ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাব,
https://ifatwa.info/14165/
ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ،
أَنَّهَا قَالَتْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بِصَبِيٍّ، فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ،
فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ إِيَّاهُ
উম্মুল মু’মিনীন
আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি
তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং এর ওপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী ২২২)
অপর হাদিসে
এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ
عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّهُ مَرَّ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ فَقَالَ ” إِنَّهُمَا
لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ
يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ
ইবনু আব্বাস
রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ﷺ এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দু’টির বাসিন্দাদের
আযাব দেওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এদের দু’জনকে আযাব দেওয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর
জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না যা থেকে বিরত থাকা দুঃরূহ ছিল। তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে
সতর্কতা অবলম্বন করত না আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত। (সহীহ বুখারী ১২৭২)
অপর হাদিসে রাসূল ﷺ বলেছেন,
استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه
পেশাব থেকে
নিজেকে রক্ষা করো। অর্থাৎ পবিত্র থাকো। কেননা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কবরের আজাব হবে,
পেশাব থেকে ভালোভাবে পবিত্র না হওয়ার
কারণে। (ইবন মাজাহ ৩৪৮ হাকিম ১/১৮৩ মুসনাদ আহমাদ ২/৩২৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. শরীরের
যেকোন স্থানে পেশাব লাগলে সেই স্থান ভালো
ভাবে ধুয়ে ফেললেই পাক হয়ে যাবে এবং ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা
যাবে। পেশাব লাগার কারণে নতুন করে অজু করার প্রয়োজন নেই।
২. জ্বী নাপাক কাপড়ের
পানি যদি আপনার পরিহিত পবিত্র শুকনো কাপড়ে লাগে তাহলে যেই অংশে লাগবে সেটিও নাপাক হবে।
আরো জানুন: https://ifatwa.info/54596/
৩. কাপড়
বা শরীর পবিত্র হওয়ার জন্য সাবান ব্যবহারের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। স্বাভাবিক
ভাবে উত্তম রুপে ধৌত করলেই পবিত্র হয়ে যাবে। তবে আপনি চাইলে সাবান ব্যবহার করতে পারেন।