আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in ওয়াসওয়াসা by (51 points)
এক ব্যক্তি ৩ বছর যাবত ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত। সে একজন রাক্বীর কাছে যায় আর কুরান সুন্নাহর মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়ে জানতে পারে তার উপর জীনের নজর ছিল। মাথাত আর বুকে জীন প্রভাব বিস্তার করত। জীনের প্রভাবের কারণে সে ৩ বছর উল্টাপাল্টা কাজ করেছে। পরিবারের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছে। কুফরিতে জড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। সে যখন রেগে যেত তখন সেন্সে থাকত না। এসব কাজের ফয়সালা কিরূপ হবে? মানে, একতরফা ভাবে বা কোনভাবে ওই ব্যক্তিকে দোষ দেয়া যাবে? উল্লেখ্য, জ্বীনে আক্রান্ত হবার পূর্বে ছেলে খুবই ভদ্র আর দ্বীনদার ছিল।


রুকইয়াহ করার পর অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছে এবং পূর্বের ঘটনার জন্য অনুতপ্ত

1 Answer

0 votes
by (681,320 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ اِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِه قَرِينُه مِنْ الْجِنِّ وَقَرِينُه مِنَ الْمَلَائِكَةِ قَالُوا : وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : وَإِيَّايَ، وَلَكِنَّ اللهَ أَعَانَنِيْ عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلَا يَأْمُرُنِي اِلَّا بِخَيْرٍ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার একটি জিন্ (শায়ত্বন (শয়তান)) ও একজন মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে জিন্ শায়ত্বনের (শয়তানের) ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়েছে। ফলে সে কক্ষনও আমাকে কল্যাণকর কাজ ব্যতীত কোন পরামর্শ দেয় না। 

(সহীহ : মুসলিম ২৮১৪, আহমাদ ৩৮০২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৪১৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৬৫৮।)
,
আরো  জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহর বৈচারিক নিমিত্তে সে দোষী হবেনা।
তবে দুনিয়াবি ক্ষেত্র গুলোতে মানুষের হক নষ্ট করে থাকলে মানুষ তাকে দোষী বলতে পারে।
যেমন এমতাবস্থায় সে চুরি করলে মানুষ তাকে দোষী বলতে পারে,তার উপর চুরির দায় দিতে পারে।

তদুপরি উক্ত ব্যাক্তির জন্য করনীয়, যাদের সাথে মন্দ আচরণ করেছে,তাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...