আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আমার ছোট ভাইয়ের নুরানি মাদ্রাসার ক্লাস, তাদের মসজিদের একপাশে পার্টিশন করে করানো হয়, সেখানে মুসল্লা থাকেনা। তাকে আমার ক্লাস দিয়ে আসতে হয়। ছোট মানুষ, তাই  একা যেতে যায় না।  হায়েজ অবস্থায় তাকে দিয়ে আসা কি জায়েজ হবে? দিয়েই সাথে সাথে বের হয়ে যাওয়া যাবে কি? একটা বিকল্প উপায় জানালে উপকৃত হবো, হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হায়েজ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
জাসরাহ বিনতু দিজাজাহ সূত্রে বর্ণিত।

قَالَ: حَدَّثَتْنِي جَسْرَةُ بِنْتُ دَجَاجَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَقُولُ: جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوُجُوهُ بُيُوتِ أَصْحَابِهِ شَارِعَةٌ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ: «وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ». ثُمَّ دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَصْنَعِ الْقَوْمُ شَيْئًا رَجَاءَ أَنْ تَنْزِلَ فِيهِمْ رُخْصَةٌ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ بَعْدُ فَقَالَ: «وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ، فَإِنِّي لَا أُحِلُّ الْمَسْجِدَ لِحَائِضٍ وَلَا جُنُبٍ» 

 তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে দেখলেন, সহাবাদের ঘরের দরজা মসজিদের দিকে ফেরানো। (কেননা তারা মসজিদের ভিতর দিয়েই যাতায়াত করতেন)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদ হতে অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় এসে দেখলেন, লোকেরা কিছুই করেননি, এ প্রত্যাশায় যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ব্যাপারে কোন অনুমতি নাযিল হয় কিনা। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে তাদের আবারো বললেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদ হতে অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। কারণ ঋতুবতী মহিলা ও নাপাক ব্যক্তির জন্য মসজিদে যাতায়াত আমি হালাল মনে করি না।
(সুনানে আবি-দাউদ-২৩২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মসজিদের যেই অংশে নূরানী ক্লাশ করানো হয়,সেটিও মসজিদেরই অংশ। সুতরাং সেখানে হায়েজ অবস্থায় প্রবেশ করা আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে আপনার হায়েজের দিন গুলোতে অন্য কাউকে দিয়ে তাকে পাঠিয়ে দিবেন।
অথবা মসজিদের নিকটে এসে সেখানকার কোনো ছাত্রকে ডেকে নিয়ে তাকে দিয়ে আপনার ছোট ভাইকে ক্লাশে বসিয়ে দিবেন।

অথবা ছোট ভাইকে এমন ভাবে শিখাবেন,যাতে করে আপনার মসজিদ পর্যন্ত আনাটাই যথেষ্ট হয়। সে যেনো মসজিদে প্রবেশের পর একাই ক্লাশে যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
 মাসিক অবস্থায় নারীরা তা‘লীমী বৈঠক সহ বিভিন্ন কারণে মসজিদে অবস্থান করতে পারবে কি?
উত্তর : মাসিক অবস্থায় নারীরা মসজিদে অবস্থান করতে পারবে। তবে ছালাত আদায় করতে পারবে না। রাসূল (ছাঃ) ঋতুবতী অবস্থায় কেবলমাত্র ছালাত ও তাওয়াফ থেকে নিষেধ করেছেন, মসজিদে গমন থেকে নয়। যেমন ঋতুবতী অবস্থায় আয়েশা (রাঃ) হজ্জ পালনের জন্য মক্কায় আসলে রাসূল (ছাঃ) তাকে ছালাত ও তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের যাবতীয় বিধান পালনের অনুমতি দেন (বুখারী হা/৭২৩০)। স্মর্তব্য যে, উম্মু সালামা ও আয়েশা (রাঃ) থেকে ঋতুবতী ও অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদ হালাল’ নয় মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/২৩২; মিশকাত হা/৪৬২)।  
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহু। উস্তাদ মাসিক আল কাউসারে এই ফাতোয়া দেয়া আছে। এটা একটু যদি দেখতেন মুনাসিব হত উস্তাদজি।
by (574,050 points)

سنن ابوداؤد 

٢٣٢ -" حدثنا مسدد، حدثنا عبد الواحد بن زياد، حدثنا أفلت بن خليفة، حدثتني جسرة بنت دجاجة، قالت:سمعت عائشة تقول جاء رسول الله  صلى الله عليه وسلم و وجوه بيوت أصحابه شارعة في المسجد، فقال: "وجهوا هذه البيوت عن المسجد" ثم دخل النبي صلى الله عليه وسلم ولم يصنع القوم شيئا رجاء أن تنزل فيهم رخصة، فخرج إليهم، فقال: "وجهوا هذه البيوت عن المسجد، فإني لا أحل المسجد لحائض ولا جنب."

( كتاب الطهارة، باب الجنب يدخل المسجد، ج: 1، ص: 166۔167، ط: دار الرسالة العالمية)


تبیین الحقائق 

"قال - رحمه الله -: (ودخول مسجد والطواف) أي يمنع الحيض دخول المسجد، وكذا الجنابة تمنع لقوله عليه الصلاة والسلام: «فإني لا أحل المسجد لحائض ولا جنب."

( كتاب الطهارة، باب الحيض،ج: 1، ص: 56، ط: دار الكتاب الإسلامي)

البحر الرائق 

"(قوله: ودخول مسجد) أي يمنع الحيض دخول المسجد وكذا الجبانة وخرج بالمسجد غيره كمصلى العيد والجنائز والمدرسة والرباط فلا يمنعان من دخولها."

(ما يمنعه الحيض، ج: 1، ص: 205، ط: دار الكتاب الإسلامي)


আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...