আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
https://ifatwa.info/75593/ এই লিঙ্কে ৫ নম্বর প্রশ্ন তার উত্তর দিবেন।  একটা প্রশ্ন অ্যাড করতে ভুলে গিয়েছিলাম ,  লিঙ্কে উক্ত গজল টা সঠিক উচ্চরণ করতে পারিনি , হয়ত ভুল উচ্চরণ করেছি কিন্তু সুরে সুর মিলিয়ে এমনি বলেছি।
১.হুজুর গজল এর সুরে সুরে হয়ত ভুল উচ্চরণ করেছি,  যেহেতু আরবী ভাষা জানি না, গজল টা শুনতে ভালো লাগতো  তাই  সুরে সুর মিলিয়েছি হুজুর এমন ভুল হওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

২. আমি একজন পুরুষ। আমি আমার বাবার লিঙ্গ ভুল করে দেখে ফেলেছি তাহলে কি হুরমত হবে?

৩. জানিনা আমার বোন আব্বুর লিঙ্গ দেখেছে কি না , আমার ওয়াস্বাসর জন্য জিজ্ঞাসা করছি আমার বোন যদি আমার বাবার লিঙ্গ দেখে ফেলে , কিন্তু সে উত্তেজিত হয়নি , তাহলে তাহলে হুরমত হবে? সে উত্তেজিত হয়নি।
৪. হুজুর আমার বোন যদি বাবার লিঙ্গ দেখে ফেলে দিনের বেলায় , দিয়ে রাত্রে যদি তার এমনি উত্তেজনা হয় দিয়ে দিনে লিঙ্গ দেখার কথা মনে পড়ে , বা উত্তেজিত হয় তাহলে কি হুরমত হবে? সে তো অনেক ক্ষন পর উত্তেজিত তাহলে কি হুরমত হবে?

৫. হুজুর আমি জানিনা আমার বোনের দ্বারা কোন হুরমত হয়েছে নাকি , আমি এমনি ওয়াসওয়াসা জনিত সমস্যা থেকে জিজ্ঞাসা করছি , হুজুর  আমার বোন তো জানেনা হুরমত সম্পর্কে , আমার বোনের দ্বারা যদি হুরমত হয়ে জাই ভুল করে ,  সে তো আর জানেনা আর লজ্জা তে বলতেও পারবে না।  আর আমার ওয়াসওয়াসা র কারণে আমি বোনকে আন্দাজে জিজ্ঞাসা করতে পারিনা, আমি হয়ত ভাবছি হয়ত হয়েছে, বাস্তবে হয়ত এইসব কিছুই হয়নি । হুজুর  এক্ষেত্রে কি আমার কোনো গুনহা হবে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এমন ভুল হওয়ার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن عمران بن الحصین في الرجل یقع علی أم امرأتہ، قال: تحرم علیہ امرأتہ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۶ دار الکتب العلمیۃ بیروت)

সারমর্মঃ
একজন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করে,হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ তার ব্যাপারে ফতোয়া দিলেন যে তার স্ত্রী তার উপর হারাম।

عن أبي ہانيء رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من نظر إلی فرج امرأۃٍ لم تحل لہ أمہا ولا ابنتہا۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۹ بیروت)

সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন,কেহ যদি কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে তার মা ও তার মেয়ে তার জন্য কোনো ভাবেই হালাল হবেনা,(তার মা ও তার মেয়েকে কোনো ভাবেই বিবাহ করা তার জন্য জায়েজ হবেনা।)

عن شعبۃ قال: سألت الحکم وحمادًا عن رجل زنی بأم امرأتہ، قالا: أحب أن یفارقہا۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۳۳ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ-
শু'বা রহ: থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন আমি  হাকাম এবং হাম্মাদ রহঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম যে একজন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করেছে,তারা উভয়ে বললেন তার স্ত্রী তার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়াকেই পছন্দ মনে করছি।

★শরীয়তের  বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।
তাই কন্যা বালেগা হবার নিকটবর্তী (সাধারণত কমপক্ষে ৯ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পিতার এবং ছেলে বালেগ (সাধারণত কমপক্ষে ১২  বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে মায়ের খুবই সর্তক থাকা উচিৎ।

★প্রথম মাসআলাটি ছিল পিতা-মাতার দিক থেকে। একই কাজ যদি সন্তানের দিক থেকে হয় তবুও পিতা মাতার বিবাহ ভেঙ্গে পরস্পর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। কাজেই মা-কে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পুত্র ও বাবাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কন্যার খুব সতর্কতা আবশ্যক।

★উপরোক্ত দুটি মাসআলার মতই শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূ এবং শাশুড়ি কর্তৃক জামাইকে স্পর্শ করার বিধান। অর্থাৎ শর্তগুলি পাওয়া গেলে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যাবে।

★যদি কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কামভাব নিয়ে আবরণহীন তাকে স্পর্শ করে অথবা কামভাব সহকারে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে তাকায় অথবা নারী পুরুষের লজ্জাস্থানে তাকায় তাহলে ঐ পুরুষের জন্য ওই মহিলার মা এবং মেয়ে সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। আর যদি সেই ব্যক্তি পূর্ব থেকেই ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করে থাকে, তাহলে তার সেই স্ত্রী চিরতরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যেহেতু পুরুষ, সুতরাং বাবার লিঙ্গ দেখে ফেলার দরুন কোনোভাবেই হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা। 

(০৩)
না,এক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা। 

(০৪)
এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।

(তবে বেশি আশংকাজনক মনে করলে ও প্রায়ই এমনটির সম্মুখীন হলে উপরোক্ত লিংক আপনার বোনের কাছে পাঠাতে পারেন,যাতে ফতোয়াতাটি পড়ে তিনি সতর্ক হোন।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...