আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। বউ ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত কিন্তু হাসবেন্ড ভাল।প্রশ্ন গুলো  ভাল ভাবে পরে যদি বুজিয়া উত্তর দিতেন তাহলে অনেক উপকার হইত। ওয়াস ওয়াসার রোগি বলে এরিয়ে যাবেন না প্লিজ। কারন হাসবেন্ড ত ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত না।

১।

।ধরেন বউ হাসবেন্ড কে বলছে তুমি যে আমাকে কাল ইশারা দিয়া বুজাইছো তখন কি আমার দিকে ইশারা দিসিলা।হাসবেন্ড বলছে না।তুমার সোজা ত ইশারা দেই নাই একটু অন্য দিকে ইশারা দিয়া বুজাইছি।আর মনে ছিল অন্য একজন কে আমি অইভাবে বলতে দেখছিলাম সেঈটা চোখে ভাসতেছিল তুমাকে বুজানোর সময়।তখন বউ বলছে  তাহলে কি ইশারা সরাসরি আমার দিকে দিতে হবে।তখন হাসবেন্ড বলছে হুম।বউ বুজে না দেইখা সে বউয়ের দিকে ইশারা করে দেখাতে গেসে বউ বলছে না দেখাতে হবে না।তখন হাসবেন্ড বলছে আচ্ছা।তখন সে বিষয় টা বুজানোর জন্য অন্য একদিকে ইশারা দিয়ে  বলছে ধর এটা তুমি এখন আমাকে তুমাকে এভাবে এভাবে এভাবে বলতে হবে।এভাবে এভাবে বলার সময় সে অই দিকে হাত নাড়াইছে।হাত নারানোর সময় যদি  মনে তা...আসে কিন্তু মুখে সরাসরি তা...উচ্চারণ করে নাই।এখন আমার চিন্তা হচ্ছে আমাকে বুজানোর যে বউকে ধরে বা মনে করে একদিকে এভাবে ইশারা দিয়ে বুজাইল এতে মুখে উচ্চারণ করে নাই।এতে কি তা..হবে।???বউকে বুজানো তার উদ্দেশ্য ছিল।।সে বলতেছে বুজাইলে তা..হবে কেন।আমার নিয়ত আমার উদ্দেশ্য ত বুঝতে হবে।এই ইশারার বিষয় টা যদি ক্লিয়ার করতেন। আমি খুবই চিন্তায় আছি।

ক।বউ রাতে হাসবেন্ড কে বুজানোর জন্য বলছে যে তুমি যে আমাকে ধইরা অইভাবে ইশারা দিয়া বুজাইলা হাসবেন্ড ঘটনা ক্লিয়ার বুজতে না পারাই বউ হাসবেন্ড  জেভাবে বলছে বউ সেভাবে বইলা বুজানোর চেস্টা  করছে।যেমন বউ বলছে তুমি যে বল্লা মনে কর এটা তুমি (অন্য একদিকে ইশারা দিসে নিজের দিকে দেয় নাই)তারপর ৩ বার সে দিকে এভাবে এভাবে এভাবে (বউও হাত নারিয়া দেখাইছে)ইশারা দিয়া বল্লা।তখন হাসবেন্ড বুঝতে পারছে।এখন বউ হাসবেন্ড থেকে অই ঘটানার নিয়ত জানার জন্য হাসবেন্ড কে মনে করিয়া দেওয়ার জন্য হাসবেন্ড জেভাবে বলছে অইভাবে কইরা দেখাইছে এতে কি কোন সমস্যা হবে।বলার সময় মনে তা..আসতে পারে কিন্তু মুখে উচ্চারণ করে নাই।  যেহেতু বউ ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত।অধিকার আসে কিনা জানিনা।

