আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)

১. কোনো ব্যক্তির নামাজ শেষ করার পর যদি অযু নিয়ে সন্দেহ হয় মানে নামাজ পড়ার সময় তার অযু ছিল কিনা তা বুঝতে না পারে তাহলে কি নামাজ হবে?
২. অমুসলিম  মেয়ে দের সামনে চেহারা খোলা রাখা কি জায়েজ?
৩ পা ছুয়ে সালাম করা কি জায়েজ?.মাথা না ঝুকিয়ে সোজাসুজি বসে যদি শুধু পা স্পর্শ করা হয় তাহলেও কি গুনাহ হবে?
৪ ছাত্রী হিসেবে শিক্ষকের (পুরুষ) কাছে চিঠি লেখা কি জায়েয?
৫ অনেক পুরুষ মানুষ হাটুর উপর কাপড় তুলে রাখে।আবার অনেকের পায়জামার কাপড় খুব পাতলা হওয়ার কারণে ত্বক দেখা যায়।এক্ষেত্রে তাদের পায়ের দিকে তাকালে কি গুনাহ হবে?
৬. অমুসলিম মেয়েদের  সামনে মুসলিম মেয়েদের কতটুক খোলা রাখা যাব?
৭কোনো কাজ যেটা মুসলিম হিসেবে আমরা করলে গুনাহ হবে সেটা কোনো অমুসলিমকে দিয়ে করালেও কি গুনাহ হবে?
৮. কিভাবে নিজেকে উত্তম চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলা যায়?
৯.দৃঢ় ঈমানের অধিকারী হওয়ার ও উত্তম মৃত্যু লাভের উপায় কী?
১০ হারাম উৎস থেকে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত  কিছুর (যেমন  বই, কাপড়,খাবার,বা অন্যকিছু) সম্ভাব্য দাম সাওয়াব এর নিয়ত ছাড়া কোন গরিব মুসলিমকে দিতে পারব?দিলে ঐ জিনিসটা ব্যবহার করা যাবে?
১১.হারাম ইনকামের কেউ যদি কিছু উপহার দেয় কিন্তু ধারণা করা যায় সেটা তার কেনা নয়,অন্য কেউ তাকে দিয়ে ছে (যার ইনকাম সম্পর্কে আমার ধারণা নেই)তাহলে সেই জিনিস ব্যবহার করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এক্ষেত্রে নামাজের আগে অযু অবস্থায় ছিলো,তবে নামাজের মধ্যে অযু চলে গিয়েছিলো কিনা,এই সন্দেহে থাকলে অযু চলে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে নামাজ হবে।

আর যদি নামাজের আগে অযু অবস্থায় ছিলো কিনা এই সন্দেহে পড়ে যায়,সেক্ষেত্রে সে প্রবল ধারণার উপর আমল করবে।

যদি প্রবল ধারণা হয় যে তার অযু ছিলো,সেক্ষেত্রে নামাজ হবে।

আর যদি প্রবল ধারণা হয় যে তার অযু ছিলোনা,সেক্ষেত্রে অযু করে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।

(০২)
https://ifatwa.info/61356/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
অমুসলিম মেয়েদের সামনে মুসলিম নারীদের পর্দা করতে হবে কিনা,সেই ব্যপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ পাওয়া যায়।
কেহ কেহ বলেছেন যে যদিও তাদের সামনে মুসলিম নারীদের পর্দা করা ফরজ নয়,তবে কম আয কম মুসতাহাব অবশ্যই।
তাই তাদের সামনে পর্দা করাই উচিত।  
কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/৩৫
      
কেহ কেহ বলেছেন যে প্রত্যেক গাইরে মাহরাম পুরুষের প্রত্যেক গাইরে মাহরাম স্ত্রীলোকের সামনে যে পরিমাণ পর্দা করা ফরজ, কাফির-ফাসিক মেয়েলোক হতেও মুমিন মেয়েদের সে পরিমাণ পর্দা করা ওয়াজিব।

সুতরাং হিন্দু বা খৃষ্টান মেয়েলোক বা যেকোনো বেদ্বীন বা বেপর্দা মেয়ে হতেও পর্দানশীন নারীর পর্দা করা ওয়াজিব। তাদের সামনে কেবলমাত্র মুখমণ্ডল, হাতের পাতা ও পায়ের পাতা ব্যতীত শরীরের কোনো অংশ খোলা রাখা জায়েজ নয়।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক তথা নিজেদের (মুসলিম) মহিলাগন, অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩১}

لا یحل للمسلمۃ أن تنکشف بین یدي یہودیۃ أو نصرانیۃ أو مشرکۃ إلا أن تکون أمۃ لہا۔ (شامي ۹؍۵۳۴ زکریا)
কোনো মুসলিমা মহিলার জন্য অমুসলিম মহিলার সামনে বেপর্দা হওয়া জায়েয নেই।
  
وقال ابن حجرؒ: الأصح تحریم نظرہا إلی ما لا یبدو في المہنۃ من مسلمۃ غیر سیدتہا ومحرمہا ودخول الذمیات علی أمہات المؤمنین الوارد في الأحادیث الصحیحۃ دلیل لحل نظرہا منہا ما یبدو في المہنۃ، وقال الإمام الرازي: المذہب أنہا کالمسلمۃ والمراد بنسائہن جمیع النساء وقول السلف محمول علی الاستحباب وہٰذا القول أرفق بالناس الیوم فإنہ لا یکاد یمکن احتجاب المسلمات عن الذمیات۔ (روح المعاني ۱۸؍۲۱۱ أشرفیۃ، معارف القرآن ۶؍۴۰۴)
সারমর্মঃ-
যথা সম্ভব এটাকে আমরা মুসতাহাব বলতে পারি। তাই তাদের সামনে পর্দা করাই জরুরি।   
বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ- 

(০৪)
বৈধ ও অতিব জরুরী বিষয়ক (যাহা চিঠিতেই লিখতে হবে,নতুবা সমাধান সম্ভব নয়,এমন বিষয়ক হলে) হলে লেখা যাবে। 
তবে অতিরিক্ত কথা লেখা যাবেনা।
জীবন ঘনিষ্ঠ কোনো কথা লেখা যাবেনা।
উভয় পক্ষ হতে ফিতনার আশংকা থেকে মুক্ত হতে হবে। 

(০৫)
এক্ষেত্রে তাদের হাটু ও তার উপরের অংশ দেখলে গুনাহ হবে।
হাটুর নিচের অংশ দেখা গেলে গুনাহ হবেনা।

(০৬)
তাদের সামনে কেবলমাত্র মুখমণ্ডল, হাতের পাতা ও পায়ের পাতা ব্যতীত শরীরের কোনো অংশ খোলা রাখা জায়েজ নয়।

(০৭)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।

(০৮)
এ সংক্রান্ত করনীয় জানুনঃ- 

(০৯)
এ সংক্রান্ত করনীয় জানুনঃ- 

(১০)
হ্যাঁ, দিতে পারবেন।
এভাবে তার সমপরিমাণ মূল্য ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দেয়ার পর তাহা ব্যবহার করতে পারবেন।

(১১)
বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে না জেনে তাহা ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 151 views
...