কুরআন কারীমের মধ্যে জুমআর আযানের পর ক্রয় বিক্রয় করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
,
এই জন্য জুমআর প্রথম আযানের পর ক্রয় বিক্রয় করা নাজায়েজ ।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৬/২১)
জুমার আযানের পর কেনা-বেচা করতে কুরআন মাজীদে নিষেধ করা হয়েছে। কেহ যদি এই সময়ে ক্রয় বিক্রয় করে,তাহলে সেই হুকুমের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا نُوْدِیَ لِلصَّلٰوةِ مِنْ یَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا اِلٰی ذِكْرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الْبَیْعَ ذٰلِكُمْ خَیْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ.
হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিনে (জুমার) নামাযের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটা তোমাদের জন্য অধিক উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। [সূরা জুমুআ (৬২) : ০৯]
যেহেতু জুমআর নামাজের আযান ২ টা।
তাই এই নিষেধাজ্ঞা কখন থেকে শুরু,এই ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
কেহ কেহ বলেন যে ২য় আযানের পর ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ।
یکرہ البیع و الشراء یوم الجمعۃ إذا صعد الإمام المنبر و أذن الموذنون بین یدیہ‘‘
بدائع الصنائع : ۱/۶۰۵۔
অনুবাদঃ যখন ইমাম মেম্বারে উঠবে,আর মুয়াজ্জিন আযান দিবে, তখন থেকে ক্রয় বিক্রয় মাকরুহ।
,
তবে রাজেহ কওল নির্ভরযোগ্য মত হলো প্রথম আযানের পরেই ক্রয় বিক্রয় করা মাকরুহে তাহরিমি এবং গুনাহ।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৩/৩৬)
ووجب سعی إلیہا و ترک البیع ۔۔۔ بالأذان الأول فی الأصح‘‘
الدرالمختار مع الرد : ۱/۵۵۲۔
অনুবাদঃ প্রথম আযানের সাথে সাথেই ক্রয় বিক্রয় ছেড়ে দিয়ে মসজিদের দিকে আসা,সায়ী করা ওয়াজিব।
’’و افاء فی البحر صحۃ اطلاق الحرمۃ علی المکروہ تحریما ‘
الدرالمختار علی ہامش الرد : ۱/۵۵۲۔
যার সারমর্ম হলো এই সময়ে ক্রয় বিক্রয় করা মাকরুহে তাহরিমি।
আপনি যদি এক্ষেত্রে ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনি ক্রয় করলে তাহা হারাম হবেনা।