ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বিতর সালাত পড়তে পড়তে যদি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়/ফজরের আযান দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেই সালাতকে পূর্ণ করে নিতে হবে।আদায় হয়ে যাবে। পুনরায় আবার কাযা আদায় করতে হবে না।
مجمع الأنهر في شرح ملتقى الأبحر (1/ 146):
" وإلى أنه لو شرع في الوقتية عند الضيق ثم خرج الوقت في خلالها لم تفسد".
حاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 401)::
" وتجتمع أيضاً في الوقت بالنسبة إلى صلاة الصبح والجمعة والعيدين، فإنه يشترط في ابتدائها وانتهائها وحالة البقاء، حتى لو خرج قبل تمامها بطلت. وينفرد شرط الانعقاد عن شرط الدوام وعن شرط البقاء في الوقت بالنسبة إلى بقية الصلوات فإنه شرط انعقاد فقط إذ لايشترط دوامه ولا وجوده حالة البقاء". فقط واللہ اعلم
(২)
পরিস্থিতির চাপে পরে স্বামী বলেছে ৩ তালাক। কিন্তু তখন মেয়ের বাবার জন্য বাধ্য হয়েছে এটা বলতে।এদ্বারা তালাক হয়ে গেছে।উক্ত স্বামী স্ত্রী পূনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না।কেননা মুগাল্লাজা তালাক পতিত হয়ে গেছে।
(৩)
যেই স্থানে ছবি রয়েছে, সেই স্থানে নামায পড়া মাকরুহে তাহরীমি। এমন স্থানে নামায পড়া যাবে না। যদি কোনো উপায় না থাকে, তাহলে কাপড় ইত্যাদি দ্বারা ঢেকে নামায পড়ে নিলে তখন আর মাকরুহ হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার রুমে কোনো ছবি নেই, তাই পাশের রুমে ছবি থাকলেও এতেকরে আপনার রুম রহমতের ফিরিশতার জন্য প্রতিবন্ধক হবে না। তাছাড়া আপনার রুমে ভিন্ন রুম থেকে গানের আওয়াজ আসলেও আপনার কোনো অসুবিধা হবে না।