আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
253 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
মুহতারাম মুফতি সাহেব! কেমন আছেন? আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পরিবারসহ সবসময় সুস্থ রাখুন সেই কামনাই করি। অনুগ্রহ করে আমাকে নিচের প্রশ্নগুলোর সঠিক শরিয়াহ প্রদত্ত সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন। উল্লেখ্য, আমি হানাফি ফিক্ব ফলো করি।

আমি প্রতিবছর রমজানে আমার যাকাত প্রদান করি। আমার কাছে কোনো সোনা-রুপা নেই। ব্যাংকে কিছু সেভিংস আছে যা নিসাব পরিমাণ এবং আমি সেগুলোর উপর ২.৫% হারে হিসেব করে  যাকাত দিয়ে থাকি। আমি প্রতিমাসে বেতন থেকে উদ্বৃত্ত একটা অংশ ব্যাংকের আগের জমানো সেভিংস এর সাথে জমিয়ে রাখি। বর্তমানে আমার কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদের প্রায় দ্বিগুণ নগদ অর্থ রয়েছে। কিন্তু আমার সকল অর্থের পূর্ণ বছর হয়নি। কোনোটার ১/২/৩/৪/৫/৬/৭/৮/৯/১০ মাস এমন হয়েছে।  এক্ষেত্রে আমি আমার যাকাত কিভাবে হিসেব করবো? যদি আমার কাছে থাকা সকল নগদ উদ্বৃত্ত অর্থের যাকাত দিতে হয় তাহলে আসন্ন রমজানে আমার হাতে বেতন+বোনাস মিলিয়ে যে অর্থ আসবে সেটারও যাকাত দিতে হবে কি? বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।

আপন ভাই, বোন, ভাগিনা গরিব হলে তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে কিনা?

নাবালেগ কে যাকাত দেওয়া যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
একজন মানুষ দৈনিক যত টাকাই উপার্জন করুক না কেন বৎসর শেষে যদি যাকাতের নিসাব পরিমান সম্পদ তার নিকট না থাকে তাহলে তার উপর জাকাত ফরয হবে না।
 عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ»
হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিতঃনবী কারীম সাঃ বলেনঃ-সম্পত্তিতে কোনো যাকাত নেই যতক্ষণ না এক বৎসর পূর্ণ হবে।(সুনানে ইবনে মাজা-১৭৯২)

জাকাতের নিসাবঃ-
সোনা হলে-সাড়ে সাত (৭.৫)ভড়ি
রোপা হলে-সাড়ে বায়ান্ন(৫২.৫)ভড়ি
এবং শুধু টাকা হলে রোপার নেসাবে বা হিসাবে যাকাত আসবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হল, বৎসরের শুরু থেকে নিয়ে বৎসরের শেষ পর্যন্ত নেসাব পরিমাণ মালোর মালিক থাকা। এবং বৎসরের মধ্যখানে উক্ত মাল সম্পূর্ণভাবে নিঃশেষ না হয়ে যাবে। সুতরাং বৎসরের মধ্যখানে যেই মাল অর্জিত হবে, সেই মালোর জন্য এক বৎসর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়। বরং বৎসরের শুরুতে কেউ নেসাব পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, বৎসরের শেষ পর্যন্ত পূর্বের মালের সাথে যেই পরিমাণ মাল তার কাছে যুক্ত হবে, সব মালের যাকাত দিতে হবে। 
وشرط کمال النصاب … في طرفي الحول فی الابتداء للانعقاد وفی الانتھاء للوجوب فلا یضر نقصانہ بینھما، فلو ھلک کلہ بطل الحول (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الزکاة، باب زکاة المال، ۳: ۲۳۳، ۲۳۴، ط: مکتبة زکریا دیوبند)، قولہ:”فلو ھلک کلہ“: أي: في أثناء الحول بطل الحول، حتی لو استفاد فیہ غیرہ استأنف لہ حولاً جدیداً (رد المحتار)،ونقصان النصاب فی الحول لا یضر إن کمل في طرفیہ، أي: إذا کان النصاب کاملاً فی ابتداء الحول وانتھائہ فنقصانہ فیما بین ذلک لا یسقط الزکاة،…… إلا أنہ لا بد من بقاء شیٴ من النصاب الذي انعقد علیہ الحول لیضم المستفاد إلیہ؛ لأن ھلاک الکل یبطل انعقاد الحول؛ إذ لا یمکن اعتبارہ بدون المال (تبیین الحقائق۱: ۲۸۰، ط: المکتبة الإمدادیة، ملتان، باکستان)، قولہ:”إلاإلا أنہ لا بد من بقاء شیٴ من النصاب الخ “:حتی لو بقي درھم أو فلس منہ ثم استفاد قبل فراغ الحول حتی تم علی نصاب زکاہ اھ، فتح (حاشیة الشلبي علی التبیین)، والمستفاد ولو بھبة أو إرث وسط الحول یضم إلی نصاب من جنسہ فیزکیہ بحول الأصل (لدر المختار مع رد المحتار، کتاب الزکاة، باب زکاة الغنم، ۳: ۲۱۴)

(২)
আপন ভাই, বোন, ভাগিনা গরিব হলে তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে। 

(৩)
নাবালেগ সন্তানের পিতা যদি গরীব হয়,এবং নাবালক যদি বুঝদার হয়, তাহলে ঐ নাবালক সন্তানকে যাকাত দেয়া যাবে। আর বুঝদার না হলে, যাকাত দেয়া যাবে না।কিন্তু যদি নাবালক সন্তানের পিতা গরীব না হয়, তাহলে কিন্তু তখন যাকাত দেওয়া যাবে না।

الدر المختار شرح تنوير الأبصار في فقه مذهب الإمام أبي حنيفة - (2 / 356):
"دفع الزكاة إلى صبيان أقاربه برسم عيد أو إلى مبشر أو مهدي الباكورة جاز."
وفي الرد:
"(قوله: إلى صبيان أقاربه) أي العقلاء وإلا فلايصح إلا بالدفع إلى ولي الصغير."


বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://muftiemdadhaque.blogspot.com/2021/04/blog-post.html
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...