আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু'আলাইকুম, আমি হানাফি ফিকহের অনুসারী, সে হিসেবে উত্তর দিবেন আশা করি।

(১) ছবিযুক্ত আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হবে কি? যদি এভাবে নামাজ পড়ে ফেলে তবে ঐ নামাজ আবার পড়ে দিতে হবে?
(২) সামান্য প্রসাবের বেগ থাকাবস্থায় নামাজ আদায় শেষে যদি দেখে কাপড়ে খুবই সামান্য পরিমাণে প্রসাব(এক দিরহামের কম) কিন্তু নামাজ পড়াকালীন প্রসাব বের হওয়ার কোনো অনুভূতি না হয়, এক্ষেত্রে নামাজ হবে কি?
(৩) প্যান্ট নাভির নিচে কিন্তু শরীরের কাপড় দ্বারা নাভি ঢাকা থাকলে এমতাবস্থায় নামাজ পড়লে, হবে কি?
(৪) চার রাকাত নামাজের শেষ রাকাত জামাতে পেলে বাকি তিন রাকাত কেমনে পড়বে? আমি, ইমাম সালাম ফিরানোর পর উঠে গিয়ে ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে এক রাকাত পড়ে, তাশাহুদ পড়ে বাকি দুই রাকাত আদায় করেছি যেখানের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা পড়ছি কিন্তু সর্বশেষ রাকাতে শুধু ফাতিহা পড়ছি, এভাবে নামাজ হয়েছে কি? সন্দেহ হওয়ার কারণে বাসায় এসে ঐ নামাজ আবার আদায় করছি। ওভারঅল আমার নামাজ কি আশা করা যায় আদায় হয়ে যাবে?
(৫) উপরের বর্ণনামতে কোনো নামাজ যদি আবার আদায় করতে হয় তাহলে শুধু ফরজটুকু পড়লে হবে?
(৬) মাকরুহ কি? নামাজ মাকরুহ হলে ঐ নামাজ কি আবার পড়ে দিতে হবে?


আপনাদের সম্পর্কে কিছু জানার ছিলোঃ

(১) আপনারা কীসের ভিত্তিতে ফতোয়া দেন?

(২) একজন সাধারণ হানাফি ফিকহের অনুসারী হিসেবে আপনাদের ফতোয়ার উপর নির্ভর হতে পারি কি?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ছবি যুক্ত ঘরে নামাজ পড়া মাকরুহ।
নামাযীর মাথার উপর সামনে ডানে, বায়ে এবং জুতোর মধ্যে এবং সিজদার স্থানে প্রাণীর ছবি থাকলে নামায মাকরূহে তাহরিমী হবে|
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عن انس رضى الله تعالى عنه قال كان قر ام لعائشة سترت به جانب بيتها , فقال النبى صلى الله عليه وسلم اميطى عنى لا تزال تصاوير. تعرض لى فى صلاتى.

অর্থঃ হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার একখানা (প্রাণীর ছবিযুক্ত) পর্দা ছিল, যা তিনি উনার ঘরের এক পাশে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন| হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, “হে হযরত ছিদ্দিকা আলাইহাস সালাম পর্দাটি আমার থেকে দূরে সরিয়ে নিন| কারণ এর ছবিগুলো নামাযে আমার দৃষ্টি ও মন আকৃষ্ট করে।” [ বুখারী শরীফ ২/ ৮৮১,ফাতহুল বারী ১০/ ৩৯১]

عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال لا يصلى فى بيت فيه تماثيل.

অর্থঃ হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, “ঐ ঘরে নামায পড়োনা যে ঘরে প্রাণীর মূর্তি বা ছবি থাকে|” 
[ মুছান্নিফ ইবনে আবী শায়বা ২/ ৪৬ ]

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ পড়লে নামাজ হবে। 
সেক্ষেত্রে উক্ত নামায মাকরূহে তাহরিমী হবে।
তবে যদি এভাবে নামাজ পড়ে ফেলে, সেক্ষেত্রে ঐ নামাজ আবার পড়ে নিতে হবেনা।

(০২)
পেশাব বের হওয়ার দরুন এক্ষেত্রে যেহেতু আপনার অযু ভেঙ্গে গিয়েছে,তাই আপনার নামাজ হবেনা।
পুনরায় অযু করে নামাজ আদায় করতে হবে।

(০৩)
প্যান্ট নাভির নিচে কিন্তু শরীরের কাপড় দ্বারা নাভি ঢাকা থাকলে এমতাবস্থায় নামাজ পড়লে, নামাজ হবে।
সমস্যা নেই।

(০৪)
ইমামের সালাম ফিরানোর পর আপনি যেভাবে ছুটে যাওয়া তিন রাকাত আদায় করেছেন,এটি সহীহ পদ্ধতি। 

সুতরাং আপনার নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
বাসায় এসে যেই নামাজ আদায় করেছেন,সেটি নফল বলে গন্য হবে।

(০৫)
উপরের বর্ণনামতে কোনো নামাজ আবার আদায় করতে হবেনা।

(০৬)
মাকরুহ মানে অপছন্দনীয়।

আরো জানুনঃ- 

নামাজ মাকরুহ হলে ঐ নামাজ আবার পড়ে নিতে হবেনা।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আমরা হানাফি ফিকহ অনুসারে ফতোয়া প্রদান করে থাকি।
তবে কোনো মাসয়ালায় মাযহাবগত কোনো বিরোধ থাকলে সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। 

★ইনশাআল্লাহ, আপনি একজন সাধারণ হানাফি ফিকহের অনুসারী হিসেবে আপনাদের ফতোয়ার উপর নির্ভর হতে পারেন।
আল্লাহ সহায় হোন,আমিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...