আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
595 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।

১)নামাজে সূরা মিলানোর সময় কি কোনো ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে?যেমন:১ম রাকাতে সূরা ফালাক পড়লে ২য় রাকাতে সূরা ইখলাস পড়া যাবে না, নাস পড়তে হবে?আবার এমন যে ১ম রাকাতে বড় সূরা পড়তে হবে পরের রাকাতে ছোট?একটি সূরা প্রতি রাকাতে মিলালে হবে?

২)মহিলারা কি পারফিউম /আতর ইউজ করতে পারবে ঘরের ভিতরে?পারফিউম নিলে নাকি গোসল করে সেই সুগন্ধ দূর না করা পর্যন্ত নামাজ হয় না?যদি ভুলে অন্য কেউ নেয়ার সময় শরীরে আসে, তাহলেও কি গুনাহ হবে?

৩)বমি করলে ওযু, নামাজ ও রোজা কোনটার মধ্যে কি প্রভাব পরে?

৪)ধন্যবাদ জানাতে জাযাকাল্লাহ খইরন (ছেলেদের),জাযাকিল্লাহ খইরন (মেয়েদের), জাযাকুমুল্লাহ খইরন(অনেকজন হলে), এভাবে কি ভাগ করতে হবে?আর এগুলো বলা কি সুন্নাহ?

 এর উত্তর দিতে ওয়া আনতুম ফা জাযাকুমুল্লাহ খইরন নাকি বারাকাল্লাহ নাকি ওয়া ইয়্যাকি,কোনটা বলা কি সুন্নাহ

৫)নামাজে সূরা ফাতিহা,তাশাহহুদ,দরূদ শরীফে ভুল হলে কি সাহু সিজদা দিতে হয়?

৬)পুরুষ ডক্টরের কাছে অন্য ডক্টর না পেলে টিকা নেয়া, চর্মরোগের ক্ষেত্রে শরীরের কোনো স্হান যেমন গলা, হাত ইত্যাদি দেখানো ,প্রেশার মাপা, রক্ত পরীক্ষা করা,চোখ দেখানো যায় কি না?

৭)আলতা পরলে কি নামাজ হবে?

৮)সকালে ঘর ঝাড়ু দেয়ার আগে কাউকে টাকা পয়সা দেয়া যায় না,এটা কি কুসংস্কার? আর যেকোনো কুসংস্কার ই কি বিদাআত?

৯)ফজর আর মাগরিবের পর যে ৩ বার করে ৩ ক্বুল, আয়াতুল কুরসি পড়া হয়,এগুলোই কি সকাল সন্ধ্যার জিকির হিসেবে গণ্য হবে,নাকি জিকিরের জন্য আবারও আলাদাভাবে পড়তে হবে?

১০)কি ধরণের বোরকা পরলে পূর্ণাঙ্গ পর্দা হবে?বাজারে যে খিমার পাওয়া যায়,সেগুলো পরলে হবে?

১১)নামাজে ওযু ভেঙে গেলে পুনরায় ওযু করে এসে কি যে পর্যন্ত নামাজ পড়েছিলাম,সেখান থেকে পরতে হবে নাকি প্রথম থেকে শুরু করতে হবে?যদি ১ম টা হয় তাহলে কিভাবে করবো,ধরুন, রূকু দেয়ার পর বা আগে,সিজদা দেয়ার সময়,অল্প আয়াত, বা অর্ধেক তাশাহহুদ পড়েছি, বা একটা সিজদা দেয়ার পর ভঙ্গ হলে ওযূ করে এসে কোনখান থেকে স্টার্ট করবো?

১২)পরিবারের /আত্নীয়দের মধ্যের নন মাহরামদের সাথে পর্দা করার সময় কি মুখ ঢেকে রাখতে হবে,এক্ষেত্রে কি কালো রঙের খিমার পরতে হবে নাকি প্রিন্টেড খিমার পরলে হবে?

১৩)বাবা মায়ের হকগুলো কি কি? বান্দার হক বলতে কি বুঝায়,ও কি কি?

