আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আস্সালামু আলআইকুম হযরত
1। হযরত মাঝে মধ্যে সোম,বৃহস্পতিবার/ আইয়ামিবিজের রোজায় সেহেরী খেতে উঠা হয়না। আগের দিনেও নিয়্যত করতে খেয়াল থাকেনা। ফজর এর সময় খেয়াল হয় আজ সোম,বৃহস্পতিবার/ আইয়ামিবিজের দিন । এমতাবস্থায় ফজর এর সময় বা সকালে কিছু খাওয়ার আগে নিয়্যত করে রোজা রাখলে হবে? (আমি আলহামদুলিল্লাহ্ এই রোজা গুলো নিয়মিত রাখার চেষ্টা করি)

2। নামাযের শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়াতু/ দুরুদ শরিফ বেখালের কারনে কতুটুকু পড়েছি মনে না থাকার দরুন আবার আত্তাহিয়াতু/ দুরুদ পড়লে কি সাহু সিজদাহ্ দিতে হবে?

3। কেউ সিগারেট কিনে দেয়ার অর্ডার করলে তা কিনে দিলে / সিগারেট অমুক জায়গায় আছে নিয়ে যেতে বললে তার কাছে এগিয়ে দিলে কি আমার গুনাহ্ হবে। (যে অর্ডার করে সে সিগারেট খায় )

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হল রোযা রাখার সময়সীমা। ফরয রোযার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
স্মর্তব্য যে, আরবী দিনের সূচনা হয় সুবহে সাদিক থেকে। তাই সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতটুকু সময় হয়, এর মাঝামাঝি সময়ের আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হবে।যেমন যদি সেহরীর সময় তথা সুবহে সাদিক শুরু হয় ৫টায়। আর সূর্যাস্ত হয়ে থাকে সন্ধ্যা ৭টায়। তাহলে একদিন হচ্ছে কত ঘন্টায়? ১৪ঘন্টায়।

সুতরাং সুবহে সাদিক থেকে ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ উক্ত হিসাব মতে দুপুর ১২টার আগে রোযার নিয়ত করলে সেদিনের রোযা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না।

এই রোযা হল, (১) রমজানের রোযা, (২)নির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩) এবং সাধারণ নফল রোযা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/11221


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফজরের সময় বা সকালে কিছু খাওয়ার আগে বীজের রোযার নিয়ত করে রোজা রাখলে সেই রোযা বিশুদ্ধ হবে।

(২)
নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ/ দুরুদ শরিফ বে-খেয়ালের কারনে কতুটুকু পড়েছি, সেটা যদি মনে না থাকে, এবং পরবর্তীতে যদি আবারো তাশাহুদ/ দুরুদ পড়া হয়,তাহলে সাহু সিজদাহ্ ওয়াজিব হবে না।

(৩)
কেউ সিগারেট কিনে দেয়ার অর্ডার করলে তা কিনে দিলে বা সিগারেট অমুক জায়গায় আছে নিয়ে যেতে বলার পর তার কাছে নিয়ে গেলে ছোট গোনাহ হবে। কেননা এই পরিমাণ সিগারেট খাওয়া মাকরুহে তাহরিমী যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।আর মাকরুহে তাহরিমী মূলক কোনো কাজে সহযোগিতা করাটাও মাকরুহে তাহরিমী । মাকরুহে তাহরিমীতে গোনাহ হবে যদিও সেটা হারামের চেয়ে নিম্নস্বরের গোনাহ হবে। তবে যদি এই পরিমাণ সিগারেট খাওয়া হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, তাহলে সেটা ছোট গোনাহ।

দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
Fatwa ID: 670-527/D=8/1437
حرام ہونے کا حکم نہیں ہے البتہ مکروہ ہے اور اس کی اتنی کثرت کرنا جو جسم و جان کو مضر ہو بڑا گناہ بھی ہو سکتا ہے۔ اور عام حالات میں احتمال نقصان کی وجہ سے حکم کراہت اور بے جا اسرار کی وجہ سے گناہ صغیرہ کا ہے۔


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,640 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 80 views
0 votes
1 answer 104 views
...