আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
closed by
আস্সালামু আলাইকুম,,

অনেক বড় করে ফেলেছি ক্ষমা করবেন ,দয়াকরে রাগ করবেন না প্লিজ হুজুর,,আমার প্রশ্নগুলোর জবাব দিন ,,

১) একজন নারী আল্লাহ তাআলার সব বিধান মেনে চলেন। পাশাপাশি নিজের জীবনের সমস্তটা শুধু মাত্র নিজের পরিবার এবং অসহায় /এতিম /এবং সবাইকে সাহায্য (দান -সাদগাহ )/নারী শিক্ষা (দ্বীনি-ইলম ) নিশ্চিত করে,অসহায় নারীদের হাতের কাজ শিখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে ইত্যাদি করে।

২) একজন নারী আল্লাহ তাআলার সব বিধান মেনে চলেন। এবং সারাদিন আল্লাহ তায়ালার জিকিরে ব্যস্ত থাকেন। বেশি বেশি নফল ইবাদত গুলো করেন,

কোন নারীটিকে আল্লাহ বেশি পছন্দ করবেন ?

বেশি ভালোবাসবেন ,,,? কার উপরে বেশি খুশি হবেন ?প্রথম নারীটিও তো আল্লাহকে খুশি করার জন্যই এরূপ করছেন।

৩) আজকাল ফেইসবুক এ অনেক মানুষ পোস্ট দেন যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এতজন আল্লাহ প্রেমিক দেখতে চাই /আল্লাহকে ভালোবাসলে লাইক দিন /কমেন্ট করুন ,,যার ফলে দুর্বল হয়ে মানুষজন লাইক /কমেন্ট করেন অথচ তারা ঠিক মতো সালাতও আদায় করেনা,এগুলো দেখলে খুব খারাপ লাগে,তো এগুলো কি শিরকের মধ্যে পরে ?

৪)বর্তমানে অনেক দ্বীনি বোন আছেন যারা সঠিক ভাবে পর্দা করেন যাবতীয় সকল বিধি বিধান মেনে চলেন আলহামদুলিল্লাহ! তাদের ফেইসবুক এ অনেক পোস্ট আছে যেগুলো পড়লে অনেক বিষয়ে জানা যায় ,এবং তার প্রতি অনেক শ্রদ্ধার সৃষ্টি হয় , তার বিষয়ে মনের মধ্যে অনেক ভালো ধারণা তৈরী হয় ,কিন্তু একজন পুরুষ যদি তার প্রোফাইলে যায় ,তাহলে যে কোনো পুরুষ তার চেহারা /কণ্ঠ না শুনে/দেখেও তার প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাহলে কি মেয়েটির গুনাহ হবে ? মেয়েটি চাইলে তার প্রোফাইল লক করে রাখতে পারেন এবং শুধু মাত্র বোনদেরকে তার প্রোফাইলে রেখে এভাবে হাদিস গুলো জানাতে পারেন , অন্যথায় হাজারো নন মাহরাম তার প্রোফাইলে যেয়ে তার প্রতি আকৃষ্ট হলে এটার জন্যেও কি মেয়েটিকে আল্লাহ পাপ দিবেন ?

৫)আমাদের পরিবারের সবাই দুনিয়াবী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত,নানুমনি,নানুভাই সহ ছেলে,মেয়ে ,বৌমা সকলেই সমান তালে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত,বংশের অনেক নাম ডাক আছে ,কিন্তু সবাই অনেক আধুনিক ,কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমি আমাদের পরিবারের সবার থেকে একটু আলাদা ,আমি বিষয় গুলো খুব ভালোভাবে বুঝি ,,কিন্তু বেদ্বীন পরিবারে থেকে অনেক কিছু চাইলেও মেনে চলতে পারিনা , ছোটবেলা থেকেই শুধু সালাত ,রোজা ,আল্লাহকে খুশি করার জন্য বিভিন্ন ছোট ছোট আমল শিখে নিতাম আর তা পালন করার চেষ্টা করতাম ,তবে এর পাশাপাশি আবার আমি (গার্লস স্কুল /কলেজে আমি পড়েছি ) গান ,গজল ,কেরাত প্রতিযোগিতা দিতাম বরাবরই প্রথম/দ্বিতীয় হতাম,তাই পুরুষ্কারের লোভে পরে অংশ নিতাম আর পরিবারও অনেক উৎসাহ দিতো ,আমি এখন বুঝি যে আমি কতবড় পাপ করেছি ,,আমার কি আগের কোনো ইবাদাত আল্লাহ কবুল করেন নি !!??