১৪)যদি কোনো খারাপ কাজের কথা কাউকে বলে ফেলি, তাহলে কি সেই পাপ ক্ষমা করা হবে না?এখন কি তাকে বলা উচিত,আমি ওই পাপ আর করি না, বা করবো না,তওবা করেছি,ইত্যাদি নাকি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেই হবে?

১৫)মেয়েদের দুনিয়াবি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু।পাবলিক যেমন ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা যাবে পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে?

১৬)তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত কি করতে হবে,সুন্নাত নাকি নফল?

এশার নামাজের মুস্তাহাব,জায়েজ ও মাকরূহ ওয়াক্ত কখন?

১৭)পুরোনো সালোয়ার কামিজ, টপস যা সচরাচর পর্দা রক্ষা করে না,এসব কি দান করা যাবে,যেহেতু যাকে দান করছি তার সম্পর্কে তো আমি জানি না সে পর্দা করে কিনা?বিভিন্ন এরিয়া আছে,যেখানে অপ্রয়োজনীয় জিনিস রেখে আসা হয়, আর অন্য কেউ যাদের দরকার তারা সে জিনিসটি নিয়ে যায়,এমন কোথাও রেখে আসা যাবে?যদি না যায়,এগুলো কি করা উচিত?

১৮)সৎ বাবার সাথে এক বাসায় একা থাকা যাবে, আলাদা রুমে?

১৯)একটি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্ধারিত সময়ের পরে কন্টেন্ট জমা দিয়েছি,অনলাইনে। এতে কি গুনাহ হবে

২০)অন্ধকারে নামাজ পরলে শুদ্ধ হবে?দরজা আটকিয়ে নামাজ পরার সময় কেউ বাসায় আসতে চাইলে দরজা খুললে কি আবার পুনরায় নামাজ শুরু করতে  হবে?

২১)আমার এক পরিচিত সে ইসলামিক ছাত্রী সংস্থার সাথে জড়িত।সে আমাকেও এটার কথা বলে।সে বলে দাওয়াহ এর কাজ নারী পুরুষ সবাইকেই করতে হবে।সে আরো বলে মা আয়েশাও দাওয়াহর কাজ করেছে, তখন ইসলাম বিজয়ী ছিলো বলে তাদেরকে ঘর থেকে বেড়িয়ে দাওয়াহ দিতে হয় নি।তার এ ধরণের কথা কি সত্য?

২২)গতবারের কোশ্চেনের উত্তরে বলেছিলেন অন্য পুরুষদের আকৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলে ফেসবুকে পোস্ট করা যাবে না।আসলে আমার নিয়ত তো তাদের আকৃষ্ট করা নয়।বরং, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দাওয়াহ দেয়া। বিভিন্ন ইসলামিক বিষয়ে লেখা,যেমনটি বিভিন্ন নারী ইসলামিক রাইটার করে থাকে।আবার ধরুন আপনারা ফতোয়া প্রদান বা পুরুষ ইসলামিক রাইটাররা যেমন আরিফ আজাদ স্যার লেখার মাধ্যমে দ্বীনের খেদমত করছেন,এক্ষেত্রে কোনো নারী যদি লেখা পরে আকৃষ্ট হয়, তার দায় তো আপনাদের না..এটা কি মহিলাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য?

আর আইডিতে ফলো অপশন থাকলে নন মাহরাম ফলো করলে কি গুনাহ হবে,আমি অবৈধ কিছু শেয়ার না করলে।তারা ফ্রেন্ড লিস্ট তো থাকবে না।

অনেকগুলো কোশ্চেন করার জন্য দুঃখিত।আন্সারগুলো খুব দরকার।আশা করি উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাজে সূরা মিলানোর সময় সুরার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
ইচ্ছাপূর্বক ভাবে এর বিপরীত করা মাকরুহ।
অনিচ্ছায় এমন হয়ে গেলে কোনো সমস্যা হবেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রথম রাকাতের তুলনায় ২য় রাকাতে ছোট সুরা পড়া সুন্নাহ।
জানার পরেও প্রতি রাকাতে একই সুরা মিলানো মাকরুহ।
তবে সে যদি শুধু ঐ একটি সুরাই জানে,তাহলে জায়েজ।  

