আসসালামু আলাইকুম
১. আমি কোথাও পড়েছি যে, কোন উদ্দেশে ইয়া আলী বলা যাবে না। এতে ইমানের সমস্যা হবে। আমি সকালে মসজিদে যাওয়ার সময় দুয়া পরছিলাম এমন সময় হটাত বিষয় টি মনে পড়ে। আমার কাছে মনে হয় ইয়া আলী এই শব্দটি উচ্চারিত হল কি না। এরপর থেকে সারা দিন নানা কাজের সময় মনে করতে থাকি এবং বারবার বিষয়টি চিন্তা করি এতে বিড়বিড় করে উচ্চারিত হল কিনা বুঝতে পারছিনা। এখন আমার প্রশ্ন হল এতে কি কোন ঈমানে সমস্যা হবে? আর বিড়বিড় করে কোন কুফর বা শিরক বাক্য উচ্চারিত হলে কি কোন সমস্যা হয়? সেদিন বুঝতে পারছিলাম না কেন যে বারবার এমনটা হল।
২. আমি একজায়গায় শিক্ষকতা করি। গনিত বুঝানোর সময় হটাত করে ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলি – মনে কর, তোমরা ৫ ভাই বোন। আবার ছাত্রদের হাসানোর জন্য সংখ্যা বাড়িয়ে বললাম মনে কর তোমরা ১০ ভাই বোন। এতে শিক্ষার্থীরা হেসেছে। পড়ে বুঝলাম এমনটি করা ঠিক হয়নি। এখন চিন্তা করছি এটি কি শরিয়তের কোন বিষয় নাকি? এতে কি কোন ঈমানে সমস্যা হবে?
৩. কেউ রোজার জন্য সেহেরি খেয়ে নিয়ত করে কিন্তু পড়ে আবার ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু খেলে কি রোজা হবে?
৪. আগে অনেক রোজা করেনি। আমি তওবা করেছি। সেই সঙ্গে রোজার কাফফারা আদায়ের নিয়ত করেছি।এবং রোজা করেছি। আমার এই কাফফারা রোজা করার আগে কি ক্বাযা রোজা করা দরকার ছিল? আমার তো মনে নাই কত রোজা ক্বাযা করেছি। আমার ইচ্ছা হল আগে আফফারা আদায় করে তারপর প্রতি সপ্তাহে ২/৩ টি করে রোজা করার। এতে আমার কাযা ও কাফফারা কি আদায় হবে?
৫. নানা পেরেসানিতে মন ভালো নেই তাই ১ টি ইসলামি ভিডিও দেখছিলাম কোন এক বিষয়ের উপর তখন ভিডিও তে এক ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করছিলে আমি তখন কেন যেন বিরক্ত / রাগ ভাব হয়ে ভিডিও টেনে দিলাম। এরপর মনে হল আমি একি করলাম। আসলে কোরআনের প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নেই। এতে কি আমার ঈমানে কোন সমস্যা হবে?
৬. উপরক্ত ঘটনাসহ নানা কাজে মাঝে মধ্য মনে হয় কোন কারণে ঈমানে সমস্যা হল কিনা, ভয় লাগে। এতে করে কি কোন সমস্যা হবে? কারন আমি এক বই এ পড়েছি নিজের ঈমান নিয়ে সংশয় থাকলেও নাকি ঈমান নষ্ট হয়?
৫. কারো মৃততে কেউ যদি বলে – আল্লাহ্ নিয়ে গেছে, কি আর করা যাবে? এটা বললে কি কোন সমস্যা হবে?
৬. আমি বিবাহিত। সবকিছু যেন কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কিছুই বুঝতে পারছি না। আপনাদের দোয়া ও পরামর্শ চাই।