আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম । মুহতারাম মুফতী সাহেব, কষ্ট করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর জানাবেন ।

প্রশ্ন ১ঃ কোন  স্ত্রী লোক আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত বিবাহ বিষয়ক কোন বিধান অপছন্দ করে বা মানে না বলাতে কি তার ঈমান ভঙ্গ হয়ে যাবে? এতে যদি তার ঈমান নবায়ন ও বিবাহ দোহরানো লাগে এবং এমন পরিস্থিতি যদি পুনরায় ঘটে তাহলে কতবার বিবাহ দোহরানোর সুযোগ থাকবে?

প্রশ্ন ২ঃ একজন ব্যাক্তি ঈমানদ্বার ও নিয়মিত ফরজ ওয়াজিব আদায়কারী, তোহ কখনো যদি ইসলাম বিদ্বেষীদের কোন লেখা পড়ে বা সহেজে আকলে ধরে না এমন কোন হাদীস পড়ে নিজের মধ্যে ঈমান নিয়ে খটকা বা ইসলাম নিয়ে হালকা বা জোরালো সন্দেহ মনে আসে তাহলে কি তার ঈমান ভঙ্গ হবে / মুখে ঈমান ভঙ্গ হয় এমন কোন কথা না বললে?
প্রশ্ন ৩ঃ  একজন ব্যাক্তি কি মনে মনে মুরতাদ হতে পারে? মুখে ইরতিদাদ প্রকাশক কোন কিছু উচ্চারণ না করে? এবং একজন মুরতাদ দ্বীনে ফিরে আসলে কতবার তার স্ত্রীকে পুনরায় বিবাহ করতে পারবে যদি ইরতিদাদ এর ঘটনা বার বার ঘটায়?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনের কোনো আয়াত,মহান আল্লাহর নাম,রাসুলুল্লাহ সাঃ, হাদীস, ও শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা,গালি গালাজ করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

আরো জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে তার ঈমান ভঙ্গ হয়ে যাবে। এতে তার ঈমান নবায়ন ও বিবাহ দোহরানো লাগবে।
এমন পরিস্থিতি যদি পুনরায় ঘটে তাহলে পুনরায় ঈমান নবায়ন ও বিবাহ দোহরানো লাগবে।
এর দ্বারা কোনো তালাক পতিত হবেনা। 

সুতরাং যতবার এমনটি হবে, ততবার বিবাহ দোহরানোর সুযোগ থাকবে।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
একজন ব্যাক্তি মনে মনে মুরতাদ হতে পারেনা।

একজন মুরতাদ দ্বীনে ফিরে আসলে যতবার মুরতাদ হয়ে ইসলামে ফিরে আসবে,ততবার তার স্ত্রীকে পুনরায় বিবাহ করতে পারবে। 

الفقه الإسلامى و أدلته: (3153/4، ط: دار الفكر)
وأما الفسخ: فهو نقض العقد من أصله، أو منع استمراره، ولا يحتسب من عدد الطلاق، ويكون غالبا في العقد الفاسد أو غير اللازم.
সারমর্মঃ-
ফসখে নিকাহকে তালাকের সংখ্যার মধ্যে গণনা করা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...