আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম

আমি একটি বই ক্রয় করতে চাচ্ছিলাম । যেটি তারিখ এ উম্মাত এ মুসলিম ইসলামি রেহান হাফিঃ এর বই ।যেটি বাংলাতে দুটি পাবলিকেশন থেকে প্রকাশ পেয়েছে। একটি ইত্তিহাদ আরেকটি মাকতাবাতুল আযহার । কোয়ালিটির দিক দিয়ে মাকতাবাতুল আযহার এর টি আমার ভালো লেগেছে। এবং এটিতে দুইজন জনপ্রিয় লেখক এর কাজ রয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে মাকতাবাতুল আযহার এর টিতে লেখক পারমিশন নেই যা ইত্তিহাদ এর টিতে রয়েছে।
শরিয়ত অনুযায়ি আমার কি মাকতাবাতুল আযহার এর টি ক্রয় করা উচিত হবে?

যদি না হয় তাহলে যে দুইজন জনপ্রিয় লেখক কাজ করেছে তারা আলেম । তারা যে কাজটি করেছে এটি কি বৈধ হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/9971/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম কোনো জিনিষ আবিস্কার করেছে,তার আবিস্কৃত জিনিষ অস্তিত্বমান বস্তু হোক বা অস্তিত্বহীন, নিঃসন্দেহে সেইব্যক্তি অন্যের তুলনায় তা থেকে উপকৃত হওয়ার, প্রস্তুত করার এবং মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার বেশী অধিকারী।

কেননা, আবু দাউদ শরীফে হযরত আসমুর ইবনে মুদরাস (রা.) থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, 'আমি নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হয়ে তার হাতে বাইআত গ্রহণ করি।এ সময় নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,' যে ব্যক্তি ওই বস্তুর দিতে অগ্রসর হল, যে বস্তুর দিকে কোনো মুসলমান অগ্রসর হয় নাই,তাহলে ওই বস্তু ওই ব্যক্তির।(যে ওই দিকে প্রথম অগ্রসর হয়েছে।)আবু-দাউদ:৪/২৬৪ হাদীস নং২৯৪৭)

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিত তাহার পিডিএফ ছাপিয়ে বিক্রয় করা জায়েজ নেই। এটা কর্তৃপক্ষের সাথে ধোঁকা দেওয়ার শামিল। শরীয়তের বিধান হলো  কাউকে কোনোভাবেই ধোকা দেওয়া জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/7950/

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

সাধারণত কোন পাবলিকেশনের জন্য লেখকের অনুমতি ছাড়া বা তার সাথে কোন চুক্তি করা ছাড়াই  তার বই ছাপানো জায়েজ নেই।  এবং  যদি বিকল্প উপায় থাকে তাহলে জেনেশুনে এমন পাবলিকেশন থেকে  এজাতীয় বই ক্রয় করা থেকেও দূরে থাকা উচিত।

 তবে আমাদের জানামতে মাকতাবাতুল আযহার  বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ ও প্রথম সারির মাকতাবা গুলোর মধ্য থেকে অন্যতম একটি । তারা  কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া  এজাতীয় কাজ না করারই কথা।  সুতরাং  আপনার নিকট  সবিনয় অনুরোধ থাকবে যেআপনি  মাকতাবা কর্তৃপক্ষের সাথে  কথা বলে  উক্ত  বই সম্পর্কে  এবং  তাদের  কর্মপন্থা সম্পর্কে অবগত হওয়ার চেষ্টা করবেন।  অন্যথায় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে না জেনে মন্দ ধারণা করা মোটেও উচিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
জি উস্তাদ আমি শিউর হয়েছি।আমি মাকতাবাতু আযহার এ মেসেজ দিয়েছি তারা সিন করেও উত্তর দেয় নায়। তাই ইত্তিহাদ এ যখন মেসেজ দিলাম তাড়া বল্ল মুল লেখক তাদের ছাড়া আর কাউকে বাংলাতে করার অনুমতি দেয় নি।

উস্তাদ এমন হলে তো অনেক বই ই পড়া যাবে না।আমি রুহামা সহ প্রায় প্রকাশনের সাথে কথা বলছি।তাড়া বল্ল দুই একটি বই ছাড়া তাদের কোনো বই এর অনুমতি নেই।
এখন করনীয় কি?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...