আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
১. আমি একবার ভীষণ মাথার নার্ভের রোগে আক্রান্ত হয়েছিলাম , অনেক ডাক্তার দেখিয়ে ছিলাম ভালো হচ্ছিলনা , কিছু মানুষের কথা শুনে, কবিরাজ এর কাছে গিয়েছিলাম , দিয়ে কবিরাজ বলছিলো বাড়িতে গাছ পুতা আছে বলে বাড়িতে গাছ তুলতে এসেছিল। না জেনে বুঝে ভুল করে  আমরা কবিরাজ এর কাছে গিয়েছিলাম, তারা আমাকে তাবিজ দিয়েছিল , আমি কিছুদিন পরে সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিয়েছি শিরক হবে বলে। হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

২.একবার একটা করিরাজ এর কাছে গিয়েছিলাম, জার কাছে একটা মেয়ে জিন থাকে পরি থাকে তাকে ওই লোকটা মা বলে ডাকে, দিয়ে আমাকে বলছে যদি তুমি সুস্থ হয়ে যাও তাহলে মা কে কি দিবা? আমি তখন রোগাক্রান্ত ছিলাম না বুঝে বলেছিলাম পাকা ঘর করে দিবো। এমনি বলেছিলাম। হুজুর সর্ব শেষ আমি মানসিক ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ হয়েছি। হুজর এই সব না জেনে বুঝে করীরাজ এর কাছে গিয়েছিলাম এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

৩. হুজুর একদিন একটা প্রশ্ন করেছিলাম , প্রশ্নের লিংক টা খুঁজে পেলে দিয়ে দিবো।
বিষয় হলো, যখন ঝর বৃষ্টি হতো, আমার নানী বলতো পবন ঠাকুর রক্ষা করো। , তাই আমিও একদিন বলছিলাম নানী বেচেঁ থাকলে এই ঝর বৃষ্টির সময় বলতো পবন ঠাকুর রক্ষা করো।আমিও হয়ত মজার চলে একবার বলেছি। এর। জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আপনাদের উত্তর ছিল না ঈমান চলে যাবে না । তওবা করতে হবে।
হুজুর আজকে পবন মানে খুঁজে পেয়েছি পবন মানে বাতাস কে বোঝাই, হুজুর পবন মানে জানতাম না এমনি বলেছি মজা করে, যখন জানলাম বিষয় টা পবন মানে বাতাস এর ঠাকুর বা দেবতা ভয় হয়ে জাই ঈমান চলে যাবে বলে। হুজুরে না জেনে না বুঝে ভুল হয়েছে যদি জানতাম এইটার মানে এই তো আমি কখনই বলতাম না । ভুল বশত বলে ফেলেছি । একদিন মা বলতে যাচ্ছিল মজা করে আমি নিষেধ করেছি । কারণ আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে সাহায্য চাওয়া যায়না।  হুজুর না জেনে ভুল হয়েছে ঈমান চলে যাবে না তো?

৩.১ হুজুর আমার নানি মারা গিয়েছে , তিনি জানতেন না তার ভুল বশত হওয়ায় তার ঈমান ঠিক ছিল তো?
৩.২ আমার ও আমার মা এর ঈমান ঠিক আছে তো হুজুর, না  জেনে বুঝে ভুল হয়েছে। আমি তৌবা করেছি। হুজুর আমার ও মার ঈমান ঠিক আছে তো?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://www.ifatwa.info/226 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-

আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি উনার নাবালক সন্তানদের গলায় তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন।হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৩)
না,জেনে,না বুঝে বলার দরুন ঈমান চলে যাবেনা,তবে তওবা আবশ্যক। 

৩.১
অজ্ঞতা বশত উক্ত কুফরি বাক্য বলায় আপনার নানির ঈমান চলে যায়নি।
তবে তিনি যদি জেনে বুঝে উক্ত বাক্য বলে থাকেন,সেক্ষেত্রে তার ঈমান চলে যাবে।

৩.২
অজ্ঞতা বশত উক্ত কুফরি বাক্য বলায় আপনার ও আপনার মায়ের ঈমান চলে যায়নি।

এক্ষেত্রে তওবা আবশ্যক। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...