(০২)
ইসলামের দৃষ্টিতে মহিলাদের জন্য পর পুরুষদের নিকট পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ثَابِتُ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنِي غُنَيْمُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا اسْتَعْطَرَتِ الْمَرْأَةُ، فَمَرَّتْ عَلَى الْقَوْمِ لِيَجِدُوا رِيحَهَا، فَهِيَ كَذَا وَكَذَا قَالَ قَوْلًا شَدِيدًا

আবূ মূসা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নারীরা যখন সুগন্ধি লাগিয়ে জনসমাজকে এর গন্ধ বিলানোর জন্য তাদের পাশ দিয়ে যাতায়াত করে, সে তখন এরূপ এরূপ। একথা বলে তিনি একটি কঠোর মন্তব্য করেন।
(আবু দাউদ ৪১৭৩)

أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ وَهُوَ ابْنُ عِمَارَةَ عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ الْأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ عَلَى قَوْمٍ لِيَجِدُوا مِنْ رِيحِهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ 

ইসমাঈল ইবন মাসউদ (রহঃ) ... আবু মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে এই উদ্দেশ্যে লোকের মধ্যে গমন করে যে, তারা তার সুগন্ধির ঘ্রাণ পাবে, সে ব্যাভিচারিণী।
(নাসায়ী ৫১২৫)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহিলারা ঘরের ভিতর আতর/পারফিউম ব্যবহার করতে পারবে।
তবে নন মাহরাম পুরুষের সামনে সে অবস্থায় যাওয়া যাবেনা।
,
(০৩)
মুখ ভরে বমি করলে অযু নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
নামাজের মধ্যে/রোযা অবস্থায় বমি করে গিলে ফেললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

(০৪)
এগুলো বলা রাসুলের হাদীস দ্বারা প্রমানীত। 
তবে কোনো আবশ্যকীয় বিধান নয়।
,
এর জবাবে এর যেকোনো একটি বলতে পারেন।
না বললেও কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৫)
কি ধরনের ভূল,সেটি স্পষ্ট করতে হবে।
লাহনে জলি হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
সাহু সেজদার কোনো বিধান নেই।
,
(০৬)
মহিলা ডাক্টার না পেলে এটি জায়েজ আছে।
,
(০৭)
এটি অযুর ক্ষেত্রে শরীরে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তাই এতে অযু না হওয়ায় নামাজ হবেনা।
তবে অযু করার পর আলতা পড়লে সেই আলতায় নাপাক কোনো দ্রব্য না থাকলে সেটি পরে নামাজ পড়া যাবে।
,
(০৮)
হ্যাঁ এটি কুঃসংস্কার।
বিদ'আত নয়।
,
যদি এটিকে দ্বীনের কাজ মনে করে ছওয়াবের লক্ষ্যে কেহ করে,তবেই বিদ'আত হবে।
,
(০৯)
না,এটি তিলাওয়াত হবে,যাকে যিকির হিসেবেও গন্য করা যায়।
তবে তাসবীহে ফাতেমি পড়ার লক্ষ্যে ৩৩ বার৷ করে সুবহানাহ,আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার পড়তে পারেন।
,
(১০)
যেটির দ্বারা চেহারা,হাতা,পা সহ পূর্ণ শরীর ঢাকা যায়,সেটি পড়লেই পূর্ণ পর্দা হবে।  
হ্যাঁ বাজারের খিমার পরিধান করলে যদি হাত পা,চেহারা ঢাকা থাকে,সেটি পূর্ণ পর্দা হবে।  

(হাত পা ঢাকার জন্য মোজা ব্যবহার করতে হবে।)
,
(১১)
পুনরায় অযু করতে যাওয়ার সময় পতিমধ্যে কথাবার্তা না বললে এবং অযু ভাঙ্গার আর কোনো কারন না পাওয়া গেলে নামাজ যেখানে রেখে গিয়েছিলেন,সেখান থেকে আদায় করতে পারেন।
রুকুর মধ্যে অযু ভেঙ্গে গেকে পুনরায় রুকু করবেন।
সেজদার মধ্যে অযু ভেঙ্গে গেকে পুনরায় সেজদাহ করবেন।
তাশাহুদ পড়ার মধ্যে অযু ভেঙ্গে গেকে পুনরায় তাশাহুদ পড়বেন।

