আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)

আসসালামু আলাইকুম

১. আমি কোথাও পড়েছি যে, কোন উদ্দেশে  ইয়া আলী বলা যাবে না। এতে ইমানের সমস্যা হবে। আমি সকালে মসজিদে যাওয়ার সময় দুয়া পরছিলাম এমন সময়  হটাত বিষয় টি মনে পড়ে। আমার কাছে মনে হয় ইয়া আলী এই শব্দটি উচ্চারিত হল কি না। এরপর থেকে সারা দিন নানা কাজের সময়  মনে করতে থাকি এবং বারবার বিষয়টি চিন্তা করি এতে  বিড়বিড় করে উচ্চারিত হল কিনা বুঝতে পারছিনা। এখন আমার প্রশ্ন হল এতে কি কোন ঈমানে সমস্যা হবে? আর বিড়বিড় করে কোন কুফর বা শিরক বাক্য উচ্চারিত হলে কি কোন সমস্যা হয়?  সেদিন বুঝতে পারছিলাম না কেন যে বারবার এমনটা হল।

২. আমি একজায়গায় শিক্ষকতা করি। গনিত বুঝানোর সময় হটাত করে ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলি – মনে কর, তোমরা ৫ ভাই বোন। আবার ছাত্রদের হাসানোর জন্য সংখ্যা বাড়িয়ে  বললাম  মনে কর তোমরা ১০ ভাই বোন। এতে শিক্ষার্থীরা হেসেছে। পড়ে বুঝলাম এমনটি করা ঠিক হয়নি। এখন চিন্তা করছি এটি কি শরিয়তের কোন বিষয় নাকি? এতে কি কোন ঈমানে সমস্যা হবে?

৩.  কেউ রোজার জন্য সেহেরি খেয়ে নিয়ত করে কিন্তু  পড়ে আবার ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে  কিছু খেলে কি রোজা হবে?

৪. আগে অনেক রোজা করেনি। আমি তওবা করেছি। সেই সঙ্গে রোজার কাফফারা আদায়ের নিয়ত করেছি।এবং  রোজা করেছি। আমার এই কাফফারা রোজা করার আগে কি ক্বাযা রোজা করা দরকার ছিল? আমার তো মনে নাই কত রোজা ক্বাযা করেছি। আমার ইচ্ছা হল আগে আফফারা আদায় করে তারপর প্রতি সপ্তাহে ২/৩ টি করে রোজা করার। এতে আমার কাযা ও কাফফারা কি আদায় হবে?

৫. নানা পেরেসানিতে মন ভালো নেই তাই ১ টি ইসলামি ভিডিও দেখছিলাম কোন এক বিষয়ের উপর তখন ভিডিও তে এক ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করছিলে আমি তখন কেন যেন বিরক্ত / রাগ ভাব হয়ে ভিডিও টেনে দিলাম।  এরপর মনে হল আমি একি করলাম। আসলে কোরআনের প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নেই। এতে কি আমার ঈমানে কোন সমস্যা হবে?

৬. উপরক্ত ঘটনাসহ নানা কাজে মাঝে মধ্য মনে হয় কোন কারণে ঈমানে সমস্যা হল কিনা, ভয় লাগে। এতে করে কি কোন সমস্যা হবে? কারন আমি এক বই এ পড়েছি নিজের ঈমান নিয়ে সংশয় থাকলেও নাকি ঈমান নষ্ট হয়?

৫. কারো মৃততে কেউ যদি বলে – আল্লাহ্‌ নিয়ে গেছে, কি আর করা যাবে? এটা বললে কি কোন সমস্যা হবে?

৬. আমি বিবাহিত। সবকিছু যেন কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কিছুই বুঝতে পারছি না। আপনাদের দোয়া ও পরামর্শ চাই।

 

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০৩)
এক্ষেত্রে সাহরীর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে আবার কিছু খেলে তারপর সারাদিন রোযা রাখলে রোযা হয়ে যাবে।

(০৪)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা বাক্বারা১৮৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি আগে কাফফারার রোযা আদায় করতে পারবেন,চাইলে আগে কাজা রোযাও আদায় করতে পারবেন।

কাফফারার রোযা আদায় করে পরবর্তীতে প্রতি সপ্তাহে ২/৩ টি করে কাজা রোযা আদায় করতে পারবেন।
এতে কাজা ও কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।

কাজা রোযার নিয়ত সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(১.২.৫.৬)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...