জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো মুকিম যদি মুসাফিরের ইকতেদা করে,তাহলে মুসাফির কসর করবে,আর মুকিম ইমামের সালাম ফিরানোর পর পুরো নামাজই পড়বে।
হাদীস শরীফে এসেছে, ওমর রা. যখন মক্কায় এসে নামাযের ইমামতি করতেন তখন চার রাকাত বিশিষ্ট নামায দু’রাকাত পড়তেন এবং নামায শেষে বলতেন-
يَا أَهْلَ مَكّةَ أَتِمّوا صَلاَتَكُمْ، فَإِنّا قَوْمٌ سَفْرٌ.
‘আমরা মুসাফির (তাই নামায কসর করেছি) সুতরাং তোমরা যারা মক্কার অধিবাসী নামায পূর্ণ করে নাও।’ (মুআত্তা মালেক, বর্ণনা ৫০৪)
আর যদি মুসাফির ব্যক্তি মুকিম ইমামের পিছনে ইকতেদা করে,তাহলে চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ চার রাকাতই পড়া জরুরি হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে ইমামের পিছনে পুরো চার রাকাত না পেলেও মাসবুকের ন্যায় ছুটে যাওয়া রাকাতগুলো ইমামের সালামের পর আদায় করে নিতে হবে। নতুবা নামাজ হবে না।
جاء في الأصل ، 1/ 256 ، أرأيت مسافرا دخل في صلاة مقيم كم يصلى ؟ قال : يصلى صلاة مقيم قلت وكذلك لو أدركه بعد ما تشهد قبل أن يسلم ؟ قال نعم ، قلت : وكذلك لو أدركه في سجدتى السهو ؟ قال نعم ، انتهى
যার সারমর্ম হলো সে মুকিমের ন্যায় নামাজ আদায় করবে।
جاء في الهداية : 1/ 166 ، وإن إقتدى المسافر بالمقيم في الوقت أتم أربعا ، انتهى
যদি নামাজের ওয়াক্তের ভিতরেই মুসাফির ব্যাক্তি মুকিমের ইক্তেদা করে,তাহলে মুসাফির চার রাকাত পূর্ণ করিবে।
(তাবয়িনুল হাকায়েক : ১ : ৫১৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১ : ১৪২)
মুসাফিরের জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাজ দুই রাকাত পড়ার হুকুম কেবল তখনই, যখন সে একাকী নামাজ পড়বে বা নিজে ইমামতি করবে কিংবা অন্য কোনো মুসাফির ইমামের পিছনে ইকতেদা করবে। মুকিম ইমামের পিছনে ইকতেদা করলে ইমামের অনুসরণে তার ওপরও চার রাকাত আদায় করা আবশ্যক হয়ে যায়।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছরতে মুসাফিরকে নামাজ পুরো পড়তে হবে।
(০২) বিতর সালাতের কোনো কসর নেই,তাই মুসাফিরের জন্য বিতর নামাজ ৩ রাকাতই পড়তে হবে।
যদি না পড়ে,তাহলে পরবর্তীতে কাযা আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে সুন্নাত নামাজ না পড়ার সুযোগ আছে,তবে বিতর নামাজ পড়তেই হবে।
আরো জানুনঃ
,
(০৩) বিতর নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব,ভুলক্রমে ছুটে গেলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দোয়ায়ে কুনুত পড়তে হবে।