৬)আমার নানুমনি নিয়মিত সালাত ,রোজা ,কুরআন তিলাওয়াত করেন এবং হালকা ভাবে পর্দা করেন (বোরকা পড়েন কিন্তু মুখ ঢাকেন না ) আবার মাঝে মাঝে মন ভালো করার জন্য গান ও শুনেন (নাউযুবিল্লাহ ) আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করুক উনার ইবাদত গুলো কি আল্লাহ কবুল করবেন ?

৭)আমাদের পরিবারের যেই ২/১ জন সালাত আদায় করেন কিন্তু পাশাপাশি অনেক হারাম /পাপ ও করেন তাদের ক্ষেত্রে কি বিধান ? মূলত আমাদের পরিবারের কেউ ঠিকভাবে দ্বীনি ইলম অর্জন করেননি, আমি আমার পরিবারের সবাইকে খুব ভালোবাসি ,কিন্তু তাদেরকে বুঝ|তে গেলে উল্টো আমাকেই ছোট করে ,তুচ্ছ করে ,,আমার খুবই ইচ্ছা দ্বীনের পথে চলার তাই আমি iom এর আলিম কোর্সে ভর্তির কথা সবাইকে বলেছিলাম কেউ তেমন গুরুত্ব দেয়নি ,বলেছেন এত পাড়া একসাথে করার কি দরকার , আমি আমার নতুন বাবাকে বলেছিলাম যে আমি এখানে ভর্তি হতে চাই ,উনি বলেছিলেন যখন টাকা লাগবে আমাকে বলিও আমি দিবো ,,,উনি অনেক টাকা আয় করেন কিন্তু আমি শুনেছি এটা হালাল না ,আর হারাম টাকা দিয়ে আলিম পড়া যাবেনা ,তাই আমি লুকিয়ে নিজের জমানো টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছি ,কীন্তু কোর্স এর ফর্ম পূরণের সময় শর্ত ছিল যে বাবা মায়ের অনুমতি লাগবে ,আমার কি এর জন্য গুনাহ হবে ? আমি অনেক বায়না করে সবাইকে রাজি করিয়েছিলাম মানে উনারা না বলেনি কিন্তু খুশিও হয়নি। আমি অনেক দুআ করি যেন আমাদের পরিবারের সবাই আমরা হেদায়েত হতে পারি ,,,,এর থেকে বেশি আমার কি আর কিছুই করার নেই? কোনো উপায় কি নেই সবার সাথে একসাথে জান্নাতে যাবার ?

৮)আমার নানুভাই অনেক অনেক ভালো মানুষ ছিলেন অনেক বেশি দান সাদগাহ করতেন কিন্তু সালাত আদায় করতেন না (শুক্রবার ছাড়া ),কিন্তু মৃত্যুর আগে তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসে তিনি নিয়মিত সালাত আদায় করতেন ,আমার নানুভাই আমাকে অনেক ভালোবাসতেন আমিও আমার নানুভাইকে খুব ভালোবাসি ,আমি জানিনা আমার নানুভাই কেমন আছেন কবরে ,আমি আমার নানুভাইয়ের জন্য অনেক দুআ করি,আল্লাহ কি আমার নানুভাইকে তবুও শাস্তি দিবেন !? আমি যদি মৃত্যুর আগপর্যন্ত আমার নানুভাইয়ের জন্য দুআ করি আল্লাহ কি আমার নানুভাইকে আমার দুআর জন্য ক্ষমা করে দিবেন না?

৯)সন্তান হাফেজ হলে নাকি আল্লাহ বাবা মা কে মুকুট পরিয়ে দিবেন ,সন্তান হাফেজ হলে কি মা কে আল্লাহ বিনা হিসাবে জান্নাতে দিবেন ?

১০)ফেইসবুক চালানো কি জায়েজ?

আমরা যতই চাইনা কেনো শুধু ভালোটা নিতে তবুও ফেইসবুক ,ইউটুবে ঢুকলে আগে পাপ গুলোই চোক পরে ,তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই অনলাইন জগৎ ,স্মার্ট ফোন এগুলো ব্যবহার বন্ধ করে দিবো ,কিন্তু ইটা কতটা যুক্তি সঙ্গত ?

