আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
১.আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত রুগী। কিছু ক্ষন আগে একটা প্রশ্নে দেখলাম , কাবা শরীফ, মসজিদ, কোনো মুজাহিদ, কোরআন শরীফ ইত্যাদি কে খারাপ জায়গাতে কল্পনা করলে ঈমান চলে যায়। হুজুর আমার এটা  দেখার পর শুধু খারাপ খারাপ ভাবনা চলে আসছে, বাথরুম এ গিয়ে খারাপ ভাবনা চলে আসছে , আমি না চাইতেও চলে আসছে, স্ত্রী র সঙ্গে সহবাস করার সময় মনে হয়ে যাচ্ছে আস্তাগিরুল্লাহ । আবার আমার ভাবনা হয়েও যাচ্ছে । আল্লাহ কসম হুজুর এইরকম ভাবনা হয়ে যাচ্ছে , আর আমি সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগিরুল্লাহ পড়ছি। হুজুর  আল্লাহ কসম আমি সব সময় অন্যমনস্ক হওয়ার চেষ্টা করছি , খুবই চেষ্টা করছি কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন সবসময় আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ছি , তওবা করছি। আমি আমার দিক থেকে খুব চেষ্টা করছি, সারাদিন তওবা আস্তাগিরুল্লাহ পড়ছি।
ওয়াসওয়াসা আমার এই রকম যতই মনে হোক  আমি সঙ্গে সঙ্গে যদি আস্তাগিরুল্লাহ পড়ি তাহলে আমার ঈমান ঠিক থাকবে তো?

১.১  আগে এই বিষয় টা জানতাম না , তখন হয়ত ভুল করে কখনো কখনো বাথরুম এ গিয়ে কোনো কিছু মনে হয়েছে, কিন্তু আল্লাহ কসম আমি তখন এই বিষয় টা জানতাম না । না জেনে যদি ভুল বশত আগে ভুল হয়ে গিয়েছে। আল্লাহ কসম না জেনে ভুল হয়েছে । জানার পর সব সময় চেষ্টা করছি অন্য মনষ্ক থাকার। হুজুর না জেনে যদি ভুল হয়ে গিয়ে থাকে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আল্লাহ কসম না জেনে যদি ভুল হয় ঈমান চলে যাবে না তো?

২. মিজানুর রহমান আজাহারি একটা বক্তব্যে বলছিলো, আমার প্রিয় নবী সাঃ কখনো স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেনি। মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে নবী সাঃ খাদিজা রা:  এর কথা বলত , তখন মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সেই কথা শুনতে চাইতেন না বা নবী সাঃ কে বলতে নিষেধ করতেন। তখন আমর প্রিয় নবী সাঃ বলতেন খাদিজা রা: নবী সাঃ এর খুব কষ্টের দিনের সঙ্গী ছিল। তাই মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা র মুখে হাত দিয়ে ছিলেন, মানে মুখ টিপে ধরেছিলেন (টুটি ) টিপে ধরেছিলেন , সে যেনো আর এমন কথা না বলে।
ভিডিওর র লিংক টা  পাচ্ছিনা , নাহলে লিংক টা দিতাম।  হুজুর এই ঘটনা টা আমি আমার স্ত্রী কে শোনাই। হুজুর আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী হুজুর মাঝে মাঝে নবী সাঃ এর বিয়ে নীয়ে মাথায় খারাপ চিন্তা আসে । ভাবনা আসলে আমি সঙ্গে সঙ্গে অন্য মনস্ক হয়ে যায়। আর বলি আমার প্রিয় নবী সাঃ যা করেছেন সব ঠিক করেছেন। আর তৌবা করি। শয়তানের ওয়াসওয়াসা এর জন্য এইসব মনে হয় । কোনো খারাপ ভাবনা আসলে আমি মুখে উচ্চরণ করিনি কখনো। আমার স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করি আমার এমন মনে হচ্ছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে স্ত্রী বলে না। তখন আমি একটু সস্তি পাই।  এর জন্য কি ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে?
আমার ঈমান ঠিক আছে তো , ঈমান চলে গেলে শেষ হয়ে যাবো । হুজুর আমার ঈমান ঠিক আছে তো?

3. ভাই বোন এ হুরমত হয় ??

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 
https://www.ifatwa.info/74026/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান ঠিক থাকবে।

(১.১)
এক্ষেত্রেও আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
আপনার ঈমান ঠিক আছে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
পরামর্শ থাকবে, এহেন চিন্তা মাথায় আসলেই অন্য মনস্ক হয়ে যাওয়া।
কোনো কাজ শুরু করে দেয়া।
মাথায় এগুলো আসতেই দিবেননা।
বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 
আপনি آمنت بالله ورسوله পড়ে নিবেন।

(০৩)
ভাই বোন এ হুরমত হয়না।

কার কার মাঝে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়,সে সংক্রান্ত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...