আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার অনিয়মিত পিরিয়ড। আমার শেষ পিরিয়ড হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর। আমার ৭ মাসের ১ টি বাচ্চা আছে। আমি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কপার টি গ্রহণ করেছি, এই পদ্ধতিটির সাইড ইফেক্ট হচ্ছে মাঝেমধ্যে হালকা ব্লিডিং হতে পারে( ২-৩ ফোটা)। যেটা প্রস্রাব করার সময় বুঝা যায়,  সেটা মাসে ২-১ বার হতে পারে।

এখন আমার ৩ দিন যাবত দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১২ ঘন্টা ফোটা ফোটা ব্লাড যায়, অল্প পরিমানে। আর বাকি সময় ভালো থাকি। এটাকে কি আমি পিরিয়ড ধরবো নাকি ইস্তিয়াযা?
যেহেতু পিরিয়ডের মতো বেশি ব্লাড ছিলো না এবং ব্লিডিং কিছু সময় বন্ধ ছিলো তাই ইস্তিয়াযা ধরে এই ৩ দিন সহবাস, নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত করেছি । এতে কি আমি গুনাহগার হবো?
এখন আমার করণীয় কি?  আমি কি নামাজ কন্টিনিউ করবো? নাকি পিরিয়ড ধরে ১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবো? পূর্ববর্তী আলামত অনুসারে আমার হায়েযের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৬ দিন।

1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এই তিন দিন আপনার হায়েজ ছিলো। সুতরাং এ সময়ের মাঝে নামাজ আদায়,কুরআন তিলাওয়াত, সহবাস ইত্যাদির দরুন আপনার গুনাহ হয়েছে।

এর জন্য খালেস দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। 
আপনি এটিকে পিরিয়ড ধরে (১০ দিন পর্যন্ত) নামাজ বন্ধ রাখবেন। তবে এরমাঝে যেকোনো ওয়াক্তে ব্লাড আসা একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে আপনি গোসল করে সেই ওয়াক্ত থেকেই নামাজ আদায় শুরু করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
reshown by
শায়েখ, যেহেতু কপার টির সাইড ইফেক্ট হিসেবে মাঝেমাঝে ২-৩ ফোটা ব্লিডিং হয় যেটা মাসে ২-১ বার দেখতে পাই। এইবার ও অল্প পরিমান ব্লিডিং(কোনো নেপকিন ব্যবহার করতে হয় না) দেখে কপার টির কারণে হচ্ছে ভেবে স্বাভাবিক নিয়মেই চলি। কিন্তু ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমি এটাকে নিশ্চিত ভাবে পিরিয়ড হিসেবে গণ্য করবো, প্রথম দুই দিন তো আমি বুঝতে পারি নি। 
তাহলে ভবিষ্যতে যদি এমন হয় যে কোনো নামাজের ওয়াক্ত শুরু হলো আর ফোটা ফোটা ব্লিডিং দেখলাম তখন কি আমি এইটাকে কপার টির কারণে ইস্তিয়াযা ধরবো নাকি পিরিয়ড মনে করে নামাজ অফ রাখবো? যেহেতু ৩ দিনের আগে বুঝতে পারছি না পিরিয়ড কিনা। 
by (677,160 points)
আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে এটি সর্বনিম্ন তিন দিন আসবেই,সেক্ষেত্রে নামাজ বন্ধ রাখবেন।
(এক্ষেত্রে প্রবল ধারণা সত্ত্বেও তিন দিনের আগেই তাহা বন্ধ হয়ে গেলে এই দিন গুলোর নামাজের কাজা আদায় করে নিবেন। আল্লাহর কাছের ক্ষমা চেয়ে নিবেন।)

আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে এটি ২/১ আসবে,তিন দিন আসবেনা।
সেক্ষেত্রে নামাজ চালিয়ে যাবেন। নামাজ বন্ধ রাখবেননা।

(এক্ষেত্রে প্রবল ধারণা সত্ত্বেও তিন দিনের আগে বন্ধ না হলে সেক্ষেত্রে এটি যেহেতু হায়েজ বলে গন্য হয়েছে,তাই এক্ষেত্রে আপনার এই কয়দিন অনিচ্ছাকৃত ভাবে অপবিত্রতার মাঝে নামাজ আদায়ের কারনে আল্লাহর কাছের ক্ষমা চেয়ে নিবেন।)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 115 views
...