আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in সালাত(Prayer) by (39 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

 

১.কোন সাহেবে তারতিব ব্যক্তি যদি আগের ওয়াক্তের নামাজ না আদায় করেই মাগরিবের ওয়াক্ত জামাতের সাথে পড়ে ফেলে তাহলে কি তার মাগরিবের নামাজটা হয়েছে? নাকি তাকে আবার আসরের নামাজ পড়ে তারপর মাগরিবের নামাজ পড়তে হবে?

২.অথবা, সে যদি মাগরিবের নামাজ পড়ে ফেলার পর আসরের নামাজ আদায় করে, তাহলে নামাজ গুলো আদায় হবে?

৩. মাগরিবের নামাজ আদায়কালীন যদি আসরের নামাজের কথা মনে পড়ে, তাও সে মাগরিব আদায় করে আসর আদায় করলো, সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (676,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/25446/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
শরীয়তের বিধান হলো ভুলে যাওয়ার কারনে তারতিবের হুকুম সাকেত হয়ে যায়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/৩১৭)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَسَارَ لَيْلَةً حَتَّى إِذَا أَدْرَكَنَا الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلَالٍ " اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ " . قَالَ فَغَلَبَتْ بِلَالاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظِ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم وَلَا بِلَالٌ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا بِلَالُ " . فَقَالَ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللهِ فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلَالاً فَأَقَامَ لَهُمُ الصَّلَاةَ وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى قَالَ (أَقِمِ الصَّلَاةَ لِلذِّكْرَى) " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের একরাতে বিরতিহীনভাবে সফর করতে থাকলে আমাদের ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। ফলে শেষ রাতে তিনি যাত্রা বিরতি করেন এবং বিলাল (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি জেগে থাকবে এবং রাতের দিকে লক্ষ্য রাখবে। কিন্তু বিলাল (রাঃ)-ও নিদ্রাকাতর হয়ে তার উটের সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বিলাল এবং তাঁর সাহাবীদের কারোরই ঘুম ভাঙ্গল না। অতঃপর সূর্যের তাপ তাদের গায়ে এসে পড়লে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অস্থির হয়ে বললেনঃ কি হলো বিলাল! বিলাল বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! যে সত্তা আপনাকে অচেতন রেখেছেন, আমাকেও তিনিই অচেতন রেখেছেন। অতঃপর তারা নিজেদের বাহন নিয়ে কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করলেন এবং বিলালকে নির্দেশ করলে বিলাল ইক্বামাত দিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলকে নিয়ে ফজরের সলাত আদায় শেষে বললেনঃ কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই উক্ত সলাত আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘‘আমার স্মরণার্থে সলাত প্রতিষ্ঠা কর।’’ (সূরা ত্ব-হা ১৪)
(আবু দাউদ ৪৩৫)

یسقط الترتیب إذا نسي الفائتۃ وصلی ما ہو مرتب علیہا۔ (شامي ۲؍۵۲۶ زکریا)
সারমর্মঃ
যখন কাজা নামাজের কথা ভুলে যায়,তখন তারতিব সাকেত হয়ে যায়।
সে ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায় করবে। 

في المجتبی: من جہل فریضۃ الترتیب لایجب علیہ کالناسي، وہو قول جماعۃ من أئمۃ بلخ۔ وقال الشامي في ہامشہ: نقلہ قاضي خاں في شرحہ عن الحسن بن زیاد، وقال: وکثیر من المشائخ أخذوا بقولہ، ومثلہ في التاتارخانیۃ (منحۃ الخالق مع البحر الرائق / باب قضاء الفوائت ۲؍۱۴۹ رشیدیۃ)
সারমর্মঃ
 কেহ যদি তারতিবের এই আবশ্যকীয়তা সম্পর্কে না জানে,তাহলে তার উপর তারতিব ওয়াজিব নয়,যেমন ভুলে যাওয়া ব্যাক্তির ন্যায়।  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি আসর আগে আদায় করতে হবে, তারতিবের এই আবশ্যকীয়তা সম্পর্কে না জানে,অথবা জানলেও ভুলে গিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করে ফেলে,তাহলে তার মাগরিবের নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

আসর পরবর্তীতে কাজা আদায় করবে।

আর যদি সেই ব্যাক্তি তারতিবের এই আবশ্যকীয়তা সম্পর্কে জানে,এবং স্বরণ থাকা সত্ত্বেও আসরের কাজা আদায় না করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে,তাহলে তাকে এখন আসরের কাজা আদায় করতে হবে,অতঃপর পুনরায় সেই মাগরিবের নামাজ আদায় করতে হবে।

(০২)
যদি সেই ব্যাক্তি তারতিবের এই আবশ্যকীয়তা সম্পর্কে জানে,এবং স্বরণ থাকা সত্ত্বেও আসরের কাজা আদায় না করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে,তাহলে আসরের কাজা আদায়ের পর পুনরায় তাকে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে হবে।

(০৩)
এতে যদি মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হওয়ে যাওয়ার ভয় হয়,সময় খুবই কম থাকে,তাহলে এতে মাগরিবের নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
পরবর্তীতে শুধু আসরের কাজা আদায় করবে।

আর যদি মাগরিবের ওয়াক্ত যথেষ্ট থাকা সত্ত্বেও এভাবে মাগরিবের নামাজ চালিয়ে যায়,তাহলে পরবর্তীতে আসর কাজা আদায়ের পর পুনরায় মাগরিবের নামাজ আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 2,226 views
0 votes
1 answer 102 views
0 votes
1 answer 97 views
0 votes
1 answer 196 views
...