১১)আপনার কি মন ভেঙে গেছে?

তাহলে পড়ুন

হযরত মুসা আঃ আল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, হে আমার রব আমি আপনাকে কোথায় খুজব?

আল্লাহ তা'য়ালা বললেন ভাঙ্গা হৃদয়ের লোকের কাছে আমাকে খোজো আমি প্রতিদিন একহাত করে তাদের নিকটবর্তী হই।

তা না হলে তারা নির্ঘাত ভেঙে পড়ত।

(কিতাবুয যুহুদা ৩২৪)


আমি এটা একটা পোস্ট থেকে কপি করলাম। এই হাদীসটি কি সত্যি !? এমনও তো হতে পারে যে নিজের হারাম কাজের জন্য মন ভাঙলো ,তাহলে তারবেলায় ? মানে কারো যদি নিজের হারাম সম্পর্কে লিপ্ত থাকা ব্যক্তির দ্বারা মন ভাঙ্গে (নাউযুবিল্লাহ)
closed

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১+২)
একজন নারী আল্লাহ তাআলার সব বিধান মেনে চলেন। পাশাপাশি নিজের জীবনের সমস্তটা শুধু মাত্র নিজের পরিবার এবং অসহায় /এতিম /এবং সবাইকে সাহায্য (দান -সাদগাহ )/নারী শিক্ষা (দ্বীনি-ইলম ) নিশ্চিত করে,অসহায় নারীদের হাতের কাজ শিখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে ইত্যাদি করে।

একজন নারী আল্লাহ তাআলার সব বিধান মেনে চলেন। এবং সারাদিন আল্লাহ তায়ালার জিকিরে ব্যস্ত থাকেন। বেশি বেশি নফল ইবাদত গুলো করেন,

এই দুই নারীর মধ্যে প্রথম নারীর মর্যাদা আল্লাহর কাছে বেশী হবে।কেননা সে অন্যদের দিকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।এবং অন্যদের শিক্ষাও দিচ্ছে।

(৩) নিজেদের ফেইসবুকে ভিউ ও লাইক কমেন্ট বাড়ানোর জন্য এরকম পোষ্ট কখনো বৈধ হবে না। 

৪) মেয়েটি তার প্রোফাইল লক করে রাখবে এবং শুধু মাত্র বোনদেরকে তার প্রোফাইলে রেখে দিবে। পুরুষরা আকৃষ্ট হবে জেনেও লক না করা কখনো কাম্য হবে না।

(৫) আপনার অতীতের ভালো আমল নষ্ট হবে না।  এবং বর্তমানে আপনি তাওবাহ করে নিবেন।


(৬) উনার ইবাদত গুলো দুনিয়ার নিয়ম অনুসারে তো আল্লাহ হওয়ার কথা।তবে গান শ্রবণের কারণে তাওবাহ করতে হবে নতুবা গোনাহ হবে।

(৭) পরিবারের সবার হেদায়তের জন্য যাবতীয় হেকমতপূর্ণ চেষ্টা আপনাকে করতে হবে। পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দু'আকেও অভ্যাহত রাখতে হবে।

(৮) হয়তো আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। আপনি নানার জন্য সওয়াব পৌছাতে থাকুন।

(৯)সন্তান হাফেজ হলে, এবং ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চললে, আল্লাহ তা'আলা তার বাবা মাকে মুকুট পরিয়ে দিবেন , এবং ১০ জন মানুষের ব্যাপারে সুপারিশের সুযোগ দিবেন।


(১০) ফেইসবুক না চালানোই সর্বোত্তম এবং নিরাপদ অবস্থান।

(১১)আপনার কি মন ভেঙে গেছে?
তাহলে পড়ুন হযরত মুসা আঃ আল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, হে আমার রব আমি আপনাকে কোথায় খুজব?
আল্লাহ তা'য়ালা বললেন ভাঙ্গা হৃদয়ের লোকের কাছে আমাকে খোজো আমি প্রতিদিন একহাত করে তাদের নিকটবর্তী হই।তা না হলে তারা নির্ঘাত ভেঙে পড়ত।
(কিতাবুয যুহুদা ৩২৪)

উপরোক্ত বিবরণ বিশুদ্ধ সনদে পাওয়া যায় নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...