আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

আসসালামু আলাইকুম। সংশয় এড়ানোর জন্য নীচের প্রশ্নগুলোর একটু বিস্তারিত উত্তর আশা করছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।

(১) ওয়াসওয়াসায় পড়ে গুনাহ ত্যাগ করে আল্লাহভীরু হওয়ার কারণে বা ওয়াসওয়াসায় পড়ে অন্য কোনোভাবে উপকৃত হওয়ার কারণে, কেউ যদি ওয়াসওয়াসাকে ভালো বলে মনে করে, তাহলে কি সে কাফের হয়ে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।

(২) শরীয়তের কোনো একটা বিষয় বাহ্যিকভাবে অনিচ্ছাকৃতভাবে মেনে চললেও কেউ যদি মনে মনে আক্ষেপ বা কুধারণা পোষণ করে যে, এটা হারাম না হয়ে হালাল হলে ভালো হতো (যেমন: গান-বাজনা হারাম না হয়ে হালাল হলে ভালো হতো), তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।

(৩) কেউ যদি বলে বা মনে করে, মিথ্যা না বললে স্মার্ট হওয়া যায় নাকি, তাহলে এমন বলার দরুণ বা বিশ্বাস রাখার দরুন সে কি কাফের হয়ে যাবে?

(৪) পূর্বে কিছু গুনাহের কাজ করে উপকৃত হওয়ার কারণে, বর্ত্মানে সেই কাজগুলোকে আমি গুনাহ হিসেবে মনে করছি কিনা বা কাজগুলো হারাম না হয়ে হালাল হলে ভালো হতো, এমন মনে করছি কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছি। এতে কি আমার ঈমান চলে গেছে? কারণসহ যদি বলতেন।

(৫) উপরের ৪ নং প্রশ্নে উল্লেখিত গুনাহের কাজগুলোকে এখন মন থেকে গুনাহ হিসেবে মনে করছি কিনা তা বোঝার কি কোনো উপায় আছে?

(৬) কেউ যদি জেনেশুনেও কোনো ভুল আকিদায় বিশ্বাস রাখে তাহলে কি সে কাফের হয়ে যাবে? যেমন কোনো একটা নির্দিষ্ট কাজ করলে কাফের হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও কেউ যদি মনে করে ওই কাজটি কেউ করলে সে কাফের হয়ে যাবে,,, তাহলে কোনো মুফতির কাছে জানার পরও এমন ভুল আকিদায় বিশ্বাস রাখার কারণে সে কি কাফের হয়ে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।
কেননা এতে সে কোনো হারামকে হারাম বলেনি। 

(০২)
https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
কেননা এক্ষেত্রে সে শরীয়তের বিধানকে নিয়ে হাসি ঠাট্রা করেনি।

(০৩)
এমন বলার দরুন বা বিশ্বাস রাখার দরুন সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৪)
এতে ঈমান চলে যায়নি।

কেননা আপনি অকাট্য ভাবে প্রমানীত কোনো হারামকে হালাল বলেননি।

(০৫)
বুঝার উপায় হলোঃ-
সেই কাজ করতে নিজের ভিতর ইতস্তত বোধ আসা,আল্লাহর ভয় হওয়া,কাজটি করা নিষেধ এমন মনে আসা।

সর্বপরি কাজটি করতে মমের মধ্যে হালালের বিষয়টি না আসা।

(০৬)
এ ধরনের ভুল আকীদায় বিশ্বাসী হওয়ার ফলে সে কাফের হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...