জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়া সুন্নাত।
হাদিস শরীফে আছে,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الكِتَابِ، وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الكِتَابِ
নবী ﷺ জোহরের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা ও দু’টি সূরা পড়তেন এবং শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন…। (বুখারী ৭৭০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উমরি কাজাতে ফরজের কাযা করার সময় প্রথম বৈঠক পরে ৩ এবং ৪ নম্বর রাকাতে সূরা ফাতিহা না পড়লেও হবে।
আর যদি আপনি সানা এবং দোয়া মাসূরা না পড়েন, তাহলেও উমরি কাযা আদায় হবে।
(০২)
ফজরের সুন্নত কোন কারণে পড়তে না পারলে তার কাযা আদায় করবে সুর্য উদিত হবার পর।
জোহরের ওয়াক্ত আসলে আর আদায় করবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجر فليصلهما بعد ما تطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاء في إعادتهما بعد طلوع الشمس ،رقم-423)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ফজরের সুন্নত পড়তে না পারলে ফরজ আদায়ের পর যদি ওয়াক্ত থাকে তাহলে তখন সুন্নত পড়া যাবেনা।
সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করতে হবে।
(০৩)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
ফজরের পর সুরা ইয়াসিন,জোহরের পর সুরা ফাতাহ,আসরের পর সুরা নাবা, মাগরিবের পর সুরা ওয়াকিয়া,
ঈশার পর সুরা মুলক ও সুরা আলিফ লাম মিম সাজদাহ।
হাদিস শরিফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
من قَرَأَ ( تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك ) كل لَيْلَة مَنعه الله بهَا من عَذَاب الْقَبْر ، وَكُنَّا فِي عهد رَسُول الله ﷺ نسميها الْمَانِعَة ، وَإِنَّهَا فِي كتاب الله سُورَة من قَرَأَ بهَا فِي كل لَيْلَة فقد أَكثر وأطاب
যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাবারাকাল্লাযী বি ইয়াদিহিল মুলকু.. পাঠ করবে, আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন,) আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর যুগে সূরাটিকে মানেআ’ বা বাধাদানকারী সূরা বলে আখ্যা দিতাম। এটি আল্লাহ তাআলার কিতাবের মাঝে এমন একটি সূরা, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে পাঠ করবে সে অধিক ও উৎকৃষ্ট আমল করবে। (নাসাঈ ১০৫৪৭)
জাবির রাযি. বলেন,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ لَا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الم تَنْزِيلُ ، وَتَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ المُلْكُ
রাসূলুল্লাহ ﷺ সূরা সাজদাহ ও সূরা মুলক তেলাওয়াত করা ব্যতিরেকে ঘুমাতেন না। (তিরমিযি ২৮৯২)
উল্লেখ্য জোহর ও আসরের পর নির্দিষ্ট কোনো সূরা পাঠের কথা হাদিসে নেই।
তবে উপরের উল্লেখিত আমল বুযুর্গানে দ্বীন করেছেন।
(০৫)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৬)
বিষয়টি কোরআন সুন্নাহর কোথাও নেই।
এটি বুযুর্গানে দ্বীনের পরীক্ষিত আমল,তাদের অভিজ্ঞতা।