আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
১।উমরি কাজাতে ফরজের কাযা করার সময় কি প্রথম বৈঠক পরে ৩ এবং ৪ নম্বর রাকাতে সূরা ফাতিহা না পড়লেও হবে?আর যদি আমি সানা এবং দোয়া মাসূরা না পড়ি তাহলে কি উমরি কাযা আদায় হবে?

২।ফজরের সুন্নত পড়তে না পারলে ফরজ আদায়ের পর যদি ওয়াক্ত থাকে তাহলে কি তখন সুন্নত পড়া যাবে?

৩।ইশরাক,চাশত এবং আওয়াবিনের ওয়াক্ত এবং রাকাত সম্পর্কে জানতে চাই।

৪। কোন ওয়াক্তের নামাজের পর কোন সূরা পড়া ফজিলতপূর্ণ?

৫।খতমে খাজেগান পড়া কি কোরআন সুন্নাহ সম্মত আমল?এর কি ফজিলত আছে?

৬। খতমে বুখারির পর দোয়া করলে না কি দোয়া কবুল হয়? বিষয়টি কতটুকু কোরআন সুন্নাহ সম্মত?

1 Answer

0 votes
by (676,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়া সুন্নাত। 
হাদিস শরীফে আছে,

أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الكِتَابِ، وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الكِتَابِ

নবী ﷺ জোহরের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা ও দু’টি সূরা পড়তেন এবং শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন…। (বুখারী ৭৭০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উমরি কাজাতে ফরজের কাযা করার সময় প্রথম বৈঠক পরে ৩ এবং ৪ নম্বর রাকাতে সূরা ফাতিহা না পড়লেও হবে।
আর যদি আপনি সানা এবং দোয়া মাসূরা না পড়েন, তাহলেও উমরি কাযা আদায় হবে।

(০২)
ফজরের  সুন্নত কোন কারণে পড়তে না পারলে তার কাযা আদায় করবে সুর্য উদিত হবার পর।
জোহরের ওয়াক্ত আসলে আর আদায় করবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجر فليصلهما بعد ما تطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاء في إعادتهما بعد طلوع  الشمس ،رقم-423)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ফজরের সুন্নত পড়তে না পারলে ফরজ আদায়ের পর যদি ওয়াক্ত থাকে তাহলে তখন সুন্নত পড়া যাবেনা।
সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করতে হবে।

(০৩)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
ফজরের পর সুরা ইয়াসিন,জোহরের পর সুরা ফাতাহ,আসরের পর সুরা নাবা, মাগরিবের পর সুরা ওয়াকিয়া,
ঈশার পর সুরা মুলক ও সুরা আলিফ লাম মিম সাজদাহ।

হাদিস শরিফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

 من قَرَأَ ( تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك ) كل لَيْلَة مَنعه الله بهَا من عَذَاب الْقَبْر ، وَكُنَّا فِي عهد رَسُول الله ﷺ نسميها الْمَانِعَة ، وَإِنَّهَا فِي كتاب الله سُورَة من قَرَأَ بهَا فِي كل لَيْلَة فقد أَكثر وأطاب

যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাবারাকাল্লাযী বি ইয়াদিহিল মুলকু.. পাঠ করবে, আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন,) আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর যুগে সূরাটিকে মানেআ’ বা বাধাদানকারী সূরা বলে আখ্যা দিতাম। এটি আল্লাহ তাআলার কিতাবের মাঝে এমন একটি সূরা, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে পাঠ করবে সে অধিক ও উৎকৃষ্ট আমল করবে। (নাসাঈ ১০৫৪৭)

জাবির রাযি. বলেন, 
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ لَا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الم تَنْزِيلُ ، وَتَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ المُلْكُ 
রাসূলুল্লাহ ﷺ সূরা সাজদাহ ও সূরা মুলক তেলাওয়াত করা ব্যতিরেকে ঘুমাতেন না। (তিরমিযি ২৮৯২)

উল্লেখ্য জোহর ও আসরের পর নির্দিষ্ট কোনো সূরা পাঠের কথা হাদিসে নেই।
তবে উপরের উল্লেখিত আমল বুযুর্গানে দ্বীন করেছেন।

(০৫)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৬)
বিষয়টি কোরআন সুন্নাহর কোথাও নেই।
এটি বুযুর্গানে দ্বীনের পরীক্ষিত আমল,তাদের অভিজ্ঞতা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 482 views
0 votes
1 answer 71 views
...