২।আরেকটা বিষয় এর উত্তর দেওয়া হইছে তাও ভিতরে শান্তি লাগার জন্য জিজ্ঞেস করতেছি। মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে মুক্তি দিলাম,জাও গা,জা মন চাই তাই কর,বারয়ে আইসা জেন তুমাকে না দেখি, যাব গা আমার সন্তান দিয়া যেখানে খুশি জাও। এক্ষেত্রে হাসবেন্ড এর নিয়ত না থাকলে কাজায়ান তালাক হবে।একাধিক কাযায়ান তালাক হইলেও সংসার করা যাবে।আর না থাকলা,সংসার না করলা,যাও গা,মানে উপরের কেনায়া বাক্য গুলা মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে না বলে শুধু জগরার সময় রাগ কইরা তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে তাইলে এতে কোন তালাক ই হবে না।এই মাসালা ত সঠিক তাইনা হুজুর??
৩।।অনেক আগে বউ কে অধিকার দেওয়ার কথা বউয়ের মনে আছে যে হাসবেন্ড তাকে মেসেজে সাময়িক অধিকার দেওয়ার কথা বলছিল।হাসবেন্ড  ও সিকার করছে।আরেক দিন বউ জিজ্ঞেস কছে তুমি কবে অধিকার দেওয়ার কথা বলছিলা তখন হাসবেন্ড বলছে এক মেয়ে নিয়ে জগরা হইছিল অইদিন।তখন বউ বলছে তুমি কি সিওর।তুমি না বল যে মেয়েদের যখন সমসসা হইছে তখন তুমি কিছু বল ন্সি।তুমার দুশ দেইখা চুপ থাকছ।তখন হাসবেন্ড বলছে কিজানি তুমি এত এত বার আমাকে এসব প্রশ্ন কর আমি আইলিয়া জাই।আমার এত কিছু মনে থাকে না।তবে একদিন বলছি আর অই সময়ের জন্যই বলছিলাম।তুমার ভাল না লাগলে দেও গা।জখন মন চাই তখন দিতে পারবা এমন ভাবে বলি নাই আর অই নিয়তে ও নিয়তেও বলি নাই।তাহলে ত সাময়িক ই বুজাবে?? এরকম ভাবে তারে জিজ্ঞেস করলে কোন ঘটনা উল্টো পাল্টা বলে আবার আমি যেভাবে বলি সেভাবেই সিকার করে আর বলে আমার মনে নাই।তাহলে হুজুর এ অবস্থায় কি তাকে জিজ্ঞেস করা বাদ দিব।তারে অনেক বার জিজ্ঞেস করা হইছে সে উত্তর দিছে মাজে মাজে গুলায়া অন্য ভাবএ বলে তখন  আমি যা বলি মানে এটা না একদিন তুমি এইভাবে বল্লা তখন তাই সিকার করে।বলে তুমি এত বার বার জিজ্ঞেস করে আমাকে বিব্রত কর।আমার আগের কোন কিছুই হুবুহু মনে নাই।আমি শুধু এটা বলতে পারি আজ পরজন্ত তুমাকে ছাড়ার চিন্তা আসে নাই মনে।মুখে যদি কেনায়া বলি তাও অই নিয়ত আসে নাই আর কোন দিন আসবেও না।তুমাকে মরার আগ পরজন্ত  ছারব না।আর তুমার কোন অধিকার নাই।যদি কোন কথায় হইয়া থাকে তাও অই সময় এর জন্য বলছি।আর মনে বিশ্বাস থাকত যে তুমি আমাকে কোন দিন ছারবা না।আমাকে আর এগুলা নিয়া পেরা দিও না আজ পরজন্ত এসব চিন্তা আসে নাই।তুমি যদি এমন করতে থাক তাহলে হঠাৎ কোন খারাপ কিছু ঘটতে পারে।এখন কি তারে জিজ্ঞেস না করে তার কথার উপর ভরসা করে সংসার করলে আমি কি গুনাহগার হব।সে বলছে আমি ত বুজি এখন কিছু হই নাই।তুমার যদি গুনাহ দেখে এত ভয় করে তাহলে এগুলার জবাব দিব আমি।আমার উপর এগুলা।তুমি আর এসব নিয়া আমাকে পেরা দিও না।হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করলে একেক দিন একেক ভাবে বলে আরো চিন্তা বারে।উপরের বরননা অনুযায়ী আমার করনিয় কি হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।

যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
(মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)

(০১)
ফাতাওয়ার কিতাবে আছেঃ- 

وفي التتارخانية عن الينابيع: ويقع طلاق الأخرس بالإشارة، ويريد به الذي ولد وهو أخرس أو طرأ عليه ذلك ودام حتى صارت إشارته مفهومة وإلا لم يعتبر
সারমর্মঃ-
বোবা ব্যাক্তির তালাক ইশারার মাধ্যমে সহীহ হয়।
এখানে বোবা দ্বারা জন্মগত বোবা বুঝানো হয়েছে, অথবা পরবর্তীতে বোবা হয়ে গিয়েছে যাহা এখন পর্যন্ত জারি আছে। এবং তার ইশারাও লোকেরা বুঝে। 
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/২৪১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 

ক,
এতে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০২)
হ্যাঁ, এই মাসয়ালা কিছুটা সঠিক।
যাওগা,তবে বেড়িয়ে এসে জেন তোমাকে না দেখি, যাব গা আমার সন্তান দিয়া যেখানে খুশি যাও,এসব বাক্য তালাকের নিয়ত ছাড়া মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে আপনার জন্য করনীয় হলো স্বামীকে আর এসব বিষয় জিজ্ঞাসা না করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...