বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত যে, আছরের নামাযের পর সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত নফল নামায মাকরুহ।এবং ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত নফল নামায মাকরুহ।
আবু সাইদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي سَعِيدٍ الخُدْرِيّ رضي الله عنه قال : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : ( لاَ صَلاَةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ ، وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ العَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত নফল নামায মাকরুহ।এবং আছরের নামাযের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল নামায মাকরুহ।(সহীহ বোখারী-৫৮৮ সহীহ মুসলিম-৮২৭)
বিভিন্ন হাদীসে যে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আছরের নামায পরবর্তী দু'রাকাত নামায পড়ার কথা বর্ণিত রয়েছে,এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ স্থায়ী ভাবে সর্বদা যে পড়েছেন,সেটা মূলত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে বিশেষিত ছিলো।
عن عَائِشَة رضي الله عنها قالت : ( مَا تَرَكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّجْدَتَيْنِ بَعْدَ العَصْرِ عِنْدِي قَطُّ )
وفي رواية لهما : ( صَلَاتَانِ مَا تَرَكَهُمَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِي قَطُّ ، سِرًّا وَلَا عَلَانِيَةً : رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ আছরের পর আমার ঘরে দু'রাকাত নামাযকে কখনো তরক করেননি।
(সহীহ বোখরী-৫৯১,সহীহ মুসলিম-৮৩৫)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আছরের নামায আদায় করার পর আর কোনো নফল নামায পড়া যাবে না।যেই সমস্ত হাদীসে আছরের পর দু'রাকাত নামায পড়ার কথা বর্ণিত রয়েছে,সেগুলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে খাস ছিলো।অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজে পড়েছেন।তবে উম্মতের উপর এ নামায পড়ার কোনো বিধান নাই।