার্জ যাচ্ছিলো কিন্তু ২০ তারিখ রাতে ব্লিডিং হয় কিন্তু সকালে ব্লিডিং থাকে না আবার রাতে এভাবে ৩ দিন চলতিছে এখন নামায রোযার কি হুকুম। যেহেতু জানা ছিল ৩০ দিনের গর্ভপাত হলে তা ইস্তেহাজা হিসেবে গন্য হবে এজন্য এতো দিন নামায রোযা করেছে। কিন্তু এখন সন্দেহ হচ্ছে।
এক্ষেত্রে নামায রোযা কি ভাবে কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গর্ভপাত দুই ধরণের হয়ে থাকে,যথাঃ- 
(১)চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
(২)চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।

প্রথম পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত নাজায়েজ ও হারাম।বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
(ক)বর্তমানে কোলে দুধের একটি শিশু রয়েছে,অপরদিকে উক্ত মহিলার গর্ভাশয়ে নতুন সন্তানও উৎপাদিত হচ্ছে। গর্ভের ধরুন দুধ একেবারে শুকিয়ে গেছে। অপরদিকে উক্ত সন্তানকে অন্যকোনো উপায়ে লালনপালন করা যাচ্ছেনা। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্যকিছুতে সে মূখই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় চারমাস হয়নি এমন গর্ভকে গর্ভপাত করা বৈধ রয়েছে।
(খ)কোনো মুসলমান বিজ্ঞ ডাক্তার উক্ত গর্ভবতী মহিলাকে পরিদর্শন করে বলে যে,গর্ভপাত না করলে মহিলার জান বা কোনো অঙ্গ বিনাশের আশঙ্কা রয়েছে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি সর্বদাই নাজায়েয ও হারাম।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/446


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-


সুতরাং,
যদি তিন দিনের কম বা দশদিনের বেশী হয়,তাহলে এটা ইস্তেহাযা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...