বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ওয়াজিব আদায় হয়ে গেছে,যেজন্য সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(২)
যোহরের চার রাকাআত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বিনা ওজরে বসে পড়া মাকরুহ।
(৩)
এমন অবস্থায় অন্তরে এ নিয়ত রাখবেন যে,মেহমান নাওয়াযি সুন্নতে ইবরাহিমি।এবং শয়তানের ধোকা থেকে বাঁচতে আউযু বিল্লাহ পড়তে থাকবেন।
(৪)
রহমত ও বরকতে আ'লামত।
(৫)
স্বপ্নে সূর্য দেখা, সুভাগ্যর আ'লামত।
(৬)
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-৯৯৪, কুফু সম্পর্কে জানতে ৭৮০
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন-১৫২৪
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ছেলে যদি কু'ফু হিসেবে মেয়ের সমকক্ষ হয়,তাহলে বিয়ে হয়ে গেছে।
এখন মেয়ের জন্য উচিৎ,মাতাপিতার অবাধ্যতার জন্য তাদের নিকট ক্ষমা চাওয়া,এবং সাথে সাথে ইস্তেগফার করা।মেয়ে তার মাতাপিতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।কেননা মাতাপিতার সন্তুষ্টির মধ্যেই সন্তানের কল্যাণ নিহিত রয়েছে।যেহেতু বিয়ে হয়েই গেছে,তাই স্বামীর সাথে সংসার করার জন্য মেয়ে তার মাতাপিতার পা আকড়িয়ে ধরবে যতক্ষণ না মাতাপিতা এর অনুমতি দিচ্ছে।শতচেষ্টা করার পরও যদি অনুমতি পাওয়া না যায়,তাহলে মৃত্যু অব্দি মাতাপিতাকে সন্তুষ্ট করার ইচ্ছা রেখে মেয়ে স্বামীর সাথে সংসার করতে পারবে।এবং অতীতের কৃত স্বেচ্ছাচারীতার জন্য আফসোস বোধ করে আপনজনদের মধ্যে সবাইকে এ পথে পা না বাড়ানোর প্রতি উৎসাহিত করবে।এ পথে পা বাড়ানোর জন্য নিজ অপদস্থতার কথা আপনজনদের নিকট প্রকাশ করবে।যাতে কেউ এ পিচ্ছিল পথে আর পা না বাড়ায়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নে বর্ণিত নারী,দ্বীনদ্বার পাত্র দেখে নিজে নিজে বিয়ে করতে পারবে।