আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)

আমি পূর্বে একজন ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ছিলাম। এখন সুস্থ জীবন যাপন করছি। তবে, কিছু বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাচ্ছিনা বলে প্রতিদিন আমাকে কষ্ট করতে হচ্ছে। আমি আপনার দেওয়া ফতোয়া অনুযায়ী আমল করবো।

১।  পায়জামায় সামান্য প্রস্রাবের ফোটা যা ১ দিরহামের চেয়ে কম লাগলে সেই পায়জামা পড়ে গোসল করলে কি সেই পায়জামা পাক হয়ে যাবে? যেহেতু মাথায় ৫-৬ মগ পানি ঢালবো এতে কি গড়িয়ে সেই স্থান পাক হবে?

২। বাসার বাকী সদস্য পাক - নাপাকির ক্ষেত্রে উদাসীন, ইস্তেঞ্জা করে না। এক্ষেত্রে, প্রতিদিনই কি বালতি ৩ বার ধৌত করে গোসল করতে হবে? কাপড় শুকানোর দরি (যেহেতু একই দরিতে কাপড় শুকানো হয়), দরজার হাতল( তারা ভেজা হাতে দরজা খুলে), কারেন্টের সুইচ। এইগুলো আমি কিভাবে পাক রাখবো? 

৩। একটি চাদরে নাপাকি লাগলে তারা একবারই ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ধৌত করে। এক্ষেত্রে, সেসব চাদরে আমি ঘুমালে কি শরীর নাপাক হয়ে যাবে?

৪। আমি পূর্বে এক জায়গায় পড়েছিলাম ভেজা হাতে শুকনো নাপাক স্পর্শ করলে হাত নাপাক হয়। এখন, হাত তো অনেক সময় গরমে কিছুটা ভেজা ভাব থাকে সেটাতেও কি নাপাকি ছড়ায়?

৫। নাপাকির চিহ্ন গন্ধ - না পেলে কি সব পাক ধরে নিবো? যেমন: কোন নাপাক বিছানার চাদর একবার ধৌত করলে সেই চাদরে ভেজা হাতে স্পর্শ করলে তো নাপাকির কোন চিহ্ন, গন্ধ, স্বাদ থাকে না।

by (713,000 points)
আপনি এখনও সুস্থ হননি। দয়াকরে কোর্সটি করে নিন।

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...