আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আস্সালামুআলাইকুম ,হুজুর আমি নিয়ত করেছি ,বালেগা হবার পর থেকে আমার যত কাযা  সালাত আছে ,এবং মাসিকের সময়ের কাযা  রোজা গুলো আছে ,সব পরবো  ইনশাআল্লাহ ! কিন্তু হুজুর আমি যদি এর আগেই মারা যাই ! তাহলেকি সেই কাজগুলোর সব শাস্তি পাবো !?
২)হুজুর ,যদি কোনো কারণে সালাত কাযা  হয়ে যায় ,পরের ওয়াক্তে সেটা কাযা  পড়া হয় অথবা পরের ওয়াক্তেও সালাত কাযা  হলো ,,তারপরে কাযা  সালাত আদায় করা হলো কোনো না কোনো সময়ে , তাহলে তো কাযা  সালাতের গুনাহ হবে ,,,হুজুর যদি এমনটা হয় যে মাঝে মাঝেই কোনো ওয়াক্তের সালাত কারণ বসত বাহিরে থাকলে বা কাজে থাকলে বা ভ্রমণ চলাকালীন ,অথবা হাসপাতালে থাকাকালীন ,অথবা নাপাক কাপড় পরিধান অবস্থায় ,যেখানে পাক হবার কোনো উপায় নেই ,অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি সালাত কাযা হয়,পরিববর্তীতে যদি কাযা সালাত আদায় করা হয় তাহলেওতো কাজা সালাতের গুনাহ হবে , হুজুর মৃত্যুর আগে যদি আমি কাজা সালাতের জন্য আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত ক্ষমা চেয়ে যাই ,,,তবুওকি আমাকে আল্লাহ এর শাস্তি দিবেন !? সব কাযা সালাত  পূরণের পরেও কি কাযা করার শাস্তি দিবেন !? যদি অনেক ক্ষমা চাই ! আল্লাহ কি ক্ষমা করবেন না !? এর ক্ষমা পাবার উপায় কি হুজুর !?
৩) হুজুর আমাদের কুরআন শরীফ থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন রাতে ল্যাপটপেই আমি সুরা  গুলোর অডিও দিয়ে সাথে সাথে ল্যাপটপ এর বাংলা উচ্চারণ গুলো দেখে পড়ি ,,এটাকি তিলাওয়াতের সওয়াব হবেনা !? উল্টো গুনাহ হবেকি !? হুজুর আমি আরবি পড়তে পারিনা ,তাই অডিও ছেড়ে বাংলা উচ্চারণ গুলো দেখে দেখে সাথে সাথে পড়ি ,,,হুজুর মৃত্যুর পর কি আমার শাস্তি হবে এর জন্য !? আরবি পড়তে পারিনা বলে !? আমি যদি এভাবেই কুরআন খতম করি তবেকি হবেনা !? মুক্তি পাবোকি জাহান্নাম থেকে !? আমাদের মূল উদ্দেশ্য তো আল্লাহ কুরআনে কি বলেছেন সেটা জানা ,,কিন্তু সেটাতো আমরা বাংলা অর্থ না পড়লে বুঝবোনা ,,তো আমি বাংলা উচ্চারণ + অর্থ পরে শেষ করলে কি হবে !? আর আমি অডিও এর সাথে পড়ি কারণ বাংলা উচ্চারণে কোথায় টান হবে , মোটা ,চিকন স্বর হবে তা বুঝা যায়না। ...

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
কখন থেকে এবং কোন পদ্ধতিতে কা'যা নামায-কে আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1609


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি যদি খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে থাকেন, তাহলে অাল্লাহ রাজী ও খুশী হলে অবশ্যই আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।

(২) নামায তরক করলে অবশ্যই এজন্য গোনাহ হবে। যদি কেউ এমতাবস্থায় সম্পূর্ণ নামাযকে কাযা করতে না পারে, আর আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তেগফারের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ চাইলে হয়তো তাকে ক্ষমা করে দিবেন।

(৩) আপনি সওয়াব পাবেন। আপনার নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে আল্লাহ সওয়াবের মাত্রাকে আরোও বাড়িয়ে দিবেন, যদি আপনার শিখার উদ্দেশ্য থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...