আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
303 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
edited by
শাইখ,
রুকাইয়াহ নিয়ে আমার অনেক সমস্যা আছে,অনেকদিন ধরে,
আমি কয়েকটা পয়েন্টস উল্লেখ্য করছিঃ
১|রুকাইয়াতে দোয়া পড়ে পানিতে ফুঁক দিয়ে খাওয়া যে জায়েজ,তার প্রমাণটা কি?মানে নবীজি হতে তো এমন প্রমাণ পাওয়া যায় নাহ্ যেখানে তিনি বলেছেন যে,পানিতে ফুঁক দিয়ে খাওয়া। যেটা পাওয়া যা সেটা হলো হাতে ফুঁক দিয়ে শরীরে ম্যাসেজ করা।
২|রাসুলুল্লাহ সাহাবীরা কি পানিতে বা খাবারে ফুঁক দিয়ে রুকাইয়াহ করে খেয়েছেন মর্মে কি কোন হাদীস পাওয়া যায়?
আমি জানতে চাই।
৩|আল্লাহ কুরআনে বলেছেন,এই কুরআন হলো মুমিনদের জন্য শেফা,এখানে শেফা বলতে কোন শেফাকে বুঝানো হয়েছে(শারিরিক নাকি আধ্যাতিক)শেফা?
কুরআনে তো শেফা বলতে আধ্যাতিকতা/অন্তর রোগের শেফাকে বুঝিয়েছে।তাহলে অনেক 'শাইখ' কেন আদেশ দেন যে কুরআনের যেকোন আয়াত দিয়ে নিজের চিকিৎসা করতে?
আর রাসূলআল্লাহ তো শুধু ৩ কুল দিয়ে ঝাঁড়ফুঁক করেছেন,অন্য কোন সূরা দিয়ে তো নয়।তাহলে কুরআনের বাকি ৯০ রা সূরা দিয়ে কিভাবে ঝাড়ফুক করবো?
এর সম্পর্কে কি কোন মতামত পাওয়া যা?
৪|আরেকটা চিকিৎসা আছে,বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করা,
আমি এটার নিয়ম জানতে চাইছি,কিভাবে করবো+হাদীসটা সহ।মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক।
৫|আমি আপনাদের ফতোয়াতে দেখলাম,যে ফজরের  সুন্নাত নামায ১ বছর কাযা হলে তা পূরণ করতে হবে কিনা?
কিন্তু ভালোভাবে বুঝতে পারছিনা যে পড়তে হবে কি নাহ্।
আমি জানতে চাইছি ফজরের সুন্নাত ১ বছরের কাযা নামায আদায় কেন জরুরী নয়?
রাসূলআল্লাহ তো ফজরের সুন্নাত পড়তে আদেশ করেছেন,
তবে এটার ১ বছরের কাযা পূরণ করা জরুরী নয় কেন

?

উত্তরগুলো দয়া করে তাড়াতারি দিন।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০৫)
শরীয়তের বিধান হলো, 
ছুটে যাওয়া নামায সমূহের মধ্যে শুধুমাত্র ফরয এবং বিতির  নামাযের কাযা করতে হবে।সুন্নতের কাযা করা জরুরী না।তবে কেউ করে নিলে সমস্যা নেই।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১/৩৯৮)

ফজরের  সুন্নত কোন কারণে পড়তে না পারলে তার কাযা আদায় করবে সুর্য উদিত হবার পর।
জোহরের ওয়াক্তের পর আর আদায়ের করবেনা।
,
কারন নবীজি সা: থেকে  متواتر (নিরবচ্ছিন্ন সূত্র পরম্পরায়) বর্নিত হাদিসে এসেছে যে, তিন সময়ে নামায পড়া জায়েজ নয়। তার মাঝে একটি সময় হল-“ফজরের ফরয পড়ার পর থেকে সুর্য উদয় হবার আগ পর্যন্ত।”তাছাড়া নবীজি সা: থেকে বিভিন্ন হাদিসে এসেছে যে, নবীজি বলেছেন যে, কারো ফজরের দুই রাকাআত সুন্নত ছুটে গেলে সে যেন তা সুর্য উদিত হবার পর আদায় করে।

فى موطا مالك- وحدثني عن مالك أنه بلغه أن عبدالله بن عمرفاتته  ركعتاالفجرفقضاهمابعدأنطلعت الشمس( موطا مالك النداءللصلاة،باب ماجاءفي ركعتي الفجر،رقم-422

অনুবাদ-হযরত ইমাম মালেক রহ: বলেন, আমি জেনেছি যে, আবদুল্লাহ বিন ওমর রা: এর ফজরের দুই রাকাআত ছুটে গিয়েছিল। তিনি তা সূর্যোদয়ের পর আদায় করেন। (মুয়াত্তা মালিক-৪৫)

وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعدماتطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)

وقد قالوا إنما تقضی الصلوات الخمس والوتر علی قول أبی حنیفة وصلاة العید إذا فاتت مع الناس علی تفصیل یأتی فی بابہا وسنة الفجر تبعا للفرض قبل الزوال والقضاء فرض فی الفرض واجب فی الواجب (البحر الرائق2/ 141،ط: زکریا) 
সারমর্মঃ
নিশ্চয়ই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর বিতর নামাজের কাজা করতে হবে,আবু হানিফা রহঃ এর মতানুসারে। 
এবং ঈদের নামাজ যখন তাহা লোকদের সহ কাজা হয়ে যায়,,,,,,
     


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুন্নাত নামাজের কাজা নেই,কাজা শুধু মাত্র ফরজ আর বিতর নামাজের আদায় করা আবশ্যক। 
আপনি চাইলে সুন্নাত নামাজের কাজা আদায় করতে পারবেন,এতে সমস্যা নেই।
তবে এটি আবশ্যক নয়। 

★বাকি প্রশ্নগুলোর জবাব জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 98 views
...