আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in পবিত্রতা (Purity) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।


খুব বড় একটি সমস্যায় আছি। আমার গোসল ফরজ অবস্থায় আমি বাইরে যাই দুলাভাই এর সাথে। আমার ধারণা ছিল বাসায় এসে পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারব। কিন্তু, কোন কারণে রাস্তায় নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যায়। তাই দুলাভাই আমাকে নামাজ পড়তে নিয়ে যায়। লজ্জার কারণে গোসল ফরজের কথা দুলাভাই কে জানাতে পারিনি। তাই ভাবলাম, দুলাভাই এর সাথে নামাজ পড়ব পরে বাসায় এসে ফরজ গোসল করে নামাজ আদায় করে নিব। এতে আমার গোসল ফরজ ছিল তাও গোপন রইল। দুলাভাই এর সাথে অযু করে আমি একা একা নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় হঠাৎ একদল অপরিচিত লোক এসে পড়ে এবং আমাকে ইমামতি করতে বলে। আমি এড়িয়ে যাবার চেস্টা করি এবং আমি দুজন কে নামাজ পড়ানোর জন্য বলি এবং তারা নামাজ পড়াতে চায়না এবং আমাকে একপ্রকার সামনে ঠেলে দেয়। আমি যদিও সবার সামনে আমার ফরজ গোসলের ব্যাপারে জানাতে পারিনি। আমিও একপ্রকার অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইমামতি করে ফেলি যদিও আমি জানতাম আমার বা মুক্তাদি কারো নামাজ ই হবেনা। কিন্তু আমি এড়িয়ে যাওয়ার চেস্টা করেছি এবং আমার মাথায় আসছিল না কিভাবে এখান থেকে বের হওয়া যায়। আমি নামাজ শেষেও বলতে চেয়েছিলাম যে নামাজ হয়নি আবার পড়েন। তখন খেয়াল করলাম মুক্তাদিদের কেউ চলে গেছে। তাই ঘোষণা দিলেও সবাই জানতে পারবেনা। আবার অপ্রস্তুত হয়ে পড়ায় আমি কিছুই বলতে পারিনি। নামাজ শেষ করে চলে এসেছি। আমার মন অনেক খারাপ হয়ে গেছে এরপর থেকে।  প্রচন্ড অপরাধবোধ কাজ করছে। যদিও যা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ইচ্ছার বিরুদ্ধে এবং আমার জানার মধ্যেই। আমি জানি যে তাওবা করে গুনাহ থেকে ফিরে আসলে আল্লাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু আমি এমন অপরাধ করেছি যা তাওবা করে ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয় কারণ আমার কারণে অনেক মুক্তাদির নামাজ হয়নি। আমি যে তাদের খুজে বের করে এখন পুনরায় নামাজ পড়তে বলব তাও সম্ভব নয়। কারণ অজানা অচেনা জায়গা, তার উপর কাউকেই চিনিনা আর চেহারাও মনে নেই। আমার ধারণা যে, এক্ষেত্রে আসলে তাওবা করলেও ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ একদম ই নেই। এবং আমি যদি পরবর্তী জীবনে সমস্ত পাপ ত্যাগ করে দ্বীনের পথে চলা শুরুও করি, আমার এ গুনাহ কখনোই ক্ষমা হবেনা। একই সাথে জান্নাতে যাওয়ার কোন রাস্তাই নেই। আমি হতাশ হয়ে পড়েছি। জানি, আল্লাহ চাইলে ক্ষমা করতেই পারেন। কিন্তু এ পরিস্থিতি তে এ আশাও করতে পারছিনা। এ গুনাহ ক্ষমা করানোর কোন রাস্তা আমি দেখতে পাচ্ছিনা। আবার মুক্তাদিদের কি হবে। আমার জন্য তারাও আল্লাহর নিকট অপরাধী হয়ে গেল। এ অবস্থায় আমার জন্য কোন সম্ভাবনা আছে কিনা ক্ষমা পাওয়ার? কিংবা আমি যদি মুক্তাদিদের কাজা নামাজ আদায় করে তাদের নামে বখশিশ করে দিই তবে তারা ক্ষমা পাবেন কিনা। আমি এ অবস্থায় কোন আশাই দেখতে পারছিনা। যদিও আমি মনস্থির করে ফেলেছি আমি তাওবা করব। অনুরূপ কাজ আর কখনোই করব না। একই সাথে আমি মন থেকে অনেক লজ্জিত, অনুতপ্ত। আমার পক্ষে এ ছাড়া আর কিছুই করার নাই। আর মুক্তাদিদের ব্যাপারেই বা কি হবে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে পবিত্রতা অর্জন করা নামাজের জন্য শর্ত।
পবিত্রতা ব্যাতিত নামাজ হয়না।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا ؕ

 মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে উত্তম রুপে পবিত্র হবে।
(সুরা মায়েদা ০৬)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ 

কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও হান্নাদ (রহঃ) ... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তাহারাত ছাড়া সালাত কবূল হয় না।
ইবনু মাজাহ  -২৭২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইমাম মুক্তাদী কাহারই নামাজ হয়নি।
সকলকেই পুনরায় সেই নামাজ আদায় করতে হবে। 

আরো জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
আপনি এক্ষেত্রে পরবর্তী দিন বা তার কয়েকদিনের মধ্যে ফজরের নামাজে সেই মসজিদে নিজে হোক বা ইমাম সাহেবের মাধ্যমে হোক,বা অন্য কাহারো মাধ্যমেই হোক,কারন বশত ঐ দিনের ফজরের নামাজ না হওয়ার বিষয়টি ই'লান করাবেন।

তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে,ইনশাআল্লাহ। 

মসজিদের ইমাম/মুয়ায্যিনকে বিষয়টি ই'লান করতে বলে তারা অবশ্যই ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে ই'লান করে দিবে।    

পরে কোনো এক ফজরের নামাজের পর ই'লান করবে,তাহলে এই নামাজে সেদিন যারা যারা উপস্থিত ছিলো,তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবে,আর কাজা নামাজও তুলতে পারবে।
কেউ অনুপস্থিত থাকলে তারাই অনুপস্থিত ব্যাক্তিদের জানিয়ে দিবে,আপনার কিছুই করতে হবেনা।

★আপনি শুধু ইমাম/মুয়ায্যিন/কমিটির কেউ/অন্য কাহারো মাধ্যমে ই'লানের ব্যবস্থা করবেন।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
হুজুর জায়গাটা কোন মসজিদ ছিল না, রেস্টুরেন্ট ছিল। হাইওয়ের পাশে ছিল। ওখানে মানুষ খেতে আসে এবং নামাজ পড়ে। কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন নেই। আশে পাশে মসজিদ আছে হয়ত।  এখন কি করব

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...