(১২)
হ্যাঁ সেক্ষেত্রেও মুখ ঢাকতে হবে।
কালো রংয়ের খিমার পড়া আবশ্যক নয়।  
অন্য কালারের বা প্রিন্টেরও পড়তে পারবেন।
,
(১৩)
মা বাবার হক সম্পর্কে  জানুনঃ  

বান্দার হক নষ্ট করা যাবেনা,তার অনুমতি ছাড়া তার কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবেনা।
বান্দা কষ্ট পায়,এমন কোনো কাজ করা যাবেনা,
বান্দা কষ্ট পায় এমন কোনো কথা তার সম্পর্কে বলা যাবেনা।  

বান্দার হক সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِلْمُؤْمِنِ عَلَى الْمُؤْمِنِ سِتُّ خِصَالٍ يَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَشْهَدُهُ إِذَا مَاتَ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَنْصَحُ لَهُ إِذَا غَابَ أَوْ شَهِدَ "

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মুমিনের জন্য আরেক মুমিনের উপর ছয়টি দায়িত্ব রয়েছেঃ (১) সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাবে, (২) মারা গেলে তার জানাযায় উপস্থিত হবে, (৩) ডাকলে তাতে সাড়া দিবে, (৪) তার সাথে দেখা হলে তাকে সালাম করবে, (৫) সে হাঁচি দিলে তার জবাব দিবে এবং (৬) তার অনুপস্থিতি কিংবা উপস্থিতি সকল অবস্থায় তার শুভ কামনা করবে।
(তিরমিজি ২৭৩৭)

(১৪)
হ্যাঁ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। 

(১৫)
সব ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন নেই।
তবে চিকিৎসার লাইনে প্রয়োজন আছে।
,   
হ্যাঁ,পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে পড়া যাবে।
,
সহ শিক্ষার বিধান সম্পর্কে জানুনঃ  
,
(১৬)
শুধু তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে পারেন।
বা নফল নামাজের কথা উল্লেখ করবেন।

এশার সালাতের ওয়াক্ত তিনভাগে বিভক্ত। এক: শাফাক অন্তর্হিত হওয়ার পর থেকে রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত। আর এই এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্বিত করে আদায় করা সর্বোত্তম। দুই: এক তৃতীয়াংশ হতে মধ্যরাত পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত। তবে মধ্যরাত পর্যন্ত বিলম্বিত করে আদায় করা ফযীলতের দিক দিয়ে প্রথমটির তুলনায় নিম্ন পর্যায়ের। তিন: মধ্যরাতের পর থেকে সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত। বিনা ওযরে এই সময়ে এশার সালাত আদায় করাটা মন্দকর্ম অথবা মাকরূহ। তবে এটি মন্দ হলেও এই সময়ে সালাত আদায় করলে তার সালাত ‘আদা’ হিসাবেই গণ্য হবে ‘কাযা’ হিসাবে নয়। কারণ, এশার সালাতের ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত। 

(১৭)
উত্তম হবে,যেই মহিলা পর্দা করে চলবে,তাকে দিয়ে দেওয়া।
এতে যেকোনো ফকির বা গরিব মহিলাকে পর্দা রক্ষা করে পরিধান করার কথা তাকে বলবেন।
,
(১৮)
হ্যাঁ থাকা যাবে।
তবে শর্ত হলো কোনো রকমের ফিতনার আশংকা না থাকা।
,
(১৯)  
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হলে কোনো সমস্যা নেই। 

(২০)
ক,
হ্যাঁ নামাজ শুদ্ধ হবে।

খ, এক্ষেত্রে আমলে কাসীর হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।

(২১)
 বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। 
তবে তাদের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামগন নেতিবাচক ধারণা রাখেন।
,
(২২)
হ্যাঁ এটি মহিলাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